ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪ || ১৪ চৈত্র ১৪৩০
good-food
৯৪২

রংপুরেই দাফন করা হলো এরশাদকে

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৮:২৭ ১৬ জুলাই ২০১৯  

নেতা-কর্মীদের দাবির মুখে নিজ বাড়ি পল্লীনিবাসেই দাফন করা হলো জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে।

মঙ্গলবার বিকেলে রংপুর ঈদগাহ মাঠে চতুর্থ জানাজায় স্থানীয় নেতা-কর্মীর পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ঢল নামে। এসময় দাফন কোথায় হবে, এ বিষয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

সব উত্তেজনা ও জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সাড়ে ৫টার পর রাষ্ট্রিয় মর্যাদায় এরশাদের দাফন সম্পন্ন হয় রংপুরেই।

বেলা সাড়ে ১২টার দিকে হেলিকপ্টারে করে পৈতৃক নিবাসে নেয়া হয় এরশাদের মরদেহ।

রংপুরে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জানাজায় অংশ নেন স্থানীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

দুপুর আড়াইটার দিকে ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হয় তার চতুর্থ ও শেষ নামাজে জানাজা।

 

এদিকে, জানাজা শুরুর আগমুহুর্তে এরশাদকে রংপুরে দাফনের দাবিতে হট্টগোল করতে থাকেন নেতা-কর্মীরা। তারা বলেন, আমরা চাই আমাদের নেতার রংপুরেই দাফন করা হোক।

 

অবশেষে নেতাকর্মীদের দাবির মুখে দলের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়, রংপুরের পল্লীনিবাসেই হবে এরশাদের দাফন। এতে সম্মতি জানান, স্ত্রী রওশন এরশাদও।

 

জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, ভালোবাসার জয় হয়েছে। রংপুরের মানুষ এরশাদকে ভালোবাসে এটা তার বহিঃপ্রকাশ। রংপুরের জনগণ যখন জোর দাবি তুললো এখানেই দাফন করতে হবে, আমরা আর সেই দাবি ফেলতে পারলাম না।

 

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙা বলেন, যেহেতু এটা তার নিজের জায়গা, নিজের বাড়ি। এখানে আমরা উনার জীবনের সার্বিক বিষয় নিয়ে একটা মিউজিয়াম তৈরি করবো।

 

তার আগে, দলীয় প্রধানকে শেষ বিদায় জানাতে মঙ্গলবার সকাল থেকেই রংপুর ঈদগাহ মাঠে জড়ো হতে শুরু করেন স্থানীয় নেতাকর্মী ও রংপুরের সর্বসাধারণ। তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রংপুরবাসী।

 

ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় গেল ১৪ জুলাই সাবেক সামরিক শাসক এরশাদের মৃত্যু হয়। ওইদিন বাদ জোহর ঢাকা সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তার প্রথম জানাজা হয়।

 

সোমবার বিরোধী দলীয় নেতা এরশাদের দ্বিতীয় জানাজা হয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়। এরপর বাদ আসর বায়তুল মোকররম জাতীয় মসজিদে তৃতীয় দফায় জানাজা হয়।

 

এরশাদের মৃত্যুর দিন জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রয়াত এই নেতার দাফন হবে বনানীতে সামরিক কবরস্থানে। তবে রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও জাতীয় পার্টির নেতা মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ স্থানীয় নেতারা রংপুরে এরশাদকে কবর দেয়ার দাবি করেন। সোমবারও এই দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।

 

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার ঢাকা তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে এরশাদের কফিন নিয়ে রংপুরের উদ্দেশে রওনা হয়। কফিনের সঙ্গে রংপুর যান জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও এরশাদের ছোট ভাই জি এম কাদের, এরশাদের ছেলে রাহগির আল মাহি শাদ এরশাদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাসহ একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা।