শিশুদের স্মার্টফোন আসক্তি দূর করবেন যেভাবে
লাইফ টিভি 24
প্রকাশিত: ১৫:২২ ১৭ অক্টোবর ২০২২

বাজে অভ্যাস থেকে কাউকে বের করতে দরকার ভালো কিছুর স্পর্শ। মোবাইল ফোন শিশুমনে একাধিক নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই সেই নেশা কাটাতে অন্য়ান্য মজাদার কাজে তাদের যুক্ত করা দরকার।
আসক্তির কারণ
স্মার্টফোনের নেশা শিশুর জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাদের এই আসক্তি কমাতে অভিভাবকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য প্রচুর। শুধু মানসিক স্বাস্থ্যে নয়, শরীরেও মোবাইল ফোনের খারাপ প্রভাব পড়ে। দীর্ঘ কোভিড পরিস্থিতিতে ও পরবর্তী সময়ে শিশু-কিশোরদের এ আসক্তি মারাত্মক বেড়েছে। ঘরবন্দি শিশুদের কাছে ইন্টারনেট, স্মার্টফোন এখন সহজলভ্য। এতে একসঙ্গে বিভিন্ন বিনোদন হচ্ছে।
গেম, নানা ধরনের বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান, কার্টুন প্রভৃতি এক জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে। বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করা, খেলাধুলা, বই পড়া প্রভৃতির মাধ্যমে ধীরগতিতে আমাদের কল্পনাশক্তির বিকাশ ঘটে। কিন্তু মোবাইল ফোনে খেলা, ভিডিও দেখার সময় দ্রুত শিশুমনে আনন্দ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। ফলে কল্পনাশক্তি হ্রাস পাচ্ছে।
টিভি, মোবাইল গেম বা যেকোনও ধরনের ভার্চুয়াল এন্টারটেনমেন্ট দেখার সময় আমাদের মস্তিষ্কের কোষ থেকে ক্ষরণ হয় এক ধরনের নিউরোট্রান্সমিটার, যার নাম ডোপামিন। এই ডোপামিনের ক্ষরণ আমাদের মনে এক ভালো লাগার অনুভূতি সঞ্চার করে। ফলে অতি সহজেই আমরা এই ধরনের এন্টারটেনমেন্ট মিডিয়ামগুলোতে আসক্ত হয়ে পড়ি।
যত ক্ষতি
# শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রম কম করে জগতের সব বিনোদন, অভিজ্ঞতাকে সহজেই পেয়ে যাওয়ার আনন্দে শিশুদের শরীরের চালনাশক্তির ও মনঃসংযোগ ক্ষমতা লোপ পায়। বাইরে খেলাধুলা করা, গল্পের বই পড়া তারা ভুলতেই বসেছে। ফলে তাদের শরীরের সঙ্গে মনের বিকাশের অসামঞ্জস্যতা তৈরি হচ্ছে।
# ‘ভার্চুয়াল বৈঠকখানা’-য় শিশু ও কিশোর মনের অবাধ বিচরণের সময় কোনও নজরদারি নেই। তাই খারাপ জিনিসের প্রতি তাদের আসক্তি বাড়ে। ফলে গুছিয়ে কথা বলা, ধৈর্য ধরে পড়ার বই বা গল্পের লেখকের সৃষ্টির তাৎপর্য বুঝতে পারার মতো দক্ষতা হারিয়ে ফেলছে।
