ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
১২৯৯

‘যৌন পটু’ মশা খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা !

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৩:৪২ ২৮ জানুয়ারি ২০১৯  

পৃথিবীতে যত মানুষের প্রতি বছর মৃত্যু হয় তার সিংহভাগ হয় মশা বাহিত কোন ও রোগে আক্রান্ত হয়ে। এই কীট যেভাবে মানবজাতিকে আক্রমণ করেছে যুগে যুগে, এমনটা আর কোনও কীট করতে পারেনি। শুধু মানুষ বললে ভুল হবে, গোটা জীবজগতের কাছেই মশা এক আতঙ্কের নাম নিঃসন্দেহে।

মশার দাপট

বিজ্ঞানীরা বলেন, পৃথিবীতে এখনও অবধি যত মানুষ জন্মেছেন, তার মধ্যে অর্ধেক মানুষ মারা গিয়েছেন মশার কারণে। আবার অনেকে বলেন, সেই সংখ্যাটা তার চেয়েও বেশি হতে পারে। রাস্তার ভবঘুরে থেকে সম্রাট আলেকজান্ডারকে পর্যন্ত মশা ছাড়েনি। মাত্র ৩২ বছর বয়সে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তিনি ব্যাবিলনে মারা যান।

মশার অভিযোজনে সমস্যা

তবে মশার থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া অত সহজ নয়। মশা মারতে যত ধরনের ওষুধ আবিষ্কার হয়েছে, মশা সেগুলির বিরুদ্ধে কীভাবে লড়তে হবে তা অভিযোজনের মাধ্যমে বের করে নিজেকে আরও পরিণত ও শক্তিশালী করেছে। নতুন ওষুধও মশাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি।

উপায় বাতলেছেন বিজ্ঞানীরা

এই সমস্যা থেকে বের হওয়ার উপায় বোধহয় বিজ্ঞানীরা বের করে ফেলেছেন। মশার বংশবৃদ্ধি করতে না দিয়ে মশার দাপট কমিয়ে আনার নয়া ফন্দি বের করেছেন বিজ্ঞানীরা। যা আগামি দিনে মশার দাপট অনেকটা কমিয়ে আনবে বলে মনে করা হচ্ছে।

যৌন আবেদনে সক্ষম মশা

বিজ্ঞানীরা এক নতুন ধরনের মশার সাহায্য নিচ্ছেন সেগুলি যৌন আবেদনে একেবারে একনম্বর। যেটিকে দেখলেই কাছে ঘেঁষবে স্ত্রী মশা। প্রথম দেখাতেই যৌনতায় লিপ্ত হবে। তবে নতুন মশাগুলি বাঁজা হবে। সেগুলির ইতিমধ্যে নির্বীজকরণ করায় সেগুলি যৌনতায় লিপ্ত হলেও কাজের কাজ কিছু হবে না। স্ত্রী মশা সেই সঙ্গম থেকে ডিম পাড়তে পারবে না।

রয়েছে সমস্যাও

এই পদ্ধতি অন্য কীটের ওপরে প্রয়োগ করে ফল মিলেছে। এমনকী কিছু মশার ওপরেও তার প্রয়োগ হয়েছে। তবে সমস্যা হল যৌন আবেদনে ভরপুর মশার যোগান পাওয়াই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সফল হলে সবার মঙ্গল

সেই সমস্যার সমাধান হলে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, জিকা, চিকুনগুনিয়ার মতো একাধিক মশাবাহিত রোগ থেকে মানবজাতি শুধু নয় অন্য প্রাণীরাও বাঁচবে। প্রতিবছর মৃতের সংখ্যা কমে আসবে। ইন্টারনেট।