ঢাকা, ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১২ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৬৪৭

একমাসের বিদ্যুৎ বিল ৪৭ লাখ ২৭ হাজার টাকা!

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:৪৪ ১০ জানুয়ারি ২০২০  

নেত্রকোনা সদর উপজেলার দক্ষিণ বাজারের একজন সাধারণ মুদির দোকানদার মোফাজ্জল মিয়া। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে তার বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৪৭,২৭,৬০৩ টাকা। পরে অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে এই ব্যবসায়ীর বিদ্যুৎ বিল এসেছে মাত্র ১০১৫ টাকা! 

 বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার মুখে পড়ে নেত্রকোনা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি। বিষয়টি নিয়ে মাসুদুল করিম মাসুদ নামের একজন তার ফেইসবুকে ওয়ালে লিখেন ‘নেত্রকোনা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির এমন কাণ্ডে আমি হতবাক হয়েছি! নেত্রকোনা সদর উপজেলার দক্ষিণ বিশিউড়া বাজারের সামান্য মুদির দোকানদার মোফাজ্জল মিয়া। বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার পর থেকে সর্বনিম্ন ১০০০ থেকে সর্বোচ্চ ২৩০০ টাকা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল আসতো। কিন্তু ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে উনার বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৪৭,২৭,৬০৩ টাকা!’

কতটুকু দায়িত্বহীনতা আর অজ্ঞতার ফলে এমনটা হয়েছে এটা ভাবা যায়? যদি এটি ভুলবশত হয়ে থাকে তাহলে দায়িত্বের এমন একটি জায়গা থেকে এত বড় ভুল মেনে নেওয়ার মতো নয়। বিষয়টি গুরুতর। কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হোক।

সেই পোস্টের পর অনেকেই নেত্রকোনা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির এমন উদাসীনতা আর দায়িত্বহীন কাণ্ডের সমালোচনা করেন। যেখানে নেত্রকোনা পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের এমন আরো গ্রাহক ভোগান্তির অভিযোগ ওঠে। পরে বিষয়টি কর্তৃপক্ষ নজরে গেলে ভুলবশত ১০১৫ টাকার বদলে ৪৭,২৭,৬০৩ টাকার বিল চলে গেছে স্বীকার করে ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে নেত্রকোনা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির উর্ধ্বতন কতৃপক্ষ। 

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মোফাজ্জল মিয়া জানান, দোকানে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার পর থেকেই সর্বনিম্ন ১২০০ থেকে সর্বোচ্চ ২৩০০ টাকা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল আসতো। কিন্তু ২০১৯ সালের ডিসেম্বর বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৪৭,২৭,৬০৩ টাকা। বিষয়টি ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়লে আজ সকালে নেত্রকোনা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির উর্ধ্বতন কতৃপক্ষ সংশোধিত বিলের একটি কপি আমার হাতে তুলে দেয়। যেখানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে আমার বিদ্যুৎ বিল এসেছে মাত্র ১০১৫ টাকা। এ সময় তাদের অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

নেত্রকোনা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (ভারপ্রাপ্ত) মো. মাহবুব আলী জানান, টাইপিং ভুলের জন্য ১০১৫ টাকার বদলে ৪৭,২৭,৬০৩ টাকার বিলের কাগজ গ্রাহকের কাছে চলে গেছে। বিষয়টি আমাদের নজরে আসলে অফিসের লোক দিয়ে সংশোধিত বিলের কাগজ গ্রাহকের কাছে পাঠায়েছি। বিল সংক্রান্ত গাফিলতির এই বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমে বের করে দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।