# দীর্ঘক্ষণ স্মার্টফোনে চোখ আটকে থাকায় শিশুদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। ফোনের উজ্জ্বল আলো মনকে উদ্দীপ্ত করে ক্লান্তিভাব কাটিয়ে দেয়। ফলে ঘুমের সমস্যা হয়। বেশি সময় মোবাইলের আলোর সামনে থাকলে শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হয়। দৃষ্টিশক্তি কমে যায়। ব্রেন সেল সঠিকভাবে গঠিত হতে পারে না। ফলে ঘুম সঠিকভাবে হয় না এবং শারীরিক ক্লান্তিতে ভুগতে থাকে।
# যেসব বাচ্চা মুখচোরা, সবার সঙ্গে মিশতে পারে না, বন্ধু ও সমাজ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে পছন্দ করে আমরা বলি তাদের ‘ডিস্ফোরিয়া’ আছে। এই অবস্থা থাকলে, সে নিজেকে ভালো রাখতে ও জীবনের আনন্দ খুঁজে পেতে স্মার্টফোনকে সঙ্গী করে।
# সাইবার বুলিং একটি বড় সমস্যা। যা টিনএজারদের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এক্ষেত্রে অনলাইনে কোনও শিশুকে প্রলুব্ধ বা হেয় প্রতিপন্ন করা হয়, ভয় দেখানো বা মানসিক নির্যাতন করা হয়। প্রাপ্তবয়স্করা এমনকী কিছু টিনএজারাও এই ধরনের হীন কাজে যুক্ত থাকে।
যতক্ষণ হাতে স্মার্টফোনটি থাকছে অর্থাৎ সকাল থেকে রাতে ঘুমানোর আগে পর্যন্ত সেই বাচ্চাটিকে বুলিং-এর শিকার হতে হয়। সবক্ষেত্রে না হলেও কিছু শিশু-কিশোরের উপর মানসিক নির্যাতনের পরিমাণ খুব বেশি হওয়ায় তারা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। অভিভাবকদের অজান্তেই শিশুর মনে এই খারাপ প্রভাব পড়তে পারে স্মার্টফোনের হাত ধরে।
# ওয়ার্কিং মেমোরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একসঙ্গে কতগুলো ঘটনাকে আমরা মনে রাখতে পারি সেটাই, ওয়ার্কিং মেমোরি। কোনও গল্পের বই পড়ে সেটিকে পুনরায় স্তরে স্তরে সাজিয়ে মনে করার চেষ্টা একটি ওয়ার্কিং মেমোরির ব্যায়াম। কিন্তু অতিরিক্ত ফোনের ব্যবহারের জন্য ঘুম কম হওয়ায় মনে রাখার ক্ষমতা, ভাবনার সৃষ্টি, চিন্তা করার সামর্থ্য লোপ পায়। এতে এদের পড়াশোনার ক্ষেত্রেও ক্ষতি হয়।
মুক্তির উপায়
# অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাচ্চাদের স্মার্টফোনে হাতেখড়ি হয় অভিভাবকদের হাতেই। কিন্তু চাইলে অভিভাবকরাই পারেন সন্তানকে মোবাইলের আসক্তি থেকে বের করে অন্য জগতে তাদের ভুলিয়ে রাখতে। সাধারণত বাবা-মা যা করবেন সেটা দেখেই শিশু শিখবে। এই আসক্তির পিছনে তাদের ভূমিকাও কম নয়। নেশাই পারে নেশা ছাড়াতে।
# স্মার্টফোন ছাড়াও দুনিয়াতে আনন্দের আরও অনেক কিছু রয়েছে। যে জগতে স্মার্টফোনের থেকে অনেক ভালো অভিজ্ঞতার হাতছানি থাকবে, সেদিকে শিশুর ঝোঁক বাড়াতে হবে। বাচ্চার চোখে চোখ রেখে কথা বলা, তার ভিতরের সুপ্ত প্রতিভা ও ইচ্ছাগুলোকে চিনতে বা জানতে পারলে তবেই সেদিকে শিশুর ঝোঁক বাড়ানো সম্ভব।
