বাঁশের উপকারিতা জানলে চমকে উঠবেন
লাইফ টিভি 24
প্রকাশিত: ২২:৩২ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাঁশ...বাংলাদেশে এই শব্দ বেশ সংবেদনশীল এবং নেতিবাচক উপমায় ব্যবহার হয়। তবে আপনি কি জানেন এটি পরিবেশ রক্ষায় কতটা ভূমিকা রাখছে? এর অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্য উপকারিতা কতটা? টমাস আলভা এডিসন যে বৈদ্যুতিক বাতি আবিষ্কার করেছিলেন সেটার মধ্যেও বাঁশের ফিলামেন্ট ব্যবহার করা হয়েছিল। এর এমন নানা উপকারিতার কথা জানলে আপনি নিশ্চয় অবাক হবেন! আর এসব কথা মাথায় রেখে প্রতি বছর ১৮ সেপ্টেম্বর অনেক দেশেই পালন করা হয় বিশ্ব বাঁশ দিবস।
বাঁশ কোনো গাছ নয়
বাঁশ কোনো গাছ নয়। এটি মূলত এক ধরণের ঘাস এবং চির সবুজ বহু বর্ষজীবী উদ্ভিদ; যা নাতিশীতোষ্ণ ও গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে জন্মায়। পৃথিবীতে ৩০০ প্রজাতির বাঁশ রয়েছে। বাংলাদেশ বন গবেষণা ইন্সটিটিউট ৩৩ প্রজাতি সংরক্ষণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে— মুলি, তল্লা, আইক্কা, ছড়িসহ নানা প্রজাতির বাঁশ। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার এক রিপোর্ট অনুযায়ী, বাঁশের প্রজাতি ও বৈচিত্র্যের দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বে অষ্টম অবস্থানে রয়েছে। প্রথম স্থানে আছে চীন।
চীনের সভ্যতায় বাঁশকে শুভশক্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। এ কারণে চীনা সংস্কৃতির সর্বত্র রয়েছে বাঁশের ব্যবহার। তারা মনে করে, নেগেটিভ এনার্জিকে প্রতিহত করতে পারে এটি।
খাদ্য
খাদ্য হিসেবেও বাঁশ ব্যবহৃত হচ্ছে। পুষ্টি উপাদান ও মুখরোচক স্বাদের জন্য পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষের কাছে খাবার বাঁশ কোড়ল নামে পরিচিত। এর তৈরি স্যুপ, সালাদ, তরকারি বেশ জনপ্রিয়। সাধারণত বাঁশের অঙ্কুরোদগম হওয়ার পর চার থেকে ছয় ইঞ্চি পর্যন্ত যে কচি বাঁশ হয় সেটাই রান্না করে খাওয়া যায়। আবার এর পাতা দুধ টাটকা রাখতে এবং চায়ের মধ্যে দিয়েও খাওয়া যায়। পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, রান্না করা বাঁশে ফাইবার, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, পটাসিয়াম, ভিটামিন ই, আয়রন পাওয়া যায় যা শরীরকে চাঙা রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ করে।
খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে বাঁশ হার্টের জন্য ভালো। ফাইবার থাকায় এটি কোষ্ঠকাঠিন্যে উপশম দেয় এবং হজমশক্তি বাড়ায়। এটি খাওয়ার পর দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধা লাগে না। ফলে ওজন কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। তবে বাঁশ কাঁচা বা বাসি অবস্থায় খাওয়া যাবে না। কারণ এতে পেটে সমস্যা হতে পারে। বাঁশের কোড়ল সূর্যালোক থেকে দূরে ঠান্ডা জায়গায় সংরক্ষণ করতে হবে। আবার এর পাতা উত্তম গোখাদ্য।
প্রাকৃতিক এসি
প্রকৃতি-পরিবেশ ও প্রাণ রক্ষায় বিশেষ করে, দুর্যোগ মোকাবেলা, পাহাড় ধস, ভূমি ক্ষয়, নদী ভাঙ্গন রোধসহ জীব-বৈচিত্র্য রক্ষায় বাঁশের ভূমিকা বলে শেষ করা যাবে না।
ওয়ার্ল্ড ব্যাম্বু অর্গানাইজেশনের তথ্যমতে, বাঁশ অন্যান্য গাছগাছালির চেয়ে বেশি অক্সিজেন উৎপাদন করে আর বেশি মাত্রায় কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে। ফলে বাতাস বিশুদ্ধ থাকে। বলা হয় বাঁশঝাড় আশেপাশের তাপমাত্রাকে চার ডিগ্রি পর্যন্ত ঠান্ডা রাখতে সক্ষম। এটা অনেকটা প্রাকৃতিক এয়ার কন্ডিশনার হিসাবে কাজ করে। এছাড়া তীব্র রোদ থেকে লম্বা লম্বা বাঁশঝাড় ছায়াও দিয়ে রাখে।
মাটি রক্ষা
বাঁশ গাছের শেকড় ছড়ানো থাকায় এটি মাটি ভাঙন রোধ করে, মাটির ঢালকে মজবুত করে। ফলে পাহাড় ধস ঠেকানো যায়, ভারী ধাতু শোষণ করে মাটির ক্ষয় রোধ করে, বিভিন্ন বন্যপ্রাণী আশ্রয় নিতে পারে। এক কথায় জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব ঠেকাতে বাঁশের গুরুত্ব রয়েছে।
নির্মাণ
বাংলাদেশে বছরে শুকনো বাঁশের চাহিদা অন্তত ১০ লাখ টন। এর মধ্যে নির্মাণকাজে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। চাহিদা থাকায় চাঁদপুর, সিলেট ও কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলায় এর বাণিজ্যিক আবাদ হচ্ছে। বাংলাদেশের গ্রামে উন্নত বাড়িঘর নির্মাণে বাঁশ বেশ টেকসই উপাদান। বিশেষ করে কাঁচা বাড়ির ভিত দেয়াল ও ছাদ তৈরিতে বাঁশের পাটাতন এবং ফ্রেম ব্যবহার হয়।
বাঁশের পাতায় ঘরের ছাউনি হয়। আবার পাহাড়ি এলাকায় বাঁশ দিয়েই তোলা হয় মাচার ঘর। গ্রামের লোকজন ছোট খাল পার হতে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশ দিয়ে সেতু বানিয়ে থাকেন। কারণ অল্প টাকায় এর চাইতে মজবুত ও টেকসই সেতু গড়া সম্ভব না। এছাড়া বেড়া তুলতে বা বন্যার সময় আশ্রয়ের জন্য মজবুত মাচা তুলতেও বাঁশ লাগে।
দুর্যোগ থেকে রক্ষা
ঝড়-ঝঞ্ঝা থেকেও বসত-ঘরকে রক্ষা করে বাঁশ। এ কারণে গ্রামে বসতবাড়ির পাশে বাঁশঝাড় দেখা যায়। জাপানে প্রচুর বাঁশের ঘর দেখা যায়। কারণ এসব ঘর ভূমিকম্প সহনীয়। ভূমিকম্পের সময় বাঁশঝাড়ে আশ্রয় নেয়া সবচেয়ে নিরাপদ।
বস্ত্র ও কাগজ শিল্পে ব্যবহার
সুতা ও কাগজ তৈরিতে বাঁশের ব্যবহার অনেক আগে থেকে হচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, বাঁশের তন্তু দিয়ে টুপি, স্কার্ফ, গ্লাভস, মোজা ও প্যান্ট তৈরি হচ্ছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ধরণের কাগজ, টয়লেট পেপার তৈরিতেও ব্যবহার হচ্ছে বাঁশ।
নিত্য ব্যবহার্য পণ্য
আসবাবপত্র, বাদ্যযন্ত্র, রান্নাঘরের বিভিন্ন সরঞ্জাম যেমন কুলো, ডালা, ঝুড়ি, চাঁটাই, প্লেট, বাটি, চামচ, স্ট্র সেই সঙ্গে কৃষি সরঞ্জাম, তোরণ, প্যান্ডেল তৈরি, ল্যাম্প, জামাকাপড়ের হ্যাঙ্গার, ল্যাপটপের কেসিং, ইত্যাদি নানা ধরণের পণ্য বানাতে বাঁশ দরকার হয়। বাঁশের তৈরি হস্তশিল্প পরিবেশবান্ধব, যা বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত। এগুলো সাধারণত দামে সস্তা হয়। আবার রপ্তানি করে আয়ের সুযোগও থাকে।
প্রসাধনী
বাঁশের মধ্যে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ থাকায় এটি এখন শ্যাম্পু, ক্রিমসহ নানা ধরণের প্রসাধনীসহ পোকামাকড় প্রতিরোধকের মতো পণ্য তৈরিতেও ব্যবহার হচ্ছে।
যত্ন ছাড়াই উপকার
এত উপকারী এই উদ্ভিদের বিশেষ কোনো যত্নের প্রয়োজন হয় না। এটি যেকোনো পরিবেশে টিকে থাকতে পারে। শুষ্ক মৌসুমে মাঝে মধ্যে পানি দিলেই হয়। বাঁশ খুব দ্রুত বড় হয়। চারা রোপণের পর পাঁচ বছরেই পূর্ণাঙ্গ বাগানে পরিণত হয়। বাঁশ সাধারণত একত্রে গুচ্ছ হিসেবে জন্মায়। এক একটি গুচ্ছে ১০- ৮০টি বাঁশ থাকতে পারে। এসব গুচ্ছকে বাঁশঝাড় বলে।
কিছু প্রজাতির বাঁশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৩৬ ইঞ্চি বৃদ্ধি পায়। এর মানে প্রতি ৪০ মিনিটে প্রায় এক ইঞ্চি পরিমাণ বড় হয়। তাই বাঁশ যেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায় সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। নিয়মিত কেটে পরিষ্কার করতে হবে।
দ্রুত বাড়ার কারণে বাঁশঝাড় বিক্রি করে ভালো উপার্জনের সুযোগ থাকে। অনেকে আবার বাড়ির ভেতরের বাতাস বিশুদ্ধ রাখতে বাঁশের চারা লাগিয়ে থাকেন। চাইলে এটি বাগানের মাটিতে রোপণ করা যেতে পারে বা একটি পাত্রে সাজানো যেতে পারে। কিছু প্রজাতির বাঁশ গাছ শুধু পানিতে রাখলেই হয়।
- পত্রিকা অফিসে হামলা জাতির জন্য লজ্জার: সালাহউদ্দিন আহমদ
- ভোটে লাখ সেনা মোতায়েন, যৌথ বাহিনীর অভিযান শিগগিরই
- ভারতকে উড়িয়ে ১৩ বছর পর চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান
- গলা ব্যথা হয় যেসব কারণে
- মনে পড়ে কি সেই শাকিল খানের কথা?
- পোস্টাল ব্যালট প্রেরণ, যেভাবে ভোট দেবেন প্রবাসীরা
- হাদি হত্যা: মামলায় ৩০২ ধারা সংযোজনের আদেশ
- বাংলাদেশের বিদায়, ফাইনালে ভারত-পাকিস্তান
- বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা পর্যালোচনা ভারতীয় বাহিনীর
- নিয়ম মেনে চলার পরও ওজন কমছে না? জেনে নিন সমাধান
- হাদির মৃত্যুতে তারকাদের কে কি লিখলেন
- `৭১-এর পর বাংলাদেশে ‘সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে’ ভারত
- প্রথম আলো-ডেইলি স্টার সম্পাদককে ইউনূসের ফোন
- ওসমান হাদি: জীবন-মৃত্যুর লড়াইয়ের ৭ দিন
- মেয়েকে নিয়ে ২৫ ডিসেম্বর সকালে ঢাকায় নামবেন তারেক রহমান
- ‘সেভেন সিস্টার্স স্বাধীন কর’ স্লোগান: বাবর বললেন, ‘দুঃখজনক’
- আইপিএল: মোস্তাফিজকে কত দিনের এনওসি দিলো বিসিবি
- ভারতীয় ভিসা কেন্দ্র চালু
- অস্ত্রধারী পুলিশ পাচ্ছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি
- মেসির ‘অমরত্বের’ তিন বছর
- মেহজাবীনের মামলার শুনানি পেছাল
- শীত কি সত্যিই প্রেমের মৌসুম?
- হাদিকে গুলি: প্রধান অভিযুক্তের বাবা-মায়ের দোষ স্বীকার
- আ’লীগের সময় নীরব ভারত এখন কেন সরব, প্রশ্ন তৌহিদের
- বাংলাদেশ সীমান্তে ৮০ শতাংশে কাঁটাতার দিয়েছে ভারত
- অ্যাকোয়ারিয়ামে পরিচর্যা সহজ এমন ১০ মাছ
- আইপিএল: কাড়ি কাড়ি অর্থ খরচের পর কোন দল কেমন হলো?
- ‘দঙ্গল’ ছাড়িয়ে ‘জওয়ান’ ও ‘অ্যানিম্যাল’কে টেক্কা দিচ্ছে ‘ধুরন্ধর’
- ৯ কোটি ২০ লাখ রুপিতে শাহরুখের কলকাতায় মোস্তাফিজ
- ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল
- শীতকালের গোসলে যে ৫ ভুল করতে নেই
- শিমের ৬ গুণ
- মেসির ‘অমরত্বের’ তিন বছর
- আড়ংয়ে চাকরি, পাবেন একগাদা সুবিধা
- ৯ কোটি ২০ লাখ রুপিতে শাহরুখের কলকাতায় মোস্তাফিজ
- শীত কি সত্যিই প্রেমের মৌসুম?
- ভারতীয় ভিসা কেন্দ্র চালু
- মেহজাবীনের মামলার শুনানি পেছাল
- `৭১-এর পর বাংলাদেশে ‘সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে’ ভারত
- বাংলাদেশের বিদায়, ফাইনালে ভারত-পাকিস্তান
- ওসমান হাদি: জীবন-মৃত্যুর লড়াইয়ের ৭ দিন
- পেছানোর শঙ্কায় পাকিস্তানের বাংলাদেশ সফর
- বাংলাদেশ সীমান্তে ৮০ শতাংশে কাঁটাতার দিয়েছে ভারত
- সেভেন সিস্টার্সকে বিচ্ছিন্ন করে দেব: হাসনাত
- বাজারে এলো শিশুদের স্মার্ট ইলেকট্রিক বাইক
- হাদিকে হত্যাচেষ্টা: আদালতে যা বললেন ফয়সালের স্ত্রী-শ্যালক-বান্ধবী
- ‘সেভেন সিস্টার্স স্বাধীন কর’ স্লোগান: বাবর বললেন, ‘দুঃখজনক’
- বাজার থেকে নিম্নমানের কিটক্যাট চকলেট সরানোর আদেশ
- হাদিকে গুলি: প্রধান অভিযুক্তের বাবা-মায়ের দোষ স্বীকার
- ভারতের কাছে পাত্তাই পেল না পাকিস্তান

