ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪ || ৭ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৬৪১

এই ৯ মসলা খেতে ভুলবেন না

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০০:৫১ ১৭ এপ্রিল ২০২১  

মসলা ছাড়া তরকারি যেন খাওয়াই কঠিন। শুধু তরকারির স্বাদ বাড়ানোর জন্য নয়, এর রয়েছে বেশ কিছু গুণ। এক গবেষণায় দেখা গেছে, অনেক মারাত্মক রোগ প্রতিরোধ করে এগুলো। মসলা খেলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। নিম্নে ৯ ধরনের মসলার কথা তুলে ধরা হলো-


১. লবঙ্গ: এর অন্দরে থাকা একাধিক অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান একদিকে যেমন দাঁতের যন্ত্রণাসহ যেকোনও ধরনের ব্যথা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তেমনি পেটের রোগের প্রকোপ কমাতে এবং শরীরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়াতে কার্যকরী অবদান রাখে।


২.আদা: নানাবিধ রোগের চিকিৎসায় সেই আদিকাল থেকে কাজে লাগানো হচ্ছে এই মসলাকে। কেন হবে নাই বা বলুন, আদায় উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি ওজন হ্রাসেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই যাদের পরিবারে ওজন বৃদ্ধি এবং ডায়াবেটিস রোগের ইতিহাস রয়েছে, তারােএকে সঙ্গে রাখতে ভুলবেন না।

৩. হলুদ: অ্যালঝাইমার এবং ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখতে হলুদের কোনও বিকল্প নেই। কারণ এই মসলায় উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট নানাভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। সেই সঙ্গে দেহের অন্দরে যাতে কোনোভাবেই রোগ সৃষ্টিকারি উপাদানগুলো শক্তিশালী না হয়ে ওঠে সেদিকেও খেয়াল রাখে। এখানেই শেষ নয়, হলুদে উপস্থিত কার্কিউমিন নামের উপাদান শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমতে দেয় না। ফলে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কাও হ্রাস পায়।


৪. ধনে বীজ: প্রায় ৭০০০ বছর ধরে রান্নায় এই প্রকৃতিক উপাদানটির ব্যবহার হয়ে আসছে। আর কেন হবে নাই বা বলুন! একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতে ধনিয়া বীজের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই যাদের পরিবারে কানও ধরনের হার্টের রোগের ইতিহাস রয়েছে, তারা এই প্রকৃতিক উপাদানটি খেতে ভুলবেন না যেন!


৫. দারচিনি: এই মসলা তো সবারই বাড়িতেই থাকে। তবে কজনই বা জানেন, প্রতিদিন দারচিনি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ার সুযোগই পায় না। ফলে ডায়াবেটিসের মতো রোগ দূরে থাকে।


৬. রসুন: খাবারকে সুস্বাদু বানানোর পাশপাশি একাধিক নন-কমিউনিকেবল ডিজিজকে দূরে রাখতে রসুনের কোনও বিকল্প হয় না। শুধু তাই নয়, ওজন কমাতেও এই মসলাটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে।


৭.গোলমরিচ: শরীরে জমে থাকা ক্যালোরি বার্ন করতে এই মসলার কোনও বিকল্প নেই। একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে, প্রতিটি খাবারে মসলাটি মেশালে, খাবার প্রতি প্রায় ১০০ ক্যালোরি বার্ন হয়। এই পরিমাণ ক্যালোরি যদি প্রতিদিন বার্ন হতে থাকে, তাহলে ওজন কমতে যে একেবারেই সময় লাগবে না, তা বলাই বাহুল্য!


৮. জিরা: খাবারে মাত্র এক চামচ জিরা মিশিয়ে সেই খাবার খেলে চোখে পড়ার মতো ওজন কমে। কারণ এই মসলা শরীরে জমে থাকা মেদ ঝরিয়ে ফেলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এখানেই শেষ নয়, হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে, ডায়াবেটিস রোগ দূরে রাখতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।

 

৯. এলাচ: এই মসলা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটিয়ে ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ২০০৮ সালে জার্নাল অব এথনোফার্মাকোলজিতে প্রকাশিত  গবেষণাপত্র অনুসারে নিয়মিত এলাচ খেলে যেকোনও ধরনের পেটের রোগ সারতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে ডায়ারিয়া এবং কনস্টিপেশনের মতো রোগের চিকিৎসাতে সহায়তা করে।