ঢাকা, ২৩ আগস্ট শনিবার, ২০২৫ || ৭ ভাদ্র ১৪৩২
good-food
২২

বন্ধ হচ্ছে ৯ আর্থিক প্রতিষ্ঠান

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:৪৮ ২২ আগস্ট ২০২৫  

দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সংকটে থাকা দেশের ৯টি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অতিমাত্রায় খেলাপি ঋণ, মূলধন ঘাটতি এবং আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠানকে অবসায়নের আওতায় আনা হচ্ছে।

 

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সম্মতিতে রেজল্যুশন বিভাগ থেকে এই ৯ প্রতিষ্ঠান বন্ধে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর আগে মে মাসে এসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে নোটিশ দেয়া হয়। যথাযথ জবাব না পাওয়ায় সেগুলোর লাইসেন্স বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়।

 

প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-পিপলস লিজিং, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, আভিভা ফাইন্যান্স, এফএএস ফাইন্যান্স, ফারইস্ট ফাইন্যান্স, বিআইএফসি, প্রিমিয়ার লিজিং, জিএসপি ফাইন্যান্স ও প্রাইম ফাইন্যান্স। এসব প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ ঋণ খেলাপি হয়েছে। যেমন-এফএএস ফাইন্যান্সের খেলাপি ঋণের হার ৯৯.৯৩ শতাংশ এবং ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের খেলাপি ঋণ প্রায় ৯৬ শতাংশ।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, দেশের ৩৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২০টি উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। সমস্যাগ্রস্ত এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট ঋণ প্রায় ২৫,৮০০ কোটি টাকা। যার ৮৩ শতাংশই খেলাপি। বন্ধক রাখা সম্পদের মূল্য এদের মোট ঋণের মাত্র ২৬ শতাংশ।

 

২০২৩ সালে প্রণীত ‘ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন’ অনুযায়ী, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স ৯টি কারণে বাতিল করা যেতে পারে। এই ৯টি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে মূলত তিনটি ধারা প্রযোজ্য হয়েছে- আমানতকারীর স্বার্থ পরিপন্থী কার্যক্রম, দায় পরিশোধে সম্পদের ঘাটতি এবং মূলধন সংরক্ষণে ব্যর্থতা।

 

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, অবসায়ন প্রক্রিয়ায় ক্ষুদ্র আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দেয়া হবে। কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিসংক্রান্ত সুবিধাও নিশ্চিত করা হবে। এসব প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠন বা একীভূতকরণে সরকারের প্রাথমিকভাবে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন হতে পারে। এর মধ্যে ব্যক্তি আমানতের নিট পরিমাণ প্রায় ৪,৯৭১ কোটি টাকা।