ঢাকা, ১০ জুন শনিবার, ২০২৩ || ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
good-food
৪৭০

সিইসির আচরণে অসন্তুষ্ট, সভা বয়কট করলেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৬:০৮ ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮  

ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সঙ্গে বৈঠকে তার আচরণে অসন্তুষ্ট হয়ে উঠে গেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতারা।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে সারাদেশের পরিস্থিতি জানাতে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা নির্বাচন কমিশনে সিইসির সঙ্গে বৈঠক করতে যান।

ঐক্যফ্রন্ট নেতারা অভিযোগ করে বলেছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আমাদের অভিযোগ শুনতে না চাওয়া এবং তার আচরণের কারণে তাঁরা সভা বয়কট করেন।

বৈঠক শেষে বিএনপির মহাসচিব ও ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেন,  নির্বাচনী পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি ঘটেছে। সারা দেশে আমাদের দলের নেতা কর্মীদের হত্যা, তাদের ওপর আক্রমণ অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। পুলিশও বিনা কারণে আমাদের দলের নেতাকর্মীদের ওপর চড়াও হচ্ছে। বিষয়গুলো প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে আমরা জানাতে এসেছিলাম্। কিন্তু তার আচরণ দেখে মনে হয়েছে তিনি এতে আগ্রহী নন। এসব বিষয়ে গুরুত্ব না দেখিয়ে এমন আচরণ করেছেন যেন আমরা মিথ্যা অভিযোগ করতে এসেছি। এ অবস্থায় আমরা সভা বয়কট করে সেখান থেকে উঠে এসেছি।

পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ১০ জন নেতা আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে করতে যান। সিইসির আচরণে বিরক্তি জানিয়ে বৈঠকের একপর্যায়ে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা সভা ত্যাগ করে উঠে আসেন। 

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচন কমিশন ও সরকার যৌথভাবে বিরোধী জোটের নির্বাচনী কার্যক্রমে বাধা দিচ্ছে। আসলে সরকার ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমরা ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেবো না। নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু হবে তা জাতির জানা হয়ে গেছে। ঢাকা শহর দেখে মনে হচ্ছে না দেশে নির্বাচন হচ্ছে। এ নির্বাচন সাংবিধানিক ধারা রক্ষার নির্বাচন, গনতন্ত্র  রক্ষার নির্বাচন। নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্য কি?

এসময় জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, পুলিশ সর্বত্র লাঠিয়াল বাহিনীর কাজ করছে। যদিও এরকমটা আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে আগেও হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বিষয়টি আমরা বলার পর তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন। আমরা তাঁকে বলেছি, সাংবাদিকেরা ভালোভাবে চলাফেরা করার স্বাধীনতা দিলে জনগণের লাভ হতো সেটা বন্ধ করে দিয়েছেন।তার আচরনে মনে হচ্ছে উনি ওপরের কারও নির্দেশে চলছেন। 


অভিযোগ জানানোর সময় আমরা ভেবেছিলাম সিইসি সহানুভূতি দেখাবেন। কিন্তু তিনি তার ধারের কাছেও নেই। উল্টো পুলিশের পক্ষ নিলেন এবং বলার চেষ্টা করলেন দেশে কোন সংকট নেই।

১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ ড. কামাল হোসেন, বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।