ঢাকা, ২৪ এপ্রিল বুধবার, ২০২৪ || ১০ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৮৮৭

বিদ্যাসাগর, তোমাকে আবারও দরকার

মেজর ডা. খোশরোজ সামাদ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:২৬ ২৭ মে ২০১৯  

১ . বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাংগা হয়েছে। ওপার বাংলার দুই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ পরস্পর পরস্পরকে দুষছে। শত বেদনার মাঝে এইটুকু বলা যেতে পারে, যে দূর্বৃত্তরা এটি করেছে, তারা বুক ফোলাতে পারেনি, বরং অপকর্মটি করে অন্ধকারের বিবরে মুখ লুকাতে বাধ্য হয়েছে। এতে বোঝা গেল জীবিত বিদ্যাসাগরের চেয়ে আজও মৃত বিদ্যাসাগর সমভাবে শক্তিশালী।

 

২. যতদিন বিধবাদের কান্নার অনুরনন থাকবে ততদিন তিনি সত্য। শুধু তত্ত্বই কপচান নি নিজ পুত্রকে বিধবার সাথে বিয়ে দিয়েছিলেন। মায়ের প্রতি তাঁর মমতা ছিল কিংবদন্তির মত।

 

৩. জ্ঞানের দীপ্তিতে তিনি ইংরেজদের কাছে ছিলেন ত্রাসের নাম। এই খর্বকায়, কালো মানুষটি ইংরেজদের দেয়া নানা প্রলোভন পা দিয়ে মাড়িয়ে গেছেন। আপোষ শব্দটি তাঁর অভিধানে ছিল না।

 

৪. মাইকেল মধুসূদন দত্ত যখন অর্থকষ্টে পড়েন তখন তাঁরও হাঁড়িতে চাল বাড়ন্ত থাকলেও মধুসূদনকে অর্থ সহযোগিতা করেন। সেলফি আর আত্মপ্রচারের যুগের প্রজন্ম কি ভাবতে পারে তিনি দান করতেন এতই সংগোপনে যেন ধারগ্রহীতা ছাড়া কাকপক্ষীও টের না পায়?

 

৪. তিনি বাঙালিকে আধুনিক, চৌকস, বিজ্ঞানমনস্ক, আর যুগোপযোগী করতে আমৃত্যু লড়াই করেছেন।

 

অন্ধকারের ভয়াল শক্তি আমাদের যখন পিছনে টানে, তখন বিদ্যাসাগরকে আরও নতুন করে দরকার হয়ে পড়ে।