ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪ || ১৫ চৈত্র ১৪৩০
good-food
১৫০৯

সরিষা চাষে লাভবান চাষীরা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:১৩ ২৮ ডিসেম্বর ২০২০  

মেহেরপুরে স্বল্প খরচ আর সময় কম লাগায় সরিষা চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। উন্নত জাতের সরিষা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন চাষীরা। ফলে প্রতিবছরই বাড়ছে চাষ। প্রচলিত দেশী সরিষার চেয়ে বারি-১৪ ও বারি -১৫ ফলন বেশি হওয়ায় চাষীরা আগ্রহী হচ্ছে বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে।


অনেকেই আমন ধান সংগ্রহের পর জমি ফেলে না রেখে সরিষা চাষ করেছেন। এরপর আবার ধান রোপন করবেন কৃষকেরা। তাতে করে একই জমিতে বছরে তিনবার ফসল উৎপাদন হচ্ছে। 

 

মেহেরপুরের বিভিন্ন মাঠে চাষ হয়েছে উন্নত জাতের সরিষা বারি-১৪ ও বারি -১৫। গাছের উচ্চতা হয় দেড় থেকে ২ ফুটের মতো। আগে সরিষা গাছ বড় হলেও ফলন কম হতো। নতুন জাতের ছোট আকারের এ সরিষা গাছের গোড়া থেকে মাথা পর্যন্ত ফল আসছে। বীজ বপনের ৭০ দিনের মধ্যেই ক্ষেত থেকে সরিষা সংগ্রহ করা যায়।


চলতি বছরে মেহেরপুরে সরিষার বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছে জেলা কৃষি সম্পাসারণ অধিদপ্তর। সরেজমিনে বিভিন্ন গ্রামের সরিষা চাষীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এবার প্রতি বিঘা জমি থেকে ৬-৭ মণ সরিষা উৎপাদনের আশা করছেন। 

 

লাভজনক এবং সরিষা চাষের অনুকূল পরিবেশের কারণে এবার চলতি রবি মৌসুমে মেহেরপুরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব মতে, চলতি বছরে সরিষার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ হাজার হেক্টর জমিতে। সেখানে চাষ হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে।

 

মেহেরপুর সদর উপজেলার উজ্জলপুর গ্রামের সরিষা চাষী আবুল বাশার বলেন- নিজের প্রয়োজন মেটাতে প্রতিবছর ১ বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করি। এবার ২ বিঘা জমিতে করেছি। আশা করছি, অন্য বছরের তুলনায় এবার সরিষার ফলন ভালো হবে। নিজের প্রয়োজন মিটিয়ে ১২-১৫ হাজার টাকার বিক্রি করতে পারব।

 

গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের সরিষা চাষী নিয়ামত আলী জানান- প্রতিবিঘা জমিতে সরিষা চাষে খরচ হয় সর্বচ্চ ৩ হাজার টাকা। প্রতিমণ সরিষা বিক্রি করা যায় ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা দরে। প্রতি বিঘাতে গড়ে ৭ মণ সরিষা উৎপাদন হলে বিঘা প্রতি ১৫-১৬ হাজার টাকা লাভ করা যায়। 

 

এছাড়া সরিষা আবাদে সেচের প্রয়োজন হয় না। কম সময়ে আবাদ করা যায়। সরিষার বড় শত্রু জাব পোকা। এবার এর আক্রমণ দেখা যাচ্ছে না।

 

সরিষা তেলের রয়েছে অনেক ওষুধি গুণ। এর খৈল পশু খাদ্য ও জমির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধির কাজে ব্যবহার হয়। সরিষার গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এছাড়া জমিতে আবাদ করলে ওই জমিতে সরিষার পাতা পড়ে জমির খাদ্য চাহিদা অনেকাংশে মিটিয়ে থাকে।


মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক স্বপন কুমার খাঁ বলেন, রবিশষ্য চাষের এবার অনুকূল পরিবেশ, আবহওয়া, জলবায়ু রয়েছে।

সাকসেস স্টোরি বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর