ঢাকা, ২৬ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪ || ১২ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৪৪৫

করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা : মাস্ক পরা নিশ্চিতে এবার মাঠে র‌্যাব

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:২০ ২৬ নভেম্বর ২০২০  

করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা সামলাতে নেয়া হচ্ছে নানা উদ্যোগ। বিশেষ করে মাস্কের ব্যবহার নিশ্চিত করতে চালানো হচ্ছে প্রশাসনিক কার্যক্রম। এটি নিশ্চিতে এবার মাঠে নেমেছে র‌্যাব। ঢাকা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে চালানো হচ্ছে যৌথ মোবাইল কোর্ট। মাস্ক ব্যবহার না করায় জরিমানাও করা হচ্ছে।

 

এ ধরনের অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে নগরবাসী। তবে যাদের মাস্ক ছিল না বরাবরের মতোই তাদের ছিল উদ্ভট সব যুক্তি।

 

বৃহস্পতিবার ঢাকা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে মোবাইল কোর্টের অভিযানে নামে র‍্যাব। এদিন মাস্ক ব্যবহার না করায় ১০০- ৩০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়। রাজধানীর শাহবাগ, ফার্মগেট, সিটি কলেজ, মিরপুর এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করেন র‍্যাবের চার জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

 

করোনার হিসাবটা গত দুই সপ্তাহ ধরেই আশঙ্কার যোগান দিচ্ছে। এ কারণে সচেতনতা সৃষ্টির জন্যও কাজ করছে র‍্যাব। 

 

শাহবাগে অভিযান চালান র‍্যাব-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু। তিনি জানান, জরিমানা করাই মূল উদ্দেশ্য না। অভিযানের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করতে চাই। তবে যেসব শিক্ষিত মানুষ অসচেতনভাবে মাস্ক ব্যবহার করছেন না তাদেরকে জরিমানার আওতায় আনা হচ্ছে।

 

ফার্মগেট এলাকায় অভিযান চলাকালীন সময়ে র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আখতারুজ্জামান বলেন, ‘তুলনামূলকভাবে শিক্ষিত মানুষরাই মাস্ক ব্যবহার করছেন না। তাদের জরিমানা করছি। অন্যদিকে কিছু দরিদ্র শ্রমিকরা একই মাস্ক বার বার ব্যবহার করছেন, তাদেরকে সচেতন করাসহ বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করছি।’

 

মাস্ক পরিধান বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুজ্জামানসহ র‍্যাব-৪ এর অধিনায়ক উপস্থিতিতে মিরপুর-১ দারুস সালাম রোডে অভিযান পরিচালিত হয়। র‍্যাব-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘দূরপাল্লার গাড়ি থেকে যারা নামছেন অধিকাংশ মাস্ক ব্যবহার করছে না। গাবতলী থেকে ছেড়ে যাওয়া এবং আসা দূরপাল্লার যাত্রীদের সচেতনতার জন্য অভিযান পরিচালনা করছি।’

 

অভিযান চলাকালে মাস্ক না পরার যুক্তি কেউ বলছেন, অক্সিজেন নিতে মাক্স খুলেছি, কেউবা বলছেন দম বন্ধ লাগে। আর ভুলে বাসায় রেখে এসেছি, মাত্রই ফেলে দিলাম কিংবা হারিয়ে গেছে এমন অযুহাতই দিচ্ছেন অনেকেই।

 

মোবাইল কোর্টে নিম্নবিত্তদের বিনামূল্যে মাস্ক দেওয়া হলেও ছাড় পায়নি বাকিরা। জরিমানা করা হয় এক'শ থেকে তিন'শ টাকা। 

 

অনেকেই বলছেন, জরিমানার টাকাটা একটু বেশি। তিন’শ টাকা সব সময় সবার কাছে নাও থাকতে পারে। তবে অভিযোগ থাকলেও এমন অভিযান কাজে দেবে বলে মত সাধারণের। তারা বলছেন, এতে করে সাধারণ মানুষের সচেতনতা একটু হলেও বাড়বে। করোনার ভয়ে না হলে র‍্যাবের ভয়ে অন্তত মাস্ক পরবে।

 

এ ধাপের করোনা মোকাবিলায় এমন অভিযান চলমান থাকবে জানিয়েছে র‍্যাব। তারা বলছেন, দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় এখন এধরনের অভিযান জরুরি হয়ে পড়েছে। তাছাড়া ভ্যাকসিন আসার আগ পর্যন্ত মাস্কই ভ্যাকসিনের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে।

 

র‍্যাব আরও জানায়, এর পাশাপাশি সচেতনতামূলক কার্যক্রমও চলমান থাকবে। আর আইন মানার বিষয়টি অবশ্যই সবাইকে মনে রাখতে হবে।