ঢাকা, ১৯ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৪১৪

শীতে সারাদেশে ৬৪ জনের মৃত্যু

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৪:৫৫ ১৫ জানুয়ারি ২০২০  

শীত ও শীতজনিত রোগে এ মৌসুমে বাংলাদেশে মোট ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ উত্তরবঙ্গে দিন পার করা কঠিন হয়ে পড়েছে নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য৷ সরকারের দাবি পর্যাপ্ত ত্রাণ দেয়া হচ্ছে কিন্তু সেগুলো পৌছেনি চাহিদামতো এসব মানুষের কাছে৷

গত তিনদিনে রাজধানীসহ আশাপাশের  কুয়াশার তীব্রতা বেড়েই চলেছে। প্রায় রাতেই নদীবন্দরগুলোতে ফেরী চলাচল বন্ধ রাখা হচ্ছে। শাহজালাল বিমান বন্দরে টানা তিন ৭ ঘন্টা করে বিমান উঠানামা বন্ধ রাখতে হচ্ছে।

এ অবস্থায় আগামী সপ্তাহে শৈত্যপ্রবাহে সারাদেশে আবারও তাপমাত্রা কমে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর৷  
ডিসেম্বর থেকেই বেশ কয়েকবার তীব্র শীতের কবলে পড়েছে বাংলাদেশ৷ নিম্নবিত্ত মানুষ গরম কাপড়ের অভাবে চরম কষ্টের মধ্যে পড়েছেন৷ একই সঙ্গে শীত ও শীতজনিত রোগে মৃত্যুও বাড়ছে৷ যারা মারা যাচ্ছেন তাদের অধিকাংশই শিশু৷
সরকারের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে কম্বল বিতরণ করা হলেও তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম৷ অন্যদিকে বেসরকারি উদ্যোগেও গরম কাপড় এবং অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী বিতরণ তেমন নয়৷

ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের হিসেবে এ পর্যন্ত দেশের ৬৪ জেলায় প্রায় ৩২ লাখ কম্বল দেয়া হয়েছে বিতরণের জন্য৷ বিভিন্ন জেলায় কম্বল কিনে শীতার্ত মানুষের মধ্যে বিতরণের জন্য দুই কোটি ৩৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে৷ আর উত্তরের আট জেলায় ১৬ হাজার কার্টন শুকনো খাবার ও শিশু খাদ্য পাঠানো হয়েছে৷
ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন৷  
৬৪ জনের মৃত্যু
বাংলাদেশে এ পর্যন্ত শীত ও শীতজনিত রোগে মোট ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ আর বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় চার লাখ মানুষ৷ তাদের অধিকাংশই শিশু৷
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী গত এক নভেম্বর পর্যন্ত শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে ২০ জন, ডায়রিয়ায় চার জন এবং শীতজনিত অন্যান্য রোগে মারা গেছেন ৩০ জন৷ এইসব রোগের মধ্যে আছে জন্ডিস, আমাশয়, জ্বর প্রভৃতি৷ তবে এককভাবে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি প্রায় দেড় লাখ৷ আর গত ২৪ ঘন্টায় শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার৷ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরুরি কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে যারা মারা গেছেন তাদের ৮০ ভাগই শিশু৷ এরপর আছেন বয়স্করা৷

ঢাকায়  শীত একটু কমে এলেও রংপুর ও রাজশাহীর ১১ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ চলছে৷ আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে আগামী সপ্তাহের শেষে আবার তীব্র শীত এবং শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে সারাদেশে৷
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে রংপুর এবং রাজশাহী বিভাগের বেশ কিছু অঞ্চলের উপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে৷ বুধবার তাপমাত্রা বাড়তে পারে৷ তবে আগামী সপ্তাহে সারাদেশে তাপমাত্রা আবার কমে যাবার আশঙ্কা আছে৷