ঢাকা, ১৯ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
২৫১৯

শৈলকুপায় ঘুড়ি ওড়ানো প্রতিযোগিতা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৬:৫০ ১২ জুন ২০১৯  

শহরের কোলাহল থেকে একটু শান্তির পরশ আর বিনোদন পেতে গত সোমবার দুপুর থেকেই ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার পুঁটিমারি গ্রামের মাঠে আসতে শুরু করেন বিনোদনপ্রেমীরা। কেউবা হেঁটে, কেউবা সাইকেলে বা মোটরসাইকেলে। উদ্দেশ্য বাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ঘুড়ি ওড়ানো প্রতিযোগিতা দেখা। আর অপরকে বিনোদন দিতে বিভিন্ন ধরনের ঘুড়ি নিয়ে হাজির হয়েছিলেন নানা বয়সি মানুষ।
কোয়াড়ে, ঢাউস, চিলা, বেড়া, ফিঙ্গেসহ প্রায় ১০ ধরনের রংবেরংয়ের ঘুড়ি নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেন প্রতিযোগীরা। হাওয়ায় ভেসে থাকা ঘুড়ি সবার ওপড়ে ওঠানোর লড়াই চলে বিকাল পর্যন্ত। তিন ক্যাটেগড়িতে হয় প্রতিযোগিতা। ঈদুল ফিতরের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে উপজেলার পুঁটিমারি গ্রামের মাঠে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে স্থানীয় যুবসমাজ।
দিনভর চলা এই প্রতিযোগিতায় ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়ার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা শতাধিক ব্যক্তি তাদের ঘুড়ি নিয়ে অংশ নেন। সন্ধ্যায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। মনোমুগ্ধকর ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ও দেখতে মাঠে ভিড় করে নানা বয়সি মানুষ। প্রতিবছর এ ধরনের আয়োজন করার দাবি জানান তারা।
ঝিনাইদহ শহর থেকে যাওয়া ব্যবসায়ী শাহিনুর রহমান টিটো জানান, ঘুড়ি ওড়ানোর খবর পেয়ে দেখতে এসেছেন। ছোটবেলায় গ্রামে এ প্রতিযোগিতা দেখেছেন। অনেক দিন পর এ প্রতিযোগিতা দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল।
শৈলকুপা উপজেলা সদর থেকে যাওয়া আরাফাত হোসেন জানান, গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিযোগিতা দেখে খুবই আনন্দিত তিনি। প্রতিবছর এ ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা উচিত, যেন বর্তমান প্রজš§ বাংলার ঐতিহ্য সম্পর্কে ধারণা পায়।
নিজে আনন্দ পাওয়া আর অন্যকে আনন্দ দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া বলে জানালেন অংশগ্রহণকারীরা। প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া পুঁটিমারি গ্রামের পঞ্চাশোর্ধ্ব বশির উদ্দিন জানান, ছোটবেলা থেকেই গ্রামের মাঠে ঘুড়ি উড়িয়েছেন। যেখানেই এ প্রতিযোগিতায় হয় সেখানেই যান। তবে পুরস্কার জেতা মূল উদ্দেশ্য নয়। তিনি আনন্দ পান ঘুড়ি উড়িয়ে অন্যদের আনন্দ দিতে।
আয়োজকদের একজন নাজমুল ইসলাম জানান, হারানো ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে আর তা বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতেই এ আয়োজন।