ঢাকা, ১৪ জুন শনিবার, ২০২৫ || ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
good-food
৪০

ভারতীয় বিমানে কী ঘটেছিল, জানালেন বেঁচে যাওয়া একমাত্র যাত্রী

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:৩৮ ১৩ জুন ২০২৫  

ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার একমাত্র বেঁচে ফেরা যাত্রী বিশ্বাস কুমার রমেশ জানিয়েছেন, কীভাবে তিনি অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে যান। এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট AI171-এর এই দুর্ঘটনায় ২৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার, আহমেদাবাদের সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড়ানের কিছুক্ষণের মধ্যেই।

 

৩৮ বছর বয়সি রমেশ, ব্রিটিশ নাগরিক এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তিনি বিমানের বাঁ দিকের ইমার্জেন্সি দরজার পাশে ১১এ নম্বর সিটে বসে ছিলেন। দুর্ঘটনার পরে আমদাবাদ সিভিল হাসপাতালের চিকিৎসকদের তিনি বলেন, “বিমানটি মাঝ আকাশে ভেঙে যায়, আর আমার সিটটি বিচ্ছিন্ন হয়ে ধ্বংসস্তূপের বাইরে ছিটকে পড়ে। তাই আগুন থেকে রক্ষা পাই।” তিনি আরও বলেন, “আমি লাফ দিইনি, বিমানের ভেঙে পড়ার সময় সিটে বাঁধা অবস্থাতেই আমি ছিটকে পড়ি।”

 

দুর্ঘটনার পর এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে রক্তাক্ত ও আহত অবস্থায় রমেশকে অ্যাম্বুল্যান্সের দিকে হাঁটতে দেখা যাচ্ছে। চারপাশে উপস্থিত মানুষ তাঁকে বিমান ও অন্য যাত্রীদের সম্পর্কে প্রশ্ন করছিলেন।

 

এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারটি লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। বিমানে ছিলেন ২৩০ জন যাত্রী ও ১২ জন ক্রু সদস্য। দুর্ঘটনার সময় বিমানটি একটি মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলে ধাক্কা মারে। মাত্র ৬০০-৮০০ ফুট উঁচুতে উঠে বিমানটি আচমকাই নেমে আসে এবং জ্বলে ওঠে। বিস্ফোরণের শব্দ ও আগুনের কুণ্ডলী বহু দূর থেকে দেখা যায়।

 

বিমানের বিভিন্ন অংশ—ল্যান্ডিং গিয়ার, ফুসেলাজ, টেল—ভেঙে পড়ে গিয়েছে আমদাবাদ BJ মেডিক্যাল কলেজের ভিতরে। হাসপাতালের একাধিক বিভাগও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, দুপুর ১টা ৩৯ মিনিটে বিমানটির পাইলট 'মেডে' সংকেত পাঠান, যা জরুরি পরিস্থিতির ইঙ্গিত দেয়।

 

বিমানটিতে থাকা যাত্রীদের মধ্যে ১৬৯ জন ছিলেন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, সাতজন পর্তুগিজ এবং একজন কানাডীয়। ক্রু সদস্যদের মধ্যে ছিলেন দু'জন পাইলট ও ১০ জন কেবিন ক্রু। এই বিমানে প্রাক্তন গুজরাত মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি-সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তি ছিলেন। তাঁদের কারওই প্রাণে রক্ষা হয়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। বিমানের 'ব্ল্যাক বক্স' অর্থাৎ ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার এবং ককপিট ভয়েস রেকর্ডার খুঁজে বের করার কাজ চলছে। তাতেই মিলতে পারে শেষ মুহূর্তে আসল কী ঘটেছিল, সেই উত্তর।