ঢাকা, ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১৪ চৈত্র ১৪৩০
good-food
৪৬৮৩

যত রোগের যম চিরতা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:৪২ ২ অক্টোবর ২০১৯  

চিরতা গুরুত্বপূর্ণ ভেষজ। রোগ নিরাময়ে সেই প্রাচীনকাল থেকে তা ব্যবহার হয়ে আসছে। তবে এর শিকড় সবচেয়ে বেশি কার্যকর। নিচে চিরতার উল্লেখযোগ্য ভেষজ গুণ ও ব্যবহার তুলে ধরা হলো-
অ্যালার্জির যম
অ্যালার্জির কারণে শরীর চুলকায়, চুলকানোর জায়গা ফুলে লাল হয়ে যায়, ত্বক থাকা থাকা হয়ে ওঠে।েএস সারাতে দারুণ কাজ করে চিরতার তিতা রস।
রাতে ৪-৫ গ্রাম শুকনো চিরতা এক গ্লাস (২৫০ মিলিলিটার) গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে ছেঁকে দিনে ২-৩ বার খেতে হবে। 

হাঁপানির উপশম
অনেকের হাঁপানি সমস্যা আছে। অর্শের রক্ত পড়া বন্ধ হওয়ায় তা বেড়ে যায়। অল্প ঠাণ্ডা লাগলে বা ঋতু পরিবর্তনের সময় সর্দি-কাশি হয়ে হাঁপানির টান বেড়ে যায়।  আধা গ্রাম চিরতার গুঁড়ো ৩ ঘণ্টা অন্তর মধুসহ চেটে খেতে হবে। এতে ২-৩ দিনের মধ্যে প্রবল হাঁপানি কমে যাবে।
কৃমি সারায় 
কৃমি হলে পেটের উপরের অংশ মোচড়ায়, ব্যথা করে। এক্ষেত্রে আধা গ্রাম চিরতার গুঁড়ো সকালে মধুসহ বা চিনি মিশিয়ে চেটে খেতে হবে। পরে পানি খেতে পারেন। এতে কৃমির উপদ্রব চলে যাবে।
চুলকানি সারায়
গায়ে চুলকানি হলে ২০ গ্রাম চিরতা অল্প পানি ছিটিয়ে বেটে নিতে হবে। এরপর কড়াই বা তাওয়াতে ১০০ গ্রাম সরিষার তেল দিয়ে জ্বাল দিতে হবে। তেল গরম হয়ে ফেনামুক্ত হলে তাতে চিরতা ছাড়তে হবে। ভালো করে ভাজা হলে নামিয়ে ছাঁকতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে চিরতা যেন পুড়ে না যায়। এ তেল চুলকানোর জায়গায় ঘষে অল্প অল্প করে মালিশ করলে দ্রুত চুলকানি সেরে যাবে।
চুল পড়া বন্ধ করে
কোনো কারণ দেখা যাচ্ছে না। অথচ রোজ মাথা থেকে প্রচুর চুল পড়ছে। পড়তে পড়তে ঘন কেশ পাতলা হয়ে যাচ্ছে। মাথায় টাক পড়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে আগের দিন রাতে এক কাপ গরম পানিতে ৫ গ্রাম চিরতা ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরদিন সেই পানি ছেঁকে তা দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেললে চুল ওঠা কমবে। একদিন পর পর এভাবে চিরতার পানি দিয়ে মাথা ধুতে হবে। ৩-৪ বার এভাবে ধুতে পারলে চুল ওঠা অনেক কমে যাবে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে 
চিরতা নিয়মিতভাবে খেলে রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটি দেহে অগ্ন্যাশয়ের ইনসুলিন উৎপাদন ত্বরান্বিত করে। এক্ষেত্রে আগের দিন রাতে শুকনো চিরতা ৪-৫ গ্রাম এক গ্লাস (২৫০ মিলিলিটার) গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরদিন ছেঁকে সকালে খালি পেটে খেতে হবে।
রক্তশূণ্যতা কমায়
চিরতা দেহে রক্তকোষ গঠন করে। তাই এটি সেবনে রক্তশূন্যতা কমে যায়। ঋতুস্রাব বা মাসিকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে তাও কমাতে পারে চিরতা। শরীরের কোথাও কেটে গেলে সেই কাটা স্থানে এর রস লাগিয়ে দিলে দ্রুত রক্ত পড়া বন্ধ হয়। অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ, নাক দিয়ে রক্তপড়া এসবও এটি বন্ধ করতে পারে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় 
চিরতার মধ্যে শক্তিশালী এন্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা বার্ধক্যকে বিলম্বিত করে দিতে পারে। এমনকি নিয়মিত চিরতা সেবনে ক্যানসার ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।