ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪ || ১৫ চৈত্র ১৪৩০
good-food
৬৭০

রমজানে কী কী খেলে সুস্থ থাকবেন?

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:১৭ ১২ এপ্রিল ২০২১  

রমজান হলো ইসলামিক ক্যালেন্ডারে সংযম ও আত্ম-পরিশোধনের পবিত্রতম মাস। বিশ্বজুড়ে ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষেরা এই মাসে ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকেন। দিনের প্রথম খাবার সূর্যোদয়ের আগে খাওয়া হয় এবং দিনের দ্বিতীয় খাবার সূর্যাস্তের পরে খাওয়া হয়। 


ফলে এই সময়ে শরীরের বিশেষ ভাবে যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাসেও কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি। কারণ সুস্থ না থাকলে সঠিকভাবে রোজা রাখা যায় না। তাই প্রয়োজন স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস। অতিরিক্ত কম খাওয়াও যেমন এই সময়ে স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক, তেমনই আবার বেশি খাওয়া-দাওয়াও ক্ষতিকর। 


এমন খাবার খেতে হবে যা শরীরে শক্তি জোগায় এবং সারাদিন পানি ছাড়া থাকার জন্য প্রস্তুত করে। রোজার সময়ে সুস্থ থাকার জন্য খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন এমন কয়েকটি খাবার এখানে দেওয়া হলো-


সেহেরি
১. সেহেরি যেহেতু দিন শুরু করার প্রথম খাবার, তাই এতে প্রচুর পরিমাণে শস্যজাতীয় খাবার খেতে হবে এবং সহজপাচ্য ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে। এছাড়া অতিরিক্ত তেল, ঝাল, চর্বিজাতীয় খাবার ত্যাগ করতে হবে। অনেকে ভাবেন, যেহেতু সারাদিন না খেয়ে থাকতে হবে, তাই সেহেরির সময়ে প্রচুর খেতে হবে। কিন্তু এই ধারণা একদম স্বাস্থ্যসম্মত নয়। 


সেহেরিতে ভাতের সঙ্গে মিশ্র সবজি, মাছ অথবা মাংস খেতে পারেন। হালকা চিঁড়ের সঙ্গে দইও খুবই উপকারী। এটি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। এতে পানির তৃষ্ণা মেটে সহজেই। এছাড়া দুধে ভেজানো প্রোটিনসমৃদ্ধ এক বাটি ওটমিল শরীরের জন্য প্রচুর উপকারী। স্বাদ বাড়াতে এতে পছন্দসই বাদাম বা ফলের টুকরো যুক্ত করতে পারেন। এক বাটি দই ক্যালসিয়াম, আয়োডিন এবং ভিটামিনের মতো পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এটি আপনাকে সারা দিন না খেয়ে চলতে সাহায্য করবে।


২. সারাদিন হাইড্রেটেড থাকার জন্য তরমুজ, স্ট্রবেরি, পীচ, কমলা, টমেটো, শসা, লেটুস, পালংশাক এবং অন্যান্য তাজা ফল,শাকসবজি খাবারের তালিকায় রাখতে হবে।

 

৩. এক গ্লাস দুধের সঙ্গে বাদাম, আখরোট, চিনাবাদাম খেতে পারেন। এতে শরীরে প্রচুর শক্তি সঞ্চয় হবে।


ইফতার
ইফতার হলো দিনের দ্বিতীয় খাবার। এটি হারিয়ে যাওয়া শক্তি পুনরায় পূরণ করার জন্য সারাদিন না খেয়ে থাকার পরে খাওয়া হয়। চিরাচরিতভাবে এতে মানুষ খেজুর ফলের সঙ্গে রোজা ভঙ্গ করেন। এর পরে স্যুপ, বিরিয়ানি, হালিম, কাবাব এবং আরও অনেক কিছু খাবার গ্রহণ করেন। 


ইফতারে রুটি, ব্রাউন রাইস, মাংস, মাছ, ডিম, ফলমূল এবং কম ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার খেতে হবে। তবে বেশি পরিমাণে নোনতা, মশলাদার বা তেলে ভাজা খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকাই শরীরের জন্য শ্রেয়। এছাড়া তরল-জাতীয় খাবার অবশ্যই খেতে হবে।