ঢাকা, ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১১ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৬০৫

বিপদ এলে কী করবেন?

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:৪৫ ২৭ মে ২০২১  

কঠোর পরিশ্রমই উত্তম পুরস্কার আনে। আল্লাহ যখন কারো মঙ্গল চান, তখন তাকে পরীক্ষায় ফেলেন। যে ব্যক্তি ইতিবাচকভাবে বিষয়টি গ্রহণ করেন, আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট হন (তিনি বিজয়ী হন)। 


আর যিনি বিরক্তি ও নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন, আল্লাহ তার ওপর অসন্তুষ্ট হন (তিনি ব্যর্থ হন)। হাদীস বর্ণকারী : আনাস ইবনে মালেক (রা); গ্রন্থনা: তিরমিজী, ইবনে মাজাহ।


অর্থাৎ জীবনে ব্যর্থতার বড় কারণ হচ্ছে সমস্যা এলে বিরক্ত হওয়া ও নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা। কারণ এগুলো মানুষকে সমস্যার ভেতর থেকে নতুন সুযোগ বের করে আনার বদলে তাকে হতাশায় নিমজ্জিত করে। হতাশা বা বিরক্তি নয় ভালো কাজে লেগে থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ। 


আর ভালো কাজ শুধু নিজের জন্য নয়, বরং অন্যের জন্য ভালো কাজই প্রকৃত ভালো কাজ। যার প্রতিদান স্রষ্টা দেবেন। নিশ্চেই মহামারীর এ সময় একদিন শেষ হবে। তাই এ সময়ে ধৈর্য্য ধারণ করা স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং অন্যের সাহায্যে এগিয়ে আসা দরকার।


এই হাদীসের পরিপূরক হাদীস হচ্ছে সাধারণ বিশ্বাসীর চেয়ে অটল বিশ্বাসীকে আল্লাহ বেশি পছন্দ করেন। কোনো বিপদ-মুসিবত এলে কখনো বলো না, ‘যদি এটা না করতাম তাহলে এ বিপদ হতো না’। কারণ এই ‘যদি’ শব্দটি বিভ্রান্তির দরজা খুলে দেয়। 


বরং বল, ‘আল্লাহ যা নির্ধারিত করেছেন, তা-ই হয়েছে’। (আর ভবিষ্যতে কী করতে পার, তার পরিকল্পনা কর।) হাদীস বর্ণনাকারী: আবু হুরায়রা (রা); গ্রন্থনা: মুসলিম, ইবনে মাজাহ।


কাজেই সমস্যা, বিপদ-আপদকে ইতিবাচকভাবে, স্রষ্টার পরীক্ষা হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। ‘যদি এটা না করতাম তাহলে এ বিপদ হতো না’ এ ধরনের কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এটা আপনাকে অতীতেই নিমজ্জিত করে রাখবে। কিন্তু আপনি কখনোই অতীতে ফিরে যেতে পারবেন না।


তাই যা ক্ষতি হয়ে গেছে তার জন্যে আফসোস না করে ক্ষয়পূরণের জন্য দরকারি কাজের পেছনেই সময় দিন। এটাই সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি। আর যে তার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করবে, আল্লাহ তার পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বদলে দেবেন। হাদীস বর্ণনাকারী: আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা); গ্রন্থনা: হাকেম।


কাজেই বিপদে সবসময় আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে ভবিষ্যত করণীয় নির্ধারণ করতে হবে; বিপদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা সুযোগকে বের করে আনতে মস্তিষ্ককে ইতিবাচকভাবে ব্যবহার করতে হবে। আর জীবনের সব ভালো কাজ সবচেয়ে ভালোভাবে করতে হবে। 


ভালো কাজে ডুবে থাকলে স্রষ্টা নিশ্চয়ই একদিন সুফল দেবেন। তাহলেই স্রষ্টার কাছ থেকে প্রত্যাশামাফিক পুরস্কার পাওয়া যাবে।