ঢাকা, ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১২ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৪০৭

করোনা আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা যেমন হবে

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:৫১ ২২ জানুয়ারি ২০২২  

১৮ বছর বয়সের নিচে করোনা আক্রান্ত কিশোরদের চিকিৎসায় অ্যান্টিভাইরাল ও মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি দেয়ার দরকার নেই। অধিকন্তু স্টেরয়েড দিয়ে চিকিৎসা করলেও মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। কোভিড-১৯ চিকিৎসায় এমন গাইডলাইন তৈরি করেছে ভারতীয় সরকার।

 

এতে আরও উল্লে্যখ করা হয়েছে, ৫ বছর বয়সের নিচের বাচ্চাদের মাস্ক পরার দরকার নেই। তবে ৬ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুরা তা পরতে পারে। সেক্ষেত্রে অভিভাবকের পর্যবেক্ষণ থাকতে হবে। আর ১২ বছর এবং এর ঊর্ধ্বে বালক-বালিকাদের বড়দের মতোই মাস্ক পরতে হবে।

 

করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সাম্প্রতিক কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করে এই গাইডলাইন তৈরি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, করোনার উপসর্গ মৃদু, মাঝারি ও তীব্র। এটি ভাইরাসঘটিত সংক্রমণ। কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে জীবাণুরোধীর (অ্যান্টিমাইক্রবিয়াল) কোনও ভূমিকা নেই।

 

উপসর্গহীন ও মৃদু উপসর্গযুক্ত শিশু-কিশোরদের চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া যাবে না। মাঝারি ও তীব্র ধরনের উপসর্গ থাকলেও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল দেয়া উচিত নয়। কেবল রোগ জটিল হলে এটি দিতে হবে।

 

সেপটিক শক-এর ক্ষেত্রে বিচার বিবেচনা করে অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া যেতে পারে। উপসর্গহীন ও মৃদু উপসর্গযুক্ত শিশু-কিশোরদের ক্ষেত্রে স্টেরয়েডের ব্যবহার ক্ষতিকারক হতে পারে। একমাত্র হাসপাতালে ভর্তি হওয়া জটিল কোভিড রোগীর চিকিৎসায় এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।

 

হাসপাতালে ভর্তি বাচ্চার থ্রম্বোসিস-এ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কার ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। সর্বোপরি, তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে।

 

করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পরেও রোগীর যত্ন নেয়ারও গাইডলাইন দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বাচ্চাদের আগের মতোই পরিচর্যা চলবে। সময়মতো টিকাকরণ, পুষ্টিযুক্ত খাদ্য এবং মানসিক অবস্থা জানতে ফলোআপ করাতে হবে।

করোনাভাইরাস বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর