ঢাকা, ২৭ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪ || ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৫৫০

যেসব এলাকা রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:০৯ ১৪ জুন ২০২০  

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের একাধিক ওয়ার্ড এবং তিন জেলার বিভিন্ন এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। 

 

এসব জোন চিহ্নিত করে করোনা প্রতিরোধে গঠিত কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল কমিটি। বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

 

তাতে জানানো হয়েছে-জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন ও পুলিশ সুপার মিলে এ তিন অঞ্চলের রেড জোন চিহ্নিত করেন। ঢাকার উত্তর (ডিএনসিসি) ও দক্ষিণ সিটির (ডিএসসিসি) মোট ৪৫টি জায়গাকে 'লাল এলাকা' হিসেবে চিহ্নিত করেছেন তারা। এ তালিকায় রয়েছে ডিএনসিসির ১৭ এবং ডিএসসিসির ২৮টি স্থান। 

 

ঢাকা উত্তর সিটির যে ১৭ এলাকাকে রেড জোন হিসেবে ধরা হয়েছে সেগুলো হলো-গুলশান, বাড্ডা, ক্যান্টনমেন্ট, মহাখালী, তেজগাঁও, রামপুরা, আফতাবনগর, মোহাম্মদপুর, কল্যাণপুর, গুলশান, মগবাজার, এয়ারপোর্ট, বনশ্রী, রাজাবাজার, উত্তরা ও মিরপুর।

 

ঢাকা দক্ষিণ সিটির ২৮টি এলাকার মধ্যে আছে-যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, মুগদা, গেন্ডারিয়া, ধানমন্ডি, জিগাতলা, লালবাগ, আজিমপুর, বাসাবো, শান্তিনগর, পল্টন, কলাবাগান, রমনা, সূত্রাপুর, মালিবাগ, কোতোয়ালি, টিকাটুলি, মিটফোর্ড, শাহজাহানপুর, মতিঝিল, ওয়ারী, খিলগাঁও, পরিবাগ, কদমতলী, সিদ্ধেশ্বরী, লক্ষ্মীবাজার, এলিফ্যান্ট রোড ও সেগুনবাগিচা।

 

চট্টগ্রামের রেড জোনসমূহ হলো চট্টগ্রাম বন্দরে ৩৭ ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড, পতেঙ্গার ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড, পাহাড়তলির ১০ নম্বর ওয়ার্ড, কোতোয়ালির ১৬, ২০, ২১ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ড, খুলশীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ড এবং হালিশহর এলাকার ২৬ নম্বর ওয়ার্ড।

 

আরও তিনটি জেলার কয়েকটি উপজেলা ‘রেড জোন’র আওতায় পড়েছে।


নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ সদর এবং পুরো সিটি করপোরেশন এলাকাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

 

গাজীপুরের সব উপজেলা ‘রেড জোন’র আওতায় পড়েছে।

 

নরসিংদীর সদর মডেল থানা, মাধবদী ও পলাশ এলাকা পড়েছে ‘রেড জোন’র মধ্যে।

 

ঢাকার দুই সিটি ও চট্টগ্রামের যেসব এলাকায় প্রতি এক লাখ জনসংখ্যার মধ্যে গত ১৪ দিনে ৬০ জন আক্রান্ত হয়েছে, সেসব এলাকাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ঢাকার বাইরে এই অনুপাত লাখে ১০।

 

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ৪৫টি ‘রেড জোন’র মধ্যে দক্ষিণে ২৮টি এবং উত্তরে ১৭টি এলাকা। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকার রয়েছে ১১টি এলাকা।

 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে শনিবারের সভার কার্যবিবরণীতে বলা হয়েছে, জেলার জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন এবং পুলিশ সুপার মিলে এসব জোনের মধ্যে সুনির্দিষ্টভাবে লাল এলাকা চিহ্নিত করবেন।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক রোববার বলেন, জানান, তারা প্রস্তুতি শেষ করেছেন, এলাকাগুলো চিহ্নিত করেছেন। লক্ডাউন বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর প্রস্তুতির ওপর নির্ভর করছে তা কবে থেকে হবে।

 

“কাল থেকে লকডাউনে যেতে পারবে, এমন আমি শুনি নাই। আমরা এলাকাগুলো চিহ্নিত করেছি। বাস্তবায়ন করবে সেসব সংস্থা, তাদের প্রস্তুতি থাকলে তা কাল থেকেই হতে পারে। দুদিন পরেও হতে পারে। তবে ঢাকায় এখনও প্রস্তুতি এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি।”

 

এসব এলাকায় সোমবার থেকে লকডাউন হবে কি না - জানতে চাইলে উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোমিনুর রহমান মামুন জানান, তালিকা তারা পেয়েছেন। তবে এ বিষয়ে আরও কাজ করতে হবে।

 

“এটা এখনও খসড়া তালিকা, চুড়ান্ত কোনো নয়। এটা নিয়ে আমরা স্টাডি করছি। এলাকাগুলোকে আরও সুনির্দিষ্ট করতে হবে। আর এসব এলাকায় কাল থেকে লডডাউন হবে কি না এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্তের কথা আমার জানা নেই।”

 

এদিকে রোববার দুপুরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, ঢাকাসহ দেশের অনেক স্থানে রেড জোন ঘোষণা করে লকডাউন করা হবে । এ বিষয়ে এদিনই প্রজ্ঞাপন জারি হবে। সোমবার থেকে তা বাস্তবায়ন হবে।

 

তিনি আরো জানান, সারাদেশকে মূলত তিনটি প্রধান জোনে ভাগ করা হবে। শুধু লকডাউন এলাকায় সাধারণ ছুটি থাকবে। 

করোনাভাইরাস বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর