ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪ || ৭ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৮০৮

হঠাৎ আমেরিকার সিকিউরিটি অ্যালার্ট কেন, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:৫৯ ৫ এপ্রিল ২০১৯  

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঝড়ঝাপটা ও নানা দুর্যোগের মধ্য দিয়েও বাংলাদেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন হঠাৎ করেই আমেরিকা একটি সিকিউরিটি অ্যালার্ট দিয়েছে। ঠিক কী কারণে এই সিকিউরিটি অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে, সেটি আমাদের জানা নেই। তাই অ্যালার্ট জারির আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা উচিত। তারপরও আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি, কেন এই সিকিউরিটি অ্যালার্ট।

শুক্রবার বিকেলে গণভবনে আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা প্রশ্ন রেখে বলেন, হঠাৎ করে আগুন লাগার কারণেই কি তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণে এই অ্যালার্ট? আমেরিকা-লন্ডনেও তো আগুন লেগে অনেক মানুষ মারা যায়, সেসব দেশে তো আমাদের মতো এত সময় দিয়ে উদ্ধার অভিযানও চালানো হয় না। তাহলে কেন এই অ্যালার্ট, সেটিও জানানো উচিত।

তিনি বলেন, কারণ সন্ত্রাসবাদের সমস্যা সারা বিশ্বেরই। একটি ঘটনা ঘটলে তার প্রভাবও সারা বিশ্বে পড়ে। তাই আমেরিকার কাছে কোনো তথ্য থাকলে তা দ্রুত কর্তৃপক্ষকে জানানো উচিত।

 

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের ইন্টেলিজেন্স ও প্রশাসন অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। এরইমধ্যে তাদের সহায়তায় আমরা বাংলাদেশকে জঙ্গিমুক্ত ও সন্ত্রাসমুক্ত করেছি।

আগুন প্রতিরোধ তথা অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জোরপ্রচেষ্টা চালিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তা সত্ত্বেও তাদের দুয়ো শুনতে হচ্ছে। ঘটনার সময় ফায়ার সার্ভিসের ওপর কিছু মানুষ চড়াও হন। তাদের গাড়ি পর্যন্ত ভেঙে দিয়েছেন। একেকটা গাড়ির দাম অনেক। চেষ্টাকারীদের বাধা দেয়া ও মারা মোটেও শোভা পায় না। এসব না করে আগুন নেভানোর কাজ করতে পারতেন তারা।

তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের একজন আহত হয়েছেন। তবু আগুন লাগলে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। এক কমবয়সী ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করতে গিয়ে প্রাণ সঙ্কটে ভুগছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেরা স্বেচ্ছাসেবক হয়ে কাজ করেছে। সাধারণ কিছু মানুষ দায়িত্ব পালন করেছেন। তাদের মতো হোন সবাই।

শেখ হাসিনা বলেন, মিডিয়া দেখলেই মানুষ ভিড় জমান। সেটাও সবাইকে বুঝতে হবে। এ পরিস্থিতিতে সবাইকেই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

 

বাংলাদেশ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর