ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৫৭৮

মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধের ৭ টোটকা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:২২ ৩১ মার্চ ২০২১  

দাঁতের সমস্যা কমবেশি সবারই আছে। কারো ফাঁকা, কারো পোকা। আবার কারো দাঁত থেকে রক্ত পড়ে। এসব নিয়ে ডেন্টিস্টদের শরণাপন্ন হতে দেখা যায় অনেককে। কিন্তু ঘরোয়া কিছু উপায় অবলম্বেন করলে সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।


গ্রিন টি
মাড়ির রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে গ্রিন টি খুবই কার্যকর। এটি দিয়ে কিছুক্ষণ কুলি করুন। ইহা  মাড়িকে জীবাণুমুক্ত করতে সাহায্য করে। তাছাড়া এর সাহায্যে মাড়ির রক্তক্ষরণও দ্রুত বন্ধ হয়।


লবঙ্গের তেল
লবঙ্গের তেলের উপকারিতার কথা আমরা অনেকেই জানি। এটি মাড়ির ব্যথা কমিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে। সামান্য লবঙ্গের তেল মাড়িতে লাগালেই উপকার মিলবে। এছাড়া একটি বা দুটি লবঙ্গ মুখে রাখলেও উপকার পাওয়া যায়। লবঙ্গ মাড়ির রক্তক্ষরণ বন্ধের সঙ্গে সঙ্গে মুখের দুর্গন্ধ কাটাতেও সাহায্য করে।


লবণ পানি

মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধের জন্য অল্প গরম পানির সঙ্গে সামান্য লবণ মিশিয়ে নিন। এবার তা দিয়ে দিনে অন্তত তিন-চার বার কুলি করুন। এই ঘরোয়া পদ্ধতিটি খুব সহজ ওকার্যকরী। এতে সাময়িক দাঁতের ব্যথায় এবং মাড়ির রক্তক্ষরণে উপকার পাওয়া যেতে পারে।


মধুর ব্যবহার
মধুর অ্যান্টিসেপ্টিক ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়া সমস্যার সমাধান করতে পারে। দাঁত ব্রাশ করার পর আঙুলের ডগায় একটু মধু নিয়ে তা দিয়ে দাঁতের মাড়ি অল্প ম্যাসেজ করে নিন। তবে লক্ষ্য রাখবেন, সেখানেই শুধু ম্যাসেজ করুন। দাঁতে মধু লাগাবেন না। এতে দাঁতে ক্যাভিটি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।


বেকিং সোডার ব্যবহার
সামান্য গরম পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করে নিন। এবার এই পেস্ট দিয়ে দাঁত মাজুন। বেকিং সোডা মুখের ভেতরের অ্যাসিড নিষ্ক্রিয় করে দেয়। ফলে দাঁত ক্ষয় হওয়ার সমস্যা দূর হয় এবং সেই সঙ্গে মাড়ির সমস্যাও।

 

ঠাণ্ডা পানি

 মাড়ির রক্তক্ষরণ বেশি হলে এক টুকরো তুলা বা গজ বরফ ঠাণ্ডা পানিতে ভিজিয়ে মাড়ির ওই ক্ষত জায়গাটায় চেপে ধরুন। এতে প্রাথমিকভাবে মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হবে।


লেবু লবণের ব্যবহার
লেবুর রস ও লবণ মিশিয়ে নিন। এরপর তা আঙুলের মাথায় লাগিয়ে দাঁত পরিষ্কার করে ৫ মিনিট রেখে দিন। তারপর সামান্য উষ্ণ পানিতে কুলি করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিমেষেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। 


তবে মাড়ি থেকে বারবার অতিরিক্ত মাত্রায় রক্তক্ষরণ এবং সেই সঙ্গে অন্যান্য সমস্যা দেখা দিলে (যেমন-জ্বর, অস্বাভাবিক হারে ওজন হ্রাস বা শরীরের অন্যান্য জায়গা থেকেও রক্তক্ষরণ) অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।