ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪ || ৭ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৫৩৭

গরুকে কম্বল দান করলেই মিলবে বন্দুকের লাইসেন্স!

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:১৬ ২১ ডিসেম্বর ২০১৯  

বন্দুকের লাইসেন্স দরকার? এজন্য কোনও ব্যক্তিগত তথ্য দরকার নেই। লাগবে না কোনও জরুরি নথিও। চোখ-কান বুজে শুধু গো-শালায় (গরু থাকার স্থান) ১০টি কম্বল দান করতে হবে। তাহলেই কেল্লাফতে! আপনাকে হাতে হাতে বন্দুকের লাইসেন্স দিয়ে দেয়া হবে। এমন আজব নীতি চালু হলো মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে।
জেলা প্রশাসক অনুরাগ চৌধুরী শনিবার এমনই নির্দেশিকা জারি করেছেন। তিনি বলেন, আত্মরক্ষার জন্য নিজের কাছে বন্দুক রাখতে গেলে এখন থেকে কোনও ব্যক্তিগত তথ্য সরকারের ঘরে জমা দেয়ার দরকার নেই। বরং খুশি মনে গরুদের কম্বল দান করলেই হবে। গো-শালায় ১০টা কম্বল দান করলেই বন্দুকের লাইসেন্স পেতে আর কোনও অসুবিধাই হবে না আবেদনকারীর।
দেশে যেভাবে নৈরাজ্য বাড়ছে, তাতে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার ছাড়পত্র যদি এমনভাবে মেলে তাহলে অপরাধপ্রবণতা আরও বাড়বে না কি? স্বভাবতই জেলা প্রশাসকের সেই নির্দেশিকার পরে এমন অনেক প্রশ্ন উঠেছে। তাতে অবশ্য নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেননি অনুরাগ চৌধুরী। তার পাল্টা যুক্তি, গো-শালায় কম্বল দান মানে প্রাণীদের প্রতি যত্নবান হওয়া। এই পদ্ধতি চালু হলে পরিবেশ সচেতনতা আরও বাড়বে। এমন ব্যতিক্রমী ভাবনায় সমাজের একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তনও হবে।
এর আগেও এমন অদ্ভুত নীতি চালু করতে গিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন জেলা প্রশাসক। সেবারও এমন নির্দেশিকা জারি করে তিনি বলেছিলেন, গাছ লাগিয়ে সেগুলোর যত্ন করতে পারলেই বন্দুক রাখার ছাড়পত্র দেয়া হবে। প্রবল বিতর্কের মুখে সেই নির্দেশিকা ধোপে টেকেনি।
বেওয়ারিশ গরুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য ইতিমধ্যেই বিশেষ পদক্ষেপ নিতে চলেছে যোগী সরকার। উত্তরপ্রদেশের বড়াবাঁকি ও মহারাজগঞ্জ এলাকায় পর্যটকদের জন্য ‘গরু সাফারি’ চালু করার ভাবনাও রয়েছে প্রাদেমিক সরকারের। 
তবে গরুদের নিয়ে এ ধরনের কাজকর্ম উত্তরপ্রদেশে নতুন নয়। শীতে গরুদের কষ্ট হতে পারে বলে কিছু দিন আগেই তাদের জন্য শীতবস্ত্র বানানোর ব্যবস্থা করেছে যোগী সরকার। এর আগে আগস্টে ‘মুখ্যমন্ত্রী নিরশ্রিত বেসাহারা গো-বংশ সাহাবিতা যোজনা’ চালু হয়েছে রাজ্যে। এই প্রকল্পে গরুর জন্য নাগরিকদের কাছ থেকে প্রতিদিন ৩০ টাকা করে অনুদান চাওয়া হয়েছে।