৫, ১০, ২৫ ও ৫০ পয়সা কী এখন অচল?
লাইফ টিভি 24
প্রকাশিত: ২২:৪২ ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
দেশে ১ পয়সার ব্যবহার স্মরণে নাও হতে পারে। তবে ১ টাকায় ৪টি লজেন্স এবং ৮ আনা বা ৫০ পয়সায় আইসক্রিম কেনার কথা অনেকেই মনে করতে পারেন। এখন এসব ধাতব মুদ্রার ব্যবহার চোখে পড়ে না বললেই চলে।
১৯৭৩ সালে প্রথম ৪টি ধাতব মুদ্রা প্রচলন করা হয়। সেগুলো হচ্ছে ৫ পয়সা, ১০ পয়সা, ২৫ পয়সা ও ৫০ পয়সা। পরের বছর আরেকটি নতুন মুদ্রা সংযোজিত হয়, যার মূল্যমান ছিল ১ পয়সা।
বর্তমানে ধাতব মুদ্রাগুলো মানুষের সংগ্রহে নেই বললেই চলে। এসবের ব্যবহারও কমেছে। আগে এসব দিয়ে পণ্য কেনা যেতো। এখন সবচেয়ে কম দামের পণ্যটি কিনতে দাম পরিশোধ করতে যে পরিমাণ ধাতব মুদ্রা ব্যবহার করা হয় তা ওজনে বেশ ভারী।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কমিউনিকেশনস অ্যান্ড পাবলিকেশন্স বিভাগের যুগ্ম-পরিচালক তানভীর আহমেদ বলেন, শখের বসে অনেকেই ছোট ছোট ধাতব মুদ্রা সংগ্রহ করেন। কিন্তু এগুলোর আসলে তেমন কোনো ব্যবহার নেই।
বাংলাদেশ কয়েনেজ অ্যাক্ট ১৯৭২ অনুযায়ী, এ ধাতব মুদ্রাগুলো বাতিল বা অচল করা হয়নি। এখনো চাহিদা অনুযায়ী সেগুলো বিনিময়ের সুযোগ রয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকও ধাতব মুদ্রা ব্যবহারে জনগণকে উৎসাহিত করে।
১৯৭৩ সালে প্রচলিত হওয়া মুদ্রাগুলো মূলত অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি। আর ২৫ ও ৫০ পয়সা ছিল ইস্পাতের তৈরি। সেসময় প্রচলিত ১ পয়সায় একদিকে জাতীয় প্রতীক এবং অন্যদিকে লাঙল ও শিল্প চাকার প্রতিকৃতি ছিল।
১০ পয়সার একদিকে জাতীয় প্রতীক এবং অন্যদিকে পানপাতা, ২৫ পয়সার একদিকে জাতীয় প্রতীক এবং অন্যদিকে রুই মাছ, ৫০ পয়সার একদিকে জাতীয় প্রতীক আর অন্যদিকে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের প্রতিকৃতি ছিল।
১৯৭৪ সালে ১, ৫, ১০ ও ২৫ পয়সার মুদ্রা আবারো বাজারে ছাড়া হয়। সেসময় ১ পয়সার নকশায় আগের তুলনায় পরিবর্তন আসে। এর একদিকে জাতীয় প্রতীক থাকলেও অন্যদিকে অলঙ্কারসমৃদ্ধ নকশা, পুষ্পশোভিত নিদর্শন যুক্ত করা হয়।
১৯৭৭ সালে ১ পয়সা বাদে বাকি ৪টি ধাতব মুদ্রা বাজারে আসে। সেগুলোর মধ্যে ৫ পয়সার মুদ্রার নকশা অপরিবর্তিত থাকে। পরিবর্তন আসে অন্য ৩টি মুদ্রার নকশায়।
১০ পয়সার মুদ্রার একপাশে জাতীয় প্রতীক, অন্যপাশে একজন পুরুষ ও নারী কোলে বাচ্চাসহ একে অপরের অভিমুখে একই আসনে বসা, ২৫ পয়সার একদিকে জাতীয় প্রতীক এবং অন্যদিকে রয়েল বেঙ্গল টাইগার আর ৫০ পয়সায় জাতীয় প্রতীক ছাড়া ইলিশ, মুরগি, আনারস ও কলার প্রতিকৃতি যুক্ত করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মুদ্রার চাহিদা কতটা আছে সেটার ওপর নির্ভর করে সেই মুদ্রা বানানো হবে কি না। কারণ, এর উৎপাদনও বেশ ব্যয়বহুল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, গত অর্থবছরে টাকা ছাপানোর জন্য খরচ হয়েছে ৩৮৪ কোটি টাকা। দেশে যেসব কাগজের তৈরি ব্যাংক নোট রয়েছে, সেগুলো বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন থেকে ছাপানো হয়। কিন্তু ধাতব মুদ্রা দেশে নয়, অন্য দেশ থেকে তৈরি করে আনতে হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এ কর্মকর্তা জানান, দেশে সবশেষ ২০১১-১২ অর্থবছরে ৩টি ধাতব মুদ্রা বিদেশ থেকে মিন্ট বা তৈরি করে আনা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে ১ টাকা, ২ টাকা এবং ৫ টাকার ধাতব মুদ্রা। এর মধ্যে ১ টাকার মুদ্রা স্লোভাকিয়া, ২ টাকার মুদ্রা জাপান এবং ৫ টাকার মুদ্রা ফিনল্যান্ড থেকে তৈরি করে আনা হয়। এছাড়া ১ টাকার চেয়ে কম মূল্যের যেসব ধাতব মুদ্রা রয়েছে, যেমন ১ পয়সা, ৫ পয়সা, ১০ পয়সা, ২৫ পয়সা এবং ৫০ পয়সা- সেগুলো তৈরি করা আপাতত বন্ধ রয়েছে।
কারণ হিসেবে তানভীর আহমেদ জানান, বাজারে এসব মুদ্রার যে চাহিদা রয়েছে, এর চেয়ে বেশি পরিমাণ মুদ্রা মজুত রয়েছে। ধাতব মুদ্রা ব্যবহারের ক্ষেত্র বাড়ানো গেলে সেগুলোর ব্যবহার বাড়তে পারে। ১ টাকার চেয়ে কম মূল্যমানের পয়সার কোনো ব্যবহার নেই। এমনকি ১ টাকার কয়েনের ব্যবহারও তেমন নেই। তবে ২ টাকা এবং ৫ টাকার ধাতব মুদ্রার ব্যবহার এখনো আছে। মূলত ব্যবহার না থাকার কারণেই ছোট পয়সা চোখে পড়ে না।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে জনগণকে কয়েন বা ধাতব মুদ্রা ব্যবহারে উৎসাহিত করা হয়। এছাড়া প্রতিটা ব্যাংকের শাখায় ধাতব মুদ্রা মজুতের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা রয়েছে। যাতে এসব মুদ্রা জনগণের কাছে বিতরণ বা লেনদেনের করা যায়। যেকোনো ব্যক্তি যেকোনো পরিমাণ ধাতব মুদ্রা ব্যাংক থেকে নিতে পারবেন। এতে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ কর্মকর্তা জানান, যেহেতু ধাতব মুদ্রা জনগণ এবং অন্যান্য ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে যায়। তাই চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে যথেষ্ট পরিমাণ মুদ্রা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে মজুত রয়েছে। যেকোনো ব্যক্তি চাহিদা অনুযায়ী, যেকোনো ধরনের ধাতব মুদ্রা এখান থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে বিভিন্ন কারণে জনগণ ধাতব মুদ্রা বা পয়সার ব্যবহারে আগ্রহ হারিয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে বাজার ব্যবস্থায় পণ্য বা সেবার দাম পরিশোধের ক্ষেত্রেও পয়সার ব্যবহার নেই। সাধারণত দাম একটি পূর্ণ অঙ্কে পরিশোধ করতে হয়। যে কারণে পয়সার ব্যবহার কমে গেছে। আবার ধাতব মুদ্রা ওজনে ভারী হওয়ার কারণেও অনেকে এসব কয়েন ব্যবহার করতে চান না।
- লেবুপানি খাবেন যে কারণে
- রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ৩ যুবক নিহত
- গরিবদের জন্য চার চাকা আনলো পিয়াজ্জিয়ো
- ঢাকায় ভিসা কেন্দ্র খুললো চীন
- জলবায়ু পরিবর্তন: ভয়াবহ ঝুঁকির মুখে বাংলাদেশ
- ইরানে হামলা: নাগরিকদের ইসরায়েল ছাড়তে বললো অস্ট্রেলিয়া
- দেশব্যাপী ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের শূন্য পদ দ্রুত পূরণের নির্দেশ
- আইপিএল থেকে মুস্তাফিজকে ফেরাতে বিসিবির সঙ্গে একমত সুজন
- পরীমণিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি
- খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ
- আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ
- নৌকায় চড়ে জরুরি কাজ সারছেন শারজাহবাসী
- প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে এইচএসসি পাসে ৬৩৮ পদে চাকরি
- বোতলজাত সয়াবিনের দাম বাড়লো ৪ টাকা, খোলা তেল কমেছে ২ টাকা
- প্রেমে ব্যর্থ হয়ে আত্মহত্যা করলে প্রেমিকা দায়ী নয়:দিল্লি হাইকোর্ট
- গুলশানে চুলোচুলি করা সেই ৩ নারী গ্রেপ্তার
- তীব্র গরমে সুস্থ থাকতে যে ৭ খাবার খাবেন
- সালমানকে মারবেন না, এখনও সংসার হয়নি, কান্নায় ভেঙে পড়লেন রাখি
- হরমুজ প্রণালী বন্ধের হুমকি ইরানের, উদ্বিগ্ন পুরো বিশ্ব
- মিয়ানমার বাহিনীর আরও ৪৬ সদস্য বাংলাদেশে ঢুকে পড়লো
- বার্সাকে কাঁদিয়ে সেমিতে পিএসজি
- ৬ টাকার ডিম নিলামে তুলে সোয়া দুই লাখ সংগ্রহ মসজিদের
- যেভাবে তাপকে পরাস্ত করে গ্রীষ্মেও ঠান্ডা থাকা যায়
- তীব্র গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার ১০ উপায়
- এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু
- ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালালে জবাব দেবে ইরান
- বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১৪, একই পরিবারের ৫ জন
- সয়াবিন তেলের দাম বাড়ল লিটারে ১০ টাকা
- আমার কাছে বাংলা নববর্ষটা অন্য রকম: নুসরত জাহান
- আমার কাছে বাংলা নববর্ষটা অন্য রকম: নুসরত জাহান
- ঈদে মন খারাপ নুসরাত ফারিয়ার
- গুলশানে চুলোচুলি করা সেই ৩ নারী গ্রেপ্তার
- ঈদে শাকিব খানের ‘সেঞ্চুরি’
- ডায়াবেটিস কাদের পরীক্ষা করানো উচিত, জানালেন চিকিৎসক
- পহেলা বৈশাখের সঙ্গে হালখাতার সম্পর্ক ছিল না
- রাজ্য হিসেবে জম্মু-কাশ্মীরের মর্যাদা ফিরিয়ে দেয়ার ঘোষণা মোদির
- ৬ টাকার ডিম নিলামে তুলে সোয়া দুই লাখ সংগ্রহ মসজিদের
- সর্বোচ্চ গোলদাতার লড়াই জমে গেছে
- লঞ্চ দুর্ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে যা দেখা গেলো
- পহেলা বৈশাখ:ঘোরাঘুরি ও খাবারদাবারে সতর্ক থাকুন
- তীব্র গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার ১০ উপায়
- ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে
- জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পেলো এমভি আব্দুল্লাহ ও ২৩ নাবিক
- ভিডিও বার্তায় দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের শূন্য পদ দ্রুত পূরণের নির্দেশ
- বৈশাখের প্রথম দিন আবহাওয়া যেমন থাকবে
- যেভাবে এলো বাংলা ১২ মাসের নাম
- ইসরায়েলে ইরানের হামলা প্রতিহতের দাবি বাইডেনের
- ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আট ভেন্যু চূড়ান্ত