ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪ || ৭ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৮৩৫

প্রধানমন্ত্রী ডাকসুর আজীবন সদস্য, ভিন্নমত নুরের

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:২০ ২৩ মার্চ ২০১৯  

প্রায় তিন দশক পর হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন। শনিবার সকালে হয়েছে নতুন ডাকসুর প্রথম সভা। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আজীবন সদস্য করার প্রস্তাব ওঠে। তবে তাতে ভিন্নমত পোষণ করেছেন ভিপি নুরুল হক নুর।

গেল ১১ মার্চ হয় নির্বাচন। এদিন সকালে ডাকসু ভবনে হয় প্রথম সভা। এতে সভাপতিত্ব করেন পদাধিকার বলে ডাকসুর সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান। এতে নবনির্বাচিত ২৫ সদস্যই ছিলেন। ভিপি নুর ও সমাজসেবা সম্পাদক আকতার হুসেন বাদে সবাই ছাত্রলীগের।

উপাচার্য আখতারুজ্জামান সভায় বলেন, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত আগ্রহ ও ইচ্ছায় ডাকসুর নির্বাচন হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চাচ্ছে তাকে ডাকসুর আজীবন সদস্য করা হোক।

তবে ভিপি নুর এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, ছাত্র সমাজের বড় একটি অংশ নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। এ প্রশ্নবিদ্ধ ভোটের মাধ্যমে গঠিত পর্ষদে প্রধানমন্ত্রীর মতো সম্মানিত ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত না করাই ভালো।

আড়াই ঘণ্টার প্রথম বৈঠকে হল থেকে বহিরাগতদের অপসারণ, গণরুম-গেস্টরুম সংস্কৃতি বন্ধ করা এবং মেধার ভিত্তিতে হলে সিট বরাদ্দ নিয়ে সরব ছিলেন নুর।

বৈঠক শেষে অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে ডাকসুর আজীবন সদস্যপদ দিতে ডাকসুর প্রায় সবাই সহমত জ্ঞাপন করেছেন। অনারারি লাইফ মেম্বারশিপ। প্রস্তাবনাটি ধন্যবাদের সঙ্গে গ্রহণ করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে পরবর্তী সভায় এজেন্ডা আকারে এনে এটি করা হবে।

ডাকসুর জিএস ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে ডাকসুর আজীবন সদস্য করার প্রস্তাবটি ২৩ অনুপাত ২ ভোটে পাস হয়েছে।

তবে নুর বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আজীবন সদস্যপদ দেয়ার বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। তবে এখনও কোনো সমাধানে আমরা পৌঁছাইনি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নির্বাহী প্রধান। এখানে ডাকসুর আজীবন সদস্যপদ দেয়াটা তার জন্য বড় কিছু নয়।

দীর্ঘ ২৮ বছর পর আদালতের আদেশে গেল ১১ মার্চ ডাকসু এবং ১৮টি হল সংসদের নির্বাচন হয়।  পরে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগে কয়েকটি প্যানেল বর্জন করে।