ঢাকা, ১৯ মার্চ মঙ্গলবার, ২০২৪ || ৫ চৈত্র ১৪৩০
good-food
৭৪১

ধর্মীয় উস্কানির বই প্রকাশ করলে ব্যবস্থা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৬:০৮ ৩১ জানুয়ারি ২০১৯  

ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, অমর একুশে গ্রন্থমেলাকে ঘিরে নিশ্ছিদ্র ও সুদৃঢ় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। দর্শনার্থী, লেখক ও প্রকাশকদের নিরাপত্তায়  সব ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রন্থমেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে মেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সামনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি । 

কমিশনার বলেন, বইমেলা ঘিরে পুরো বাংলা একাডেমি, টিএসসি ও দোয়েল চত্বর এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। বাংলা একাডেমিতে দুটি প্রবেশ গেট থাকবে এবং বের হওয়ার জন্য একটি গেট থাকবে। অন্যদিকে বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অংশে প্রবেশে তিনটি ও বাইরে যাবার জন্য তিনটি গেট থাকবে। 

প্রতিটি গেটেই দর্শনার্থীদের আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করে ভেতরে প্রবেশ করানো হবে। নারী ও পুরুষদের প্রবেশের জন্য আলাদা লেন থাকবে, যাতে ইভটিজিংসহ যেকোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। 

সিটি কর্পোরেশনের সাথে সমন্বয় করে রাস্তার ল্যাম্পগুলো আরো বেশি করে জ্বালানোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়া বাংলা একাডেমির ভেতরেও পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা সরকার করেছে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কোনো ভাসমান দোকান বা হকার থাকবে না। পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি পুরো ঢাবি এলাকায় সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। প্রস্তুত থাকবে পুলিশের বিশেষায়িত টিম সোয়াট ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। 

পুলিশের কন্ট্রোল রুম থাকবে মেলা প্রাঙ্গণে। মেলায় আগতরা যেকোনো ধরণের আইনি সহায়তা চাইলে এখান থেকে সাহায্য করা হবে। 

ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেয়, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন কোনো বই প্রকাশ করা যাবে না। যদি কোনো লেখক বা প্রকাশক এই ধরণের বই প্রকাশ করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাংলা একাডেমি থেকে এ ধরণের বই মনিটর করতে একটি টিম গঠন করা হয়েছে, তারা মেলায় সার্বক্ষণিক নজরদারি করবে। 

লেখক, ব্লগার ও প্রকাশকদের মধ্যে কেউ যদি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে তাহলে তারা যোগাযোগ করলে তাদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার। 

পকেটমার ছিনতাইকারী দমনে পুলিশের বিশেষ টিম থাকবে। এছাড়া মেলায় থাকবে ব্লাড ব্যাংক, ফিডিং পয়েন্ট, লস্ট এন্ড ফাউন্ড সেন্টার। 

শিল্প-সাহিত্য বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর