ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪ || ১৫ চৈত্র ১৪৩০
good-food
১৭৯১

খাগড়াছড়িজুড়ে সৌন্দর্যের পসরা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২৩:১৩ ২৩ এপ্রিল ২০১৯  

যান্ত্রিক জীবন থেকে একটু ছুটি পেলেই কিছুটা আনন্দের খোঁজে মন বেড়িয়ে পড়তে চায় ভ্রমণে। আর তাই খাগড়াছড়ি হতে পারে আপনার ভ্রমণের উপযুক্ত জায়গা।

খাগড়াছড়ির সর্বত্রই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সৌন্দর্যের পসরা। আপনাকে মুগ্ধতার জালে আবদ্ধ করতে এখানে রয়েছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান। পাহাড়-হ্রদের সৌন্দর্য এখানে চোখ ধাঁধানো। প্রাকৃতিক শোভার সাথে এখানে আছে রোমাঞ্চকর সব স্থান। আর তাই কিছুটা রোমাঞ্চের স্বাদ পেতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন খাগড়াছড়ির ঠাণ্ডা ছড়া থেকে।

খাগড়াছড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের উল্টো দিকে খাগড়াছড়ি আদর্শ বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে কিছুদূর হেঁটে গেলে একটি পাহাড়ি ছোট নদী। হাঁটু পানির এই নদী ধরে পূর্বদিকে আরো পাঁচ মিনিট হাঁটলে হাতের ডান দিকে পাহাড় থেকে আসা ছোট ছড়াটিই হল ঠাণ্ডা ছড়া। দুপাশে কালো পাথরের দেয়াল। মাঝ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে ঝরনা। এই এলাকার নাম ঠাণ্ডা ছড়া। তাই এই ছড়াটির নামও দেয়া হয়েছে ঠাণ্ডা ছড়া।

ছড়ার ভেতরের পথ প্রায় ৬০০ গজ। দুপাশে কাল পাথরের দেয়াল। এই ছড়াটি দেখতে অনেকটা ড্রেনের মত হয়। দুদিকে পাহাড় মাঝখানে চিকন ছড়া, ওপরে নানা জাতের গাছের ছাউনি। সব মিলিয়ে একটি সুরঙ্গ পথের মতো। কালো পাথরের ঢিপি ধরেই আপনাকে হেঁটে যেতে হবে ছড়ার ভেতর দিয়ে। ধীর গতিতে পা টিপে টিপে ছড়ার ভিতর ঢুকতে হবে। ছড়ার শেষ মাথায় পৌঁছাতে কমপক্ষে তিন ঘণ্টার মতো সময় লাগে।

 

পাথরের দেয়ালের জন্য ঝরনার যতই ভেতরে যাবেন, ঠাণ্ডা অনুভব করবেন। তবে এখানে আসার পথটা দারুণ। পথে পথেখাগড়াছড়ির সব সৌন্দর্যই দেখতে পাবেন। ছোট ছোট সবুজ পাহাড়, পাহাড়ের গা বেয়ে নামা ঝরনা, ছড়ার পাশে ফুটে থাকা বুনোফুল, নাম না জানা পাখি আপনাকে মুগ্ধ করবে। আশপাশের গ্রাম থেকে পানি নিতে গ্রামবাসীরা আসেন এই ছড়ায়। ঠাণ্ডা ছড়ার পাশেই খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র। চমৎকার প্রাকৃতিক শোভার এই প্রতিষ্ঠানটিতে ঘুরে যেতে পারেন।

পুরো ঠাণ্ডা ছড়াটি দেখতে চাইলে আপনাকে সকাল সকাল এই স্পটটিতে পৌঁছাতে হবে এবং সঙ্গে দুপুরের খাবার নিয়ে আসবেন। ছড়াটির একটি বিশেষ দিক হল গরমের দিনেও এর পানি অনেক ঠাণ্ডা থাকে। যারা ঘুরতে গিয়ে এডভেঞ্চারের আমেজ পেতে চান তাদের জন্য দারুণ একটি জায়গা হল এই ঠাণ্ডা ছড়া।

 

যেভাবে যাবেন:

ঢাকা থেকে যে কোনো পরিবহনের বাসে চড়ে খাগড়াছড়ি যেতে পারেন। ভাড়া পড়বে ৪৭০ থেকে ৫২০ টাকা। এছাড়া বিআরটিসি পরিবহনের বাসে চড়েও যেতে পারেন খাগড়াছড়ি।

খাগড়াছড়ি শহর থেকে সিএনজি কিংবা ব্যাটারিচালিত টমটমে করে দীঘিনালা উপজেলা সড়ক দিয়ে চলে যাবেন ধর্মঘর এলাকায়। প্রায় তিন কিলোমিটার পাহাড়ি পথ পেরোতে হবে এখানে আসতে। এখান থেকেই হেঁটে ঠাণ্ডা ছড়ায় পৌঁছাতে হবে। ধর্মঘরে স্থানীয় কাউকে জিজ্ঞেস করলেই আপনাকে দেখিয়ে দেবে ঠাণ্ডা ছড়ার পথ।

 

যেখানে থাকবেন :

খাগড়াছড়িতে পর্যটন মোটেলসহ বিভিন্ন মানের থাকার হোটেল রয়েছে।

পর্যটন মোটেল : মোটেলের সব কক্ষই ২ বিছানার। ভাড়া: এসি ২১০০ টাকা, নন-এসি ১৩০০ টাকা। এসি স্যুইট রুম ৩১০০ টাকা। যোগাযোগ : ০৩৭১-৬২০৮৪৮৫।

থাকতে পারেন অন্যান্য হোটেল বা মোটেলে।

তবে যেখানেই থাকুন না ক্যানো, সময়গুলো কাজে লাগাবেন অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগে।

বাংলাদেশকে জানো বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর