ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪ || ৭ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৪১৩

রোদে কমে করোনা সংক্রমণ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৩:০৭ ১৫ এপ্রিল ২০২১  

গত অক্টোবরের পর থেকে ধীরে ধীরে করোনা পরিস্থিতি বাংলাদেশে স্বাভাবিক হতে শুরু করে। কমতে থাকে আক্রান্তের সংখ্যা। শীতকালে সংক্রমণের হার বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা থাকলেও এসময় অর্থাৎ নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত এ গ্রাফ নিম্নমুখী ছিল। ফলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন সাধারণ মানুষ। 


অধিকন্তু ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে মাস ভ্যাকসিনেশন চালু হওয়ায় সংক্রমণ অনেকটাই ঠেকানো যাবে, এই আশাই ছিল সবাই। কিন্তু পরিস্থিতি উল্টো দিকে ঘুরতে শুরু করে মার্চ থেকে। আবারও বেশ কিছু জায়গায় করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকে। দৈনিক কাছাকাছি আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় সহস্রাধিক। হু-হু করে বাড়তে থাকে করোনা। 


এই পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিন চালু হলেও করোনাবিধি মানতে হবে, বলছে প্রশাসন। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার পাশাপাশি সঙ্গে রাখতে হবে স্যানিটাইজার ও মাস্ক। এরই মধ্যে নতুন সমীক্ষা বলছে, খুব সাধারণভাবেই রোদ এই ভাইরাস সংক্রমণ অনেকাংশে কমিয়ে ফেলতে পারে। কমিয়ে ফেলতে পারে মৃত্যুর হারও।

অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হচ্ছে শুয়ে শুয়ে মানুষের। এই পরিস্থিতিতে নতুন এই সমীক্ষা বলছে, কোভিডে মৃত্যু কমাতে পারে সূর্যের আলো। ফলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেসব দেশে সূর্যের আলো পড়ে বেশি, সেখানে করোনায় মৃত্যুর হার কম।


কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, রোদের জায়গায় যাঁরা থাকেন, তাঁদের শরীরে ইউভি-এ রশ্মি বেশি পরিমাণে প্রবেশ করে। পরীক্ষা করে দেখা গেছে, এই রশ্মি মৃত্যুর হার কমাতে সাহায্য করে। এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, পরীক্ষায় দেখা গেছে, যাঁরা রোদে থাকেন, তাঁদের চেয়ে যাঁরা রোদের থাকেন না, তাঁদের করোনায় মৃত্যুর আশঙ্কা বেশি।


ইউভি-এ রেডিয়েশন কী?
ইউভি-এ ৯৫ শতাংশ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি তৈরি করে। এটি ত্বকের সমস্ত স্তরে প্রবেশ করতে পারে। এক্ষেত্রে ইউভি-সি করোনার বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। কিন্তু এটি সরাসরি পৃথিবীতে আসতে পারে না। 


ব্রিটিশ জার্নাল অব ডারমাটোলজিতে প্রকাশিত সমীক্ষা বলছে, আমেরিকায় জানুয়ারি ২০২০ থেকে এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু সমীক্ষা করা হয়েছে। ২ হাজার ৪৭৪টি মৃত্যুর ক্ষেত্রে ইউভি পরিমাণ দেখা হয়েছে। এরপর এই একই সমীক্ষা ইতালি ও ইংল্যান্ডেও করা হয়।


ইউভি-বি নেই একদম এমন কিছু প্রদেশ থেকেও তথ্য সংগ্রহ করা হয়। দেখা যায়,িএটি না থাকায় সেই জায়গায় করোনায় মৃত্যু হার বেশি। এই থিওরির পেছনে গবেষকদের বক্তব্য, নাইট্রাস অক্সাইডে করোনা কমে। এটি সূর্যের আলোয় ত্বকে তৈরি হয়। 


বেশ কয়েকটি গবেষণা বলছে, এই কেমিক্যালে সার্স –কোভ-২ এর কার্যক্ষমতা কমে। এর আগে এমন একটি সমীক্ষা দাবি করেছিল, সূর্যের আলোয় কার্ডিওভাসকুলার হেলথ ভালো থাকে, ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা কমে।
 

করোনাভাইরাস বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর