ঢাকা, ১৯ মার্চ মঙ্গলবার, ২০২৪ || ৫ চৈত্র ১৪৩০
good-food
৬৪৬

‘ছাত্রলীগ মিথ্যা গল্প ফেঁদেছে, আমি চ্যালেঞ্জ দিলাম’

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:০৪ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে ছাত্রলীগ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা গল্প ফেঁদেছে। এ বিষয়ে তাদের চ্যালেঞ্জ করলাম আমি। ঘটনা তদন্ত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও আচার্যকে অনুরোধ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার দুপুরে বাসভবনে সাংবাদিকদের উপাচার্য বলেন, অর্থ লেনদেনের বিষয়টি বানোয়াট গল্প। টাকা-পয়সা নিয়ে তাদের সঙ্গে আমার কোনো কথা হয়নি। তারা তাদের মতো করে কাজ করে। তারা কার কাছে কমিশন পায় কিংবা না পায়, তা আমি জানি না। এ বিষয়ে ওরা আমাকে ইঙ্গিত দিলে আমি বলি, তোমরা টাকা-পয়সা নিয়ে কোনো আলাপ আমার সঙ্গে করবে না। তোমরা যা চাও, তা তোমাদের মতো কর।
এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি খবর বের হয়, ফারজানা ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের প্রথম ধাপের ৪৫০ কোটি টাকার মধ্যে ২ কোটি টাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের মধ্যে ভাগাভাগি করে দেয়া হয়। এর পর উপাচার্যের বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনের এ অভিযোগ তদন্তসহ ৩ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু হয় ক্যাম্পাসে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গেল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন তিনি। আর গত বৃহস্পতিবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন ফারজানা। আলোচনায় আন্দোলনকারীদের ২ দফা দাবি মেনে নিলেও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগের বিষয়ে আগামী বুধবার পর্যন্ত সময় নেন।
জাবি উপাচার্য বলেন, তাদের (ছাত্রলীগ) মূল উদ্দেশ্য ছিল, তারা ঠিকাদারের কাছ থেকে কিছু কমিশন নেবে। এ বিষয়ে আমাকে ইঙ্গিতও দিয়েছে। কিন্তু আমার কাছে এসে হতাশ হয়েছে ওরা। প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের লেখা খোলা চিঠি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
ইতিমধ্যে এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী খোলা চিঠি দিয়েছেন।এ বিষয়ে উপাচার্য বলেন, তারা মিথ্যা গল্প ফেঁদেছে। আমি তাদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলাম। এ বিষয়ে আমি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, মাননীয় আচার্যকে তদন্ত করতে বলব। আমি তাদের কাছে যাব। এতে আমার কোনো সমস্যা নেই।
ছাত্রলীগ কেন মিথ্যা কথা বলবে? ফারজানা ইসলামের জবাব, আমি দুর্ভাগ্যক্রমে শেষ তীর ছিলাম। এটা হয়তো আমার দিক থেকেই গেল। এর পটভূমি গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রিয় ছাত্রলীগের পচন না ধরে, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী তদন্ত শুরু করেছিলেন। কিন্তু শেষমেশ হয়তো আমারটা দিয়ে শেষ হয়ে গেল। তারা (ছাত্রলীগ) এ ষড়যন্ত্র করেছে এটা থেকে বাঁচতে। তাই ক্যাম্পাসের আন্দোলনের সঙ্গে বিষয়টি জড়িয়ে দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ক্যাম্পাসে আন্দোলনের মাধ্যমে কিছু মানুষ আমাকে দুর্নীতিবাজ বানাতে চাচ্ছে। তাই আমি চাই দুর্নীতি যে-ই করুক, এর তদন্ত হোক। যে বা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান নষ্ট করেছে, তার তদন্ত হোক। হয়তো আমার দুর্নীতি বের করতে গিয়ে অন্য কিছু বেরিয়ে আসবে।