ঢাকা, ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১২ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৯৭০

জীবনানন্দ-শহিদুল

আমাদের দীনতা যেন ঠাঁই পায় ক্ষমার ছায়াতলে

মেজর ডা. খোশরোজ সামাদ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৩:৫৫ ২৬ মার্চ ২০১৯  

১ . জীবনান্দ দাশ জীবদ্দশায় প্রায় অনুচ্চারিত ছিলেন। পাঠকপ্রিয়তা পান নি, সেসময়ের কাগজগুলি তাকে নিয়ে মাতামাতি করে নি, দিগগজ পন্ডিতেরাও 'ইউরেকা ইউরেকা' বলে চেঁচিয়ে ওঠেন নি।

 

২. শহিদুল জহির? জীবদ্দশায় পাঠকেরা কি তাঁর লেখা পড়ে বিমোহিত হয়েছিলেন?  ইলেকট্রনিক বা প্রিন্ট মিডিয়ায় তাঁকে নিয়ে কি ' কভারেজ' দিয়েছিল? জ্ঞানতীর্থ -জ্ঞানাচার্যগণ কি তাঁর অমিত শক্তির কোন ইংগিত দিয়েছিলেন?

 

৩. নিজেকে শামুকের মত গুটিয়ে রাখতেন জীবনানন্দ। শহিদুলকে উচ্ছলতায় হো হো করে হেসে ফেটে পরতে কেউ কি দেখেছেন? দারিদ্রের সাথে লড়াই ছিল জীবনানন্দের নিত্যকার ঘটনা। শহীদুলকে অর্থের পেছনে কেউ কি উন্মত্ত হতে দেখেছেন?

 

৪. মৃত জীবনানন্দ জীবিত জীবনানন্দের চেয়ে কত শক্তিশালী! এতো এতো বছর পরেও তাঁর লেখা নতুন করে আলোর মুখ দেখছে। রবীন্দ্রনাথের ব্যাপক প্রভাবের বাহিরে দূতি ছাড়িয়েছেন মেধাদীপ্তি আর স্বকীয় ধারায় পথ চলবার কারণে। হাসান আজিজুল হক, ইলিয়াস, ছপার মত গণগণে সূর্য আলো দিলেও শহিদুল কাউকে কি আইকন ভেবেছিলেন? তাঁদের কারো ছকে কি হেঁটেছিলেন?

 

৫ . জীবনানন্দ দাশকে নিয়ে আজও প্রাজ্ঞজনেরা ব্যপক গবেষণা করছেন। টেবিল ভেংগে ফেলছেন কেউ বা থাপ্পর মেরে। শহিদুলকে নিয়ে কি মাতামাতি কম হচ্ছে? মঞ্চ নাটক হচ্ছে। নাট্যজনেরা শতধা বিভক্ত হয়ে কেউ তাঁর নাটককে ইতিহাসের দলিল কেউ বা ইতিহাসের বিকৃতি বলছেন।  আকাশচুম্বী সার্কুলেশনের কাগজ তাঁর চিঠি ছেপে কৃতার্থ হচ্ছে।

প্রিয় জীবনানন্দ দাশ, প্রিয় শহিদুল জহির, অনন্তলোকের অক্ষয়জ্যোতিতে আমাদের দীনতা যেন আপনাদের ক্ষমার ছায়াতলে যেন একটু ঠাঁই পায়।

# মেজর ডা. খোশরোজ সামাদ, উপ অধিনায়ক, আর্মড ফোর্সেস ফুড এন্ড ড্রাগস ল্যাবরটরী

শিল্প-সাহিত্য বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর