অদৃশ্য হয়ে গেল বিশাল নদী !
লাইফ টিভি 24
প্রকাশিত: ১৩:৫৬ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
আন্দেজ পর্বতমালায় উৎপত্তি, তারপর কলম্বিয়ার উর্বর জমির ভেতর দিয়ে একেঁ বেঁকে এই নদী চলে গেছে ক্যারিবীয় সাগর পর্যন্ত। কাউকা নদী এক হাজার ৩৫০ কিলোমিটারে দীর্ঘ, একটা পর্যায়ে এটি এসে মিশেছে ম্যাগডালেনা নদীর সঙ্গে।
ধারণা করা হয় এই নদীর তীরে বাস করে প্রায় এক কোটি মানুষ। কলম্বিয়ার মোট জনসংখ্যার এক পঞ্চমাংশ।
এই দীর্ঘ যাত্রাপথে কাউকা নদীর ওপর রয়েছে অনেক হাইড্রোইলেকট্রিক বাঁধ। নদীর দুই তীরে গড়ে উঠেছে অনেক শিল্প-কারখানা, নগর-বন্দর-গ্রাম। লাখ লাখ কৃষক আর মৎস্যজীবীর জীবন চলে এই নদীর ওপর নির্ভর করে।
গত বছরের মে মাসে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছিল কলম্বিয়ায়। নদীর একটা জায়গায় একটা বিরাট বাঁধ দেয়া হচ্ছিল। এই বাঁধ নির্মাণের সময় সেখানে একটা বড় ত্রুটি দেখা দিল। সেটির কারণে ভাটিতে হঠাৎ বন্যা হলো। হাজার হাজার মানুষ সেই বন্যায় তাদের বাড়ি-ঘর ছাড়তে বাধ্য হলো।
কিন্তু এরপর যা ঘটলো তা বেশ নাটকীয়। এই বিরাট নদী যেন উধাও হয়ে গেল। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এ বছরের ফেব্রুয়ারীর মধ্যে কাউকা নদীর পানি এতটাই শুকিয়ে গেল যে, স্থানীয় হাইড্রোলজিস্টরা বলছেন, তারা এই নদীর পানিও আর মাপতে পারছেন না।
কাউকা নদীর ভাগ্যে কী ঘটেছে ?
কলম্বিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে পুয়ের্তো ভালডিভিয়া এবং ইটুয়াংগো শহরের কাছে তৈরি হচ্ছে এক বিরাট হাইড্রো-ইলেকট্রিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। সেটির জন্য সেখানে কাউকা নদীতে বাঁধ দেয়া হচ্ছে।
এই নির্মাণ কাজটি করছে ইপিএম নামে একটি কোম্পানি। কাউকা নদীর পানি ভিন্নখাতে নেয়ার জন্য তারা প্রথমে তিনটি টানেল তৈরি করে।
কিন্তু গত বছরের মে মাসের শুরু থেকে সেখানে সমস্যা দেখা দেয়। ৭ মে সেখানে পানি ভিন্ন খাতে নেয়ার জন্য তৈরি টানেলের কাছে একটি বিরাট খাদ তৈরি হয়। একই সঙ্গে ভূমিধস শুরু হয়। ফলে টানেলগুলোর মুখ বন্ধ হয়ে যায়। প্রকৌশলীরা অনেক চেষ্টা করেও কিছু করতে পারেননি।
পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর বাঁধের অপর পাশে পানির চাপ বাড়তে থাকে। এই চাপ কমানোর কোন উপায় তখন আর ছিল না। ফলে পুরো জলাধার পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।
দশদিন পর প্রচন্ড পানির চাপে একটি টানেলের মুখ আবার খুলে যায়। এরপর এতটাই তীব্র বেগে ওই টানেল দিয়ে পানি ছুটতে থাকে যে, তা ভাটিতে ব্যাপক বন্যা তৈরি করে। ২৫ হাজার মানুষকে তখন জরুরী ভিত্তিতে তাদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নিতে হয়।
কিন্তু হিড্রোইটুয়াংগো বাঁধের সমস্যা আরও জটিল রূপ নিল। পরবর্তী সপ্তাহগুলোতে প্রচন্ড বৃষ্টি হলো। বাঁধের উপরের দিকটায় অনেক পলি জমলো। ফলে নদীর তলদেশ উঁচু হয়ে বাঁধের উপর দিয়ে পানি উপচে পড়তে লাগলো। পুরো বাঁধটি তখন দুর্বল হয়ে গেল।
প্রকৌশলীরা আশংকার প্রকাশ করলেন যে, পুরো বাঁধটি এখন ধসে পড়তে পারে। প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার মানুষকে সতর্কাবস্থায় রাখা হলো।
কীভাবে এই বাঁধের ধস ঠেকানো যায়, তখন থেকে সেটিই সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার পেতে লাগলো।
যেহেতু টানেলগুলোর মুখ বন্ধ হয়ে গেছে ভূমিধসে, তাই নদীর পানি ছাড়ার উপায় একটাই। তাহলো জলাধারের উচ্চতায় পানি পৌঁছানোর পর কিছু ফ্লাডগেট তৈরি করে সেখান দিয়ে এই পানি ছাড়া।
কিন্তু যখন শুকনো মৌসুম শুরু হলো, তখন পানির উচ্চতা নেমে গেল অনেক নিচে। ফলে নদীর অপরপাশে পানি ছাড়ার কোন উপায় আর রইলো না।
পানি কমতে থাকায় এ বছরের ১৬ জানুয়ারি অপরপাশে অবমুক্ত করার পানির পরিমান নেমে আসলো প্রতি সেকেন্ডে মাত্র ৩৯৫ কিউবিক মিটারে। আর ৫ই ফেব্রুয়ারী একদম বন্ধ হয়ে গেল পানির স্রোত। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অদৃশ্য হয়ে গেল কাউকা নদী।
পুয়ের্তো ভারডিভিয়া শহরের কর্মকর্তারা ৪ ফেব্রুয়ারী নদীতে পানির গভীরতা পেয়েছিলেন ১ দশমিক ৯৬ মিটার। ৫ই ফেব্রুয়ারি তা কমে দাঁড়ালো ৪২ সেন্টিমিটারে।
যেখানে একসময় ছিল এক প্রমত্তা নদী, সেখানে এখন কেবল পাথর আর কাদা। হাজার হাজার মাছ সেখানে পানির অভাবে ছটফট করছে। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা সেসব মাছ ধরে তাদের প্রাণে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন।
নদীর পানি পরিমাপের কাজ করেন যে প্রকৌশলীরা, তারা বলছেন, পানির স্রোত এখন এতটাই ক্ষীণ যে, তাদের যন্ত্রে আর সেটি মাপা যায় না। তাদের যন্ত্রের রিডিং হচ্ছে - শূন্য।
আর নদীর ভাটিতে এতদিন যারা বন্যার আশংকার মধ্যে ছিলেন, এবার তারা খরায় আক্রান্ত। তাদের জমিতে সেচ দেয়ার পানি নেই। মাছ ধরার উপায় নেই। কতদিন এই অবস্থা চলবে, কবে আবার নদী তার স্রোত ফিরে পাবে কেউ বলতে পারছেন না। বিবিসি ।
- ৬৮ বছরের রেকর্ড ভাঙলো কলকাতার তাপমাত্রা
- আইপিএলে নাচতে নাচতে অতিষ্ঠ চিয়ারলিডাররা
- ১৪ মাস পর জ্ঞান ফিরলো কুমার বিশ্বজিতের ছেলের
- গরমে শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করে যেসব ফল
- মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ঠিক রেখে সর্বোচ্চ আনুগত্য নিয়ে কাজ করতে হবে
- যে কারণে দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে তীব্র দাবদাহ
- নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ রাখতে কিছু নির্দেশনা
- গাজীপুরে তীব্র গরমে বেঁকে গেছে রেললাইন
- উপজেলা নির্বাচন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ মে’র পরীক্ষা স্থগিত
- জেগে উঠল ৩০০ বছরের পুরোনো শহর
- এলপিএলে নাম লেখালেন বাংলাদেশের ৪ ক্রিকেটার
- মুম্বাই পুলিশের তলব, সময় চাইলেন তামান্না
- দেশজুড়ে টানা বৃষ্টির আভাস
- ৭ দিনে হিটস্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু
- শুধু গরমে নয়, আয়রনের অভাবে হয় শরীর দুর্বল ও হার্ট ফেইলিওর
- এসএসসি’র ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ জানা গেলো
- স্কুল-মাদ্রাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের
- রাজধানীতে রাত ১১টার পর চায়ের দোকান বন্ধ
- গরমে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পান ভালো নাকি ক্ষতিকর
- তীব্র তাপদাহে ট্রাফিক পুলিশকে স্বস্তিতে রাখতে ‘এসি হেলমেট’
- রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভূমিকম্প
- ঢাকা-রাজশাহীসহ ৫ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
- প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ
- বুবলীর চিকিৎসা দরকার : অপু বিশ্বাস
- তীব্র গরমে এসি ছাড়াই ঘর ঠান্ডা রাখতে পারেন যেসব উপায়ে
- বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি ভারতের
- সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর : শেখ হাসিনা
- হজের ফ্লাইট শুরু ৯ মে
- বাংলাদেশ-মরিশাসের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে নতুন নির্দেশনা
- এমপি-মন্ত্রীর স্বজনরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে ব্যবস্থা
- হিটস্ট্রোকের লক্ষণ ও করণীয়
- বিশ্ব ইতিহাসে প্রথম: শহরে ঢুকতে দিতে হবে প্রবেশ ফি
- এসি নেই? ঘর ঠান্ডা রাখতে যা করবেন
- হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে যে নির্দেশনা দিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
- স্কুল-মাদ্রাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের
- জয়ের পক্ষ নিয়ে সাংবাদিকদের দোষারোপ করলেন অঞ্জনা
- কখন বৃষ্টি হবে, জানালো আবহাওয়া অফিস
- বুবলীর চিকিৎসা দরকার : অপু বিশ্বাস
- দুই দিনে সোনার দাম কমলো ৫ হাজার ২৭৭ টাকা
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে নতুন নির্দেশনা
- ২৮ এপ্রিল খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবারে ক্লাসের পরিকল্পনা
- ইন্টারনেট ছাড়াই হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো যাবে ছবি-ভিডিও-ডকুমেন্ট
- মৃত্যুর দু’বছর পর ব্রুনাই থেকে ফিরছে দুই বাংলাদেশির লাশ
- ৬০ বছর বয়সে সেরা সুন্দরীর খেতাব জিতলেন আর্জেন্টাইন নারী
- ইসরায়েলকে কড়া হুঁশিয়ারি ইরানের
- আপিল বিভাগে তিন বিচারপতি নিয়োগ
- তীব্র গরমে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে ফিলিপাইনে
- নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ রাখতে কিছু নির্দেশনা
- টাঙ্গাইল শাড়িসহ ১৪ পণ্য পেল জিআই সনদ