# শিশুর কোমল মন থেকে মোবাইল আসক্তি কাটানো খুব সহজ নয়। তার প্রবল ঝোঁকের বা আগ্রহের জায়গাটা খুঁজে মোবাইলের সম বিকল্প ও আকর্ষণীয় জিনিসের প্রতি আগ্রহকে বাড়িয়ে তুলতে পারলে তাহলেই শিশুর মুঠোফোনের প্রতি আসক্তি কমবে। যেমন-ছবি আঁকা, গান গাওয়া বা কোনও বাদ্যযন্ত্রের প্রতি খুদের কৌতূহল থাকলে সেই আগ্রহকে আরও বাড়িয়ে দিতে হবে। তবেই ফোনের স্ক্রিনের থেকে বেশি সময় এইসব কাজে তারা ব্যয় করবে।
# এছাড়া শিশুকে পড়াশোনার পাশাপাশি কম্পিউটার কোডিং ল্যাঙ্গুয়েজ শেখানো, বিভিন্ন রহস্য-রোমাঞ্চকর গল্পের প্রতি ঝোঁক তৈরি করা খুব দরকার। তবেই সে ধীরে ধীরে মোবাইল ভুলে ভাল নেশায় আসক্ত হবে। এর লাগাম থাকবে অবশ্যই অভিভাবকদের হাতে। শিশুর এগিয়ে চলার স্বচ্ছন্দ গতির উপর তাদের সুষ্ঠু বিকাশ নির্ভর করে, যার পরিকল্পিত রূপ দেওয়ার কারিগর হলেন বাবা-মা।
# সন্তানকে সময় না দিয়ে তার বদলে হাতে মোবাইল ধরিয়ে দেওয়া বা টিভিতে কার্টুন চালিয়ে দেওয়াটা অনুচিত। অনেক শিশু একাকিত্বের কারণে মোবাইল ফোনের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। বাবা-মায়ের প্রথমত খেয়াল রাখা উচিত শিশু স্মার্টফোন ব্যবহার করেও প্রতিদিনের কার্যকারিতা সঠিকভাবে পালনে সক্ষম কি না। যদি তা নির্দ্বিধায় করে সেক্ষেত্রে ১-২ ঘণ্টা ফোন ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া যায়।
# বাড়ির আবহে পড়াশোনা-খেলাধুলার পরিবেশ থাকা অত্যন্ত জরুরি। ঘরের ছোট্ট খুদেটির সঙ্গে বাবা-মায়ের কোয়ালিটি টাইম কাটানো দরকার। রাতে ঘুমানোর আগের একঘণ্টা ও সকালে ঘুম ভাঙার পর প্রথম এক থেকে দুই ঘণ্টা খুদেটির ফোন ব্যবহার নিষেধ রাখতে হবে। এই নিয়ম বাবা-মায়ের জন্যও প্রযোজ্য হলে ভাল। উল্লেখযোগ্য, সপ্তাহে একটি দিন বাড়ির প্রত্যেক সদস্যের জন্য একটি স্মার্টফোনবিহীন দিন রাখতে হবে, সেদিন প্রত্যেক সদস্যের ছুটির পর শিশুটির সঙ্গে সময় কাটানো দরকার।
# স্মার্টফোন ও ইন্টারনেটের প্রতি নির্ভরশীলতা বাড়লে শিশুর আনন্দসূচক ক্রমে কমতে থাকে ও তারা অসহিষ্ণু হয়ে পড়ে। ওদের মুঠোফোনের বাইরের পৃথিবীর সংস্পর্শে রাখা বর্তমান প্রজন্মের অভিভাবকদের মূল দায়িত্ব। স্ক্রিনজনিত বিনোদনের বদলে খেলাধুলা ও নিয়মানুবর্তিতার সঞ্চার করা ভীষণ প্রয়োজন।
- সিদ্দিক সুশীল ভূমিকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যা খুশি করেছেন: পিপি
- নেইমারদের ‘লাল জার্সি’ নিয়ে ব্রাজিলজুড়ে তোলপাড়
- পাকিস্তানের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে বাঁচল ভারতের ৪ যুদ্ধবিমান
- প্রশান্তির ঘুমের জন্য কেমন বালিশ ভালো?
- যুদ্ধের প্রস্তুতি না রাখাটা আত্মঘাতী: প্রধান উপদেষ্টা
- মোবাইল ফোন দেখে দাখিল পরীক্ষা দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা, ভিডিও ভাইরাল
- এক আপেলে ৮ সমাধান
- কেন দর্শকের দিকে তেড়ে গিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ, যা জানা গেল
- শেখ হাসিনা-জয়সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে তামিল প্রতিবেদন ১২ মে
- ফারিয়া-অপু-নিপুণ ও জায়েদসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর নামে মামলা
- শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ
- সংস্কৃতি উপদেষ্টাকে প্রশ্ন: ৩ সাংবাদিক বরখাস্ত, যা জানা যাচ্ছে
- শোয়েব আখতারের ইউটিউব চ্যানেল নিষিদ্ধ ভারতে
- বেলের শরবত খেলে মিলবে যেসব উপকার
- জুলাই গণঅভ্যুত্থান: ইরেশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা, জয়ের প্রতিবাদ
- ভারত হামলা করলে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে পাকিস্তান
- মেয়র হিসেবে ইশরাককে শপথ না পড়াতে আইনি নোটিশ
- রিকশার নতুন নকশা করেছে বুয়েট, চলবে রাজধানীতে
- ‘বিয়ের পাত্র খুঁজে পাচ্ছি না’ বিষয়টি মজার ছলে বলেছি: মিলা
- এবার ৪ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় তাওহিদ হৃদয়
- নিমের উপকারিতা কত?
- ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত
- নিজেদের স্বার্থেই আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- আইন উপদেষ্টার বাসায় ‘ড্রোন’, যা জানা গেলো
- উপকারিতা জানলে আপনিও খাবেন কাঁচা আম
- ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ
- জাপানকে টপকে বিশ্বের চতুর্থ বৃহৎ অর্থনীতি ক্যালিফোর্নিয়া
- উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তানকে হারিয়ে দিলো ভারত
- পাকিস্তানজুড়ে হামলার পরিকল্পনা করছে ভারত
- সাবেক এপিএস কাণ্ডে মুখ খুললেন আসিফ
- কাশ্মীরে হামলা: তীব্র প্রতিবাদ পাকিস্তানের তারকাদের
- জেনে নিন মাথাব্যথার প্রকারভেদ
- আবারো যুদ্ধে জড়াচ্ছে ভারত-পাকিস্তান!
- গাছপালাঘেরা পরিবেশে জন্ম নেওয়া শিশু স্বাস্থ্যবান হয়
- ক্ষুধায় কাতর গাজাবাসী, দেয়ার মতো রক্তও নেই শরীরে
- উপকারিতা জানলে আপনিও খাবেন কাঁচা আম
- কাশ্মীরে জঙ্গি হামলা: বেছে বেছে হত্যা করা হয় পুরুষদের
- বেলের শরবত খেলে মিলবে যেসব উপকার
- সন্তানের প্রথম পিরিয়ড, যে বিষয়গুলো তাকে বোঝাবেন
- ইতিহাসের সাক্ষী: ১৯৪৭ সালে যেভাবে দু`ভাগ হয়েছিল কাশ্মীর
- ছাত্রলীগ কর্মীকে পা-চাপা দিয়ে শহর ঘোরানো, ছাত্রদল কমিটি বিলুপ্ত
- স্বর্ণের দাম বেড়ে সর্বকালের সর্বোচ্চ
- ৫ আগাস্ট সংসদ ভবনে পলকের সঙ্গে লুকিয়ে ছিলেন ‘স্পিকারসহ ১২ জন’
- ‘বিয়ের পাত্র খুঁজে পাচ্ছি না’ বিষয়টি মজার ছলে বলেছি: মিলা
- নতুন রাজনৈতিক দল আনছেন ইলিয়াস কাঞ্চন, জানা গেলো নাম
- ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত
- শোয়েব আখতারের ইউটিউব চ্যানেল নিষিদ্ধ ভারতে
- জাপানকে টপকে বিশ্বের চতুর্থ বৃহৎ অর্থনীতি ক্যালিফোর্নিয়া
- ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ
- হঠাৎ স্থগিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