ঢাকা, ১৯ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৬৭০

৩০ ডিসেম্বর যা ঘটেছে তা প্রহসন : ড.কামাল

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০৯:০৯ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ৩০ ডিসেম্বর যা ঘটেছিল তা প্রহসন। অনেকেই বলেছেন এটা নাটক, এটা দুঃখজনক। 
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর পুত্র প্রয়াত রাশেদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুতে আয়োজিত এক শোকসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ড. কামাল বলেন,  নির্বাচনের পর দিন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হল- ‘আমরা আরও ৫ বছর ক্ষমতায় থাকবো’। এ কথা বলে তারা ১৬ কোটি মানুষকে অপমান করেছে। এটা মেনে যায় না।
 দেশের ১৬ কোটি মানুষকে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে যা যা করণীয় তা অন্তত করবো।  

শোকসভায় জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব বলেন, যারা কারাগারে আছে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ছাড়া তাদের মুক্ত করা যাবে না। আজকে যারা ক্ষমতায় আছে তাদের মধ্যে সেই মনুষত্ব নেই।

তিনি বলেন, ১৬ কোটি মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। কিন্তু কোথাও কেউ প্রতিবাদ করল না। এটা কি শুধু কোনও রাজনৈতিক নেতা করবে, কোনও রাজনৈতিক দল করবে? এটা হয় না। সারা দেশে বর্তমানে এক লক্ষ লোক কারাগারে আছে। এদেরকে মুক্ত করতে আসুন ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করি।

 ব্যারিস্টার মঈনুল ইসলাম বলেন, আমলাতান্ত্রিক সহযোগিতায় আওয়ামী লীগ জনগণকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। আসলে তারা এটা করে নিজেরা নিজেদের বঞ্চিত করেছে। এটা স্বাধীন দেশের মানুষের জন্য লজ্জার।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক  উপদেষ্টা বলেন, রাজনীতি এখন ব্যবসা হয়ে গেছে। এটা রাজনীতি নয়। দেশের রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, অবসরপ্রাপ্ত আমলাদের রাজনীতিতে নেয়া হয় না। এখানে পুলিশও জড়িত হয়েছে। তারা দেশের মানুষ পেটায়। আজকে তারা মনে করে তাদের ছাড়া ড. কামালরা কি দেশ চালাতে পারবে? এখন দেশে যা চলছে তা আমলাতান্ত্রিকতা। শেখ হাসিনার কিছু করার নেই।

রাশেদ সোহরাওয়ার্দীর লাশ দেশে না আনা প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার মঈনুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এখন ক্ষমতায়। চাইলে রাশেদের মৃতদেহটা দেশে আনতে পারতো। কেন যে আনা হলো না- খুব কষ্ট হচ্ছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান বলেন, দেশে উদার গণতন্ত্র অনুপস্থিত। রাজনীতির নামে এখন চারদিকে হিংসা আর বিদ্বেষ।


শোকসভায় গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, প্রেসেডিয়াম সদস্য মোকাব্বি খান, আমসা আমিন ও জগলুল হায়দার আফ্রিক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।