যে কারণে দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে তীব্র দাবদাহ
লাইফ টিভি 24
প্রকাশিত: ১৮:১৩ ১ মে ২০২৪

বিগত দুই বছরের মতো এবারও দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে যে তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে, তার প্রধান কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা এল নিনো নামে আবহাওয়ার এক বিশেষ অবস্থাকে দায়ী করছেন।
এল নিনো কী?
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের তথ্য অনুযায়ী, এল নিনো হলো একটি জলবায়ু প্যাটার্ন। এটির মাধ্যমে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের পানি উষ্ণ হয়ে পড়ে। এল নিনো সক্রিয় হলে প্রশান্ত মহাসাগর থেকে ভারত মহাসাগর হয়ে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত একটি শুষ্ক রেখা তৈরি হয়।
এল নিনোর উল্টো অবস্থা হলো লা নিনা। এটি তৈরির সময় শুষ্ক রেখাটি উষ্ণ রেখায় পরিণত হয়। এতে বাতাসে জলীয় বাষ্প বেড়ে গিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি বেড়ে যায়। এল নিনো হলো শুষ্ক মওসুম, যখন স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কম বৃষ্টি হয় এবং বন্যাও কম হয়। এসময় তাপমাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যায়। আর লা নিনার সময় বেশি বৃষ্টি আর বেশি বন্যা দেখা যায়। তাপমাত্রা কমে যায় স্বাভাবিকের চেয়ে।
দুজনের সঙ্গে সমুদ্রের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। আসলে এল নিনো ও লা নিনা হলো প্রাকৃতিকভাবে তৈরি একটি জলবায়ুর ধরন। সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা এবং বায়ুমণ্ডলীয় চাপের ক্রমাগত পরিবর্তন থেকে এদেরকে মূলত চিহ্নিত করা হয়।
এল নিনো দুই থেকে সাত বছরের বিরতি দিয়ে অনিয়মিতভাবে হয়ে থাকে। এল নিনো কোনো নিয়মিত চক্র নয় অথবা এ নিয়ে আগে থেকে কোনো ধারণা পাওয়া যায় না। সাধারণত ২ থেকে ৪ বছর স্থায়ী হয় এল নিনো। সাধারণত এল নিনো শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লা নিনার গঠন শুরু হয়। অর্থাৎ এল নিনো হলে লা নিনা হতে পারে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করা যায়।
দক্ষিণ এশিয়ায় এল নিনোর কী প্রভাব?
স্বাভাবিক আবহাওয়াকে একেবারে একশ আশি ডিগ্রি ঘুরিয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখে এল নিনো। ঠিক এমনটিই দেখা যাচ্ছে চলতি বছরে। গত বছরে শুরু হওয়া এল নিনোর প্রভাব এখন রয়েছে চরম অবস্থায়। পুবালি বায়ু যখন পূর্বে না বয়ে পশ্চিমে বয়ে যায়, তখন অস্ট্রেলিয়া থেকে শুরু করে বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার- এই পুরো অঞ্চলটিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যায়। কারণ, বাতাসের প্রবাহ সমুদ্রস্রোতকে বয়ে নিতে থাকে পশ্চিম দিকে।
আর উপমহাদেশ থেকে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত এসব অঞ্চলে দেখা দেয় বৃষ্টির অভাব। বেড়ে যায় তাপমাত্রা। শুকিয়ে যায় মাটি। এমনকি খরাও দেখা দিতে পারে। আবহাওয়ার এই চরিত্র বদলে দেয়া এল নিনো কখন হবে বা কেন হবে, তা এখন পর্যন্ত ঠাওর করতে পারেন না বিজ্ঞানীরা।
আবহাওয়াবিদরা আর বিজ্ঞানীরা এল নিনোর কিছু লক্ষণ বের করেছেন। সেগুলো হলো– ভারত মহাসাগর, ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়ার ভূপৃষ্ঠের চাপ বেড়ে যাওয়া। তাহিতি, প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বে বায়ুমণ্ডলের চাপ বেড়ে যাওয়া। এতে করে পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে খরা দেখা দেয়।
গত বছরের এপ্রিলে জলবায়ুবিদরা এল নিনোর ব্যাপারে সতর্কতা দিয়েছিলেন। তারা বলেছিলেন, ২০২৩ সালে এটির প্রভাবে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। যদি ২০২৩ সালে প্রভাব না পড়ে তাহলে ২০২৪ সালে এটি বেশ ভালোভাবে পরিলক্ষিত হবে। সেই পূর্বাভাস সত্যি করেই ২০২৪ সালের শুরু থেকেই দাবদাহে জেরবার মানুষ। এপ্রিল-মে মাসের তীব্র গরমে হিমশিম খেতে হচ্ছে এখানকার অধিবাসীদের।
এরইমধ্যে স্বস্তির খবর শুনিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ব্যুরো অব মেটিওরোলজি (বিওএম)। তারা জানিয়েছিল, এল নিনো সাউদার্ন অসিলেশন নিরপেক্ষ অবস্থায় ফিরে এসেছে। এর ফলে ফিরে আসছে লা নিনা। আর গতকাল এলো সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট আউটলুক ফোরামের অতিবৃষ্টির খবর। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এ অঞ্চলের আবহাওয়া থেকে দুর্বল হয়েছে এল নিনো আর সক্রিয় হয়েছে লা নিনা। এর মানে হলো, শিগগিরই এই অঞ্চল শীতল হবে বৃষ্টিতে। সেই বৃষ্টি স্বাভাবিক হবে, না স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি, এখন সেটাই দেখার।
- নাক-কান ফোঁড়ানোর আগে ও পরে যা জানা জরুরি
- ৩৪ লাখ টাকা পান ডলি জহুর, কান্নাকাটি করেও পাননি
- ইয়ামালের স্বপ্ন পূরণ
- জাস্ট ওয়েট, কিছুদিনের মধ্যেই নির্বাচনের ঘোষণা শুনবেন: আসিফ নজরুল
- সংসদের উচ্চকক্ষ হবে ১০০ আসনের, সদস্য নির্বাচিত হবেন পিআর পদ্ধতিতে
- খালেদা জিয়ার কণ্ঠ নকল করে চাঁদাবাজি, সাড়ে ৫ কোটি টাকা ফ্রিজ
- শিবিরের নির্দেশনায় আন্দোলন করার তথ্য ‘মিথ্যা’: নাহিদ ইসলাম
- টেলিগ্রামেও ‘আওয়ামী লীগ নেতাদের চাঁদাবাজি’
- রক্ত দেয়া-নেয়ার আগে যেসব বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি
- শাকিব খানের ঈদের সিনেমাটি কালা জাহাঙ্গীরের জীবনী নির্ভর নয়
- কুমিল্লায় বিএনপি-এনসিপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত ১০
- রংপুরে হিন্দুপাড়ায় হামলা: গ্রেপ্তার ৫
- ভারতের ওপরে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ ট্রাম্পের
- ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হলে অংশ নিতে পারেন খালেদা জিয়া
- যে কারণে ফুটবল ম্যাচ হয় ৯০ মিনিটের
- ঝাল খেলে পেট জ্বলে কেন?
- বিশ্বাস করবেন না, আল্লাহর দোহাই লাগে: সাদিয়া আয়মান
- একাত্তর নিয়ে বক্তব্যের পর দুঃখ প্রকাশ করলেন আসিফ নজরুল
- দ্রুততম ৫ উইকেট শিকারের বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন মহেশ
- আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা, ১১ দিন ৭ নির্দেশনা পুলিশের
- ‘নতুন একটি দলের কয়েকজন মহারথী’ বলার পর বক্তব্য পাল্টালেন মাহফুজ
- মডেল মেঘনার পাসপোর্ট, মোবাইল ও ল্যাপটপের ফরেনসিক তৈরির নির্দেশ
- জ্বরে মুখের রুচি কমলে করণীয় কী
- বলিউডের দ্বিতীয় ব্যবসা সফল সিনেমা ‘সাইয়ারা’
- এনসিপির ব্যানার ব্যবহার করে অনেকে চাঁদাবাজিতে যুক্ত হচ্ছেন:হাসনাত
- ১০ম গ্রেডে বেতন পাবেন প্রাথমিকের প্রধানশিক্ষকরা
- জুলাই কেন মানি মেকিং মেশিন হবে? ফেসবুক লাইভে কাঁদলেন উমামা
- জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ
- মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করলেন তাসকিন
- দুধ-আনারস একসঙ্গে খেলে কী হয়?
- সেই গরু বিক্রেতাকে ওমরাহ করতে পাঠালেন অপু বিশ্বাস
- কীভাবে বেঁচে গেলো সূর্য?
- জসিমের মতোই হঠাৎ মৃত্যুর খবর এলো ছেলের
- ডিপ্রেশনে নুসরাত ফারিয়া: সোশ্যাল মিডিয়ায় মর্মস্পর্শী পোস্ট
- দুধ-আনারস একসঙ্গে খেলে কী হয়?
- টেলিগ্রামেও ‘আওয়ামী লীগ নেতাদের চাঁদাবাজি’
- আগুনে শরীর পুড়ে গেলে তাৎক্ষণিক কী করবেন?
- মাইলস্টোনে নিহত ২ শিক্ষককে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেয়ার সিদ্ধান্ত
- ঝাল খেলে পেট জ্বলে কেন?
- একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি ফি নির্ধারণ
- জ্বরে মুখের রুচি কমলে করণীয় কী
- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আটক নেতাকর্মীদের ‘শেকড় অনেক গভীরে’
- ১০ম গ্রেডে বেতন পাবেন প্রাথমিকের প্রধানশিক্ষকরা
- লাল চিনি নাকি গুড়: স্বাস্থ্যের জন্য কোনটি ভালো
- অভিজ্ঞতা ছাড়াই চাকরি দিচ্ছে আরএফএল গ্রুপ
- মাইলস্টোনের ঘটনাকে পুঁজি করে আ. লীগ পুনর্গঠিত হচ্ছে: হাসনাত
- মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনা: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩
- কাউকে গ্রেপ্তার করলে ১২ ঘণ্টার মধ্যে স্বজনদের জানাতে হবে
- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় বাদে সব কমিটি স্থগিত
- ব্র্যাডম্যান-গাভাস্কারের কীর্তি স্পর্শসহ ৫ রেকর্ড গড়লেন গিল