ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪ || ১৫ চৈত্র ১৪৩০
good-food
১৯২

পিপুলের ওষুধি গুণাগুণ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২৩:৫৭ ৩ জানুয়ারি ২০২৩  

গ্রাম বাংলার পরিচিত উদ্ভিদ পিপুল। এটি সুগন্ধিযুক্ত লতানো গাছ। মাটিতে বেয়ে বেয়ে বড় হয়। কখেনো অন্য গাছ বেয়ে উঠে। লতার প্রতি পর্ব সন্ধি বা গিট থাকে। এর একটি করে পাতা একান্তভাবে জন্মায়। এ পাতা দেখতে অনেকটা পান পাতার মতো।

 

বোঁটা ছাড়া পাতা লম্বায় ৪-৬ সেমি এবং চওড়া ২-৪ সেমি। পাতার উপরিভাগ ঘন সবুজ, চওড়া ও নিচের দিকটা হালকা সবুজ। প্রতিটি পর্ব ৭-১৩ সেমি লম্বা হয়। ফুল কড়ি অবস্থায় সবুজ। ফল পাকলে হলুদ ও পরে ধূসর হয়ে যায়। গ্রামে গঞ্জের আনাচে কানাচে এই গাছ দেখতে পাওয়া যায়। পিপুলের কিছু ভেষজ ওষুধি গুণাগুণ রয়েছে যা এখন আলোচনা করা হলো-

 

উপকারিতা

শ্বাস কাস, উদর জ্বর, কুষ্ঠ, প্রমেহ, গুল্ম অর্শ, প্লীহা, শূল, আমবাত বিনাশক। আদ্র পিপুল কফ কারক, সিগ্ধ , শীতল, মধু রস, গরু ও পিত্ত নাশক শুষ্ক পিপুল পিত্ত প্রকোপক। পিপুলের মূল ও পিপুলের ন্যায় গুণকারক। পিপুল চূর্ণ্ মধু সহ সেবনে মেদরোগ, কফ, শ্বাস, কাস ও জ্বর নিবারিতা হয় এবং বল মেধা ও অগ্নি বর্ধিত হয়।

 

ইক্ষু গুড় দুই ভাগ এবং পিপুল চূর্ণ্ এক ভাগ, উভয়ে মিশ্রিত করে নিয়মিত সেবনে জীর্ণ্জ্বর, অগ্নিমান্দ্য, কাশ অজীর্ণ, অরুচি, শ্বাস, হৃদরোগ ও ক্রিমি ন্ষ্ট হয়। পিপুলের শুকনা অপরিপক্ক ফল বল বৃদ্ধিকারক ও টনিক হিসেবে, অপরিপক্ক ফুল এবং মূলের ক্বাথ পুরাতন ব্রঙ্কাইটিস, কাশি এবং ঠান্ডাজনিত রোগের জন্য উপকারি।

 

পিপুল পাতা মাছের ঝোলের সাথে রান্না করে খেলে কাশিতে উপকার পাওয়া যায়। সবচাইতে উপকার পাওয়া যায় মেদ ভূড়িতে যারা কষ্টে থাকে। তাদের জন্য ২৫০ মিগ্রা পিপুল চূর্ণ্‌ আধা চা চামচ মধুসহ খাওয়ার ১৫ মিনিট আগে এক কাপ অল্প পানিসহ মাস খানেক খেলে উপকৃত হবেন।

 

১৫০ মিগ্রা পিপুল চূণ ২০-২৫ ফোটা ঘিয়ের সাথে ভেজে মাস খানেক খেলে স্মরণ শক্তি  ও মেধার লক্ষণীয় উন্নতি হবে। দুই গ্রাম পিপুল সামান্য থেতো করে চার কাপ পানিতে সিদ্ধ করে দুই কাপের মতো থাকতে নামিয়ে নিয়ে ছেকে সেই পানি তিন ঘন্টা পর পর তিন চার কার করে খেলে হাপানির কষ্ট কমে যায়।