ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪ || ১৫ চৈত্র ১৪৩০
good-food
২৯৪

সময়মতো ঘাটে বাঁধতে পারলে বেঁচে যেতো অনেক প্রাণ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০২:৪৪ ২৭ ডিসেম্বর ২০২১  

অগ্নিকাণ্ডের পর ঝালকাঠি টার্মিনালে ঘাট দিয়েছিল অভিযান-১০। কিন্তু কেউ নোঙ্গর না করায় আবারও ভেসে যায় লঞ্চটি। তার প্রায় আধাঘণ্টা পর চরে গিয়ে ভেড়ে। সময়মতো ঘাটে বাঁধতে পারলে বেঁচে যেত আরও অনেক প্রাণ, মনে করেন ভুক্তভোগী যাত্রীরা। কিন্তু তার আগেই পালিয়েছিল লঞ্চের স্টাফরা। এমনটাই অভিযোগ যাত্রীদের।

 

২৪ ডিসেম্বর বিভীষিকাময় সেই রাতে অভিযান-১০ লঞ্চে কি কারণে আগুন লেগেছিল তা হয়তো জানতে আরো সময় লাগবে। কিন্তু আগুন লাগার পরও এর ইঞ্জিন চালু ছিল। সে অবস্থাতেই সেটি ঝালকঠি টার্মিনালে ঘাটও দেয়। কয়েকশ' যাত্রী ওই সময় নেমে যেতে পারলেও নোঙ্গর না করায় আবার সেটি ভেসে যায়। ওই সময় লঞ্চটির মাস্টার ব্রিজে কোনো স্টাফ ছিল না।

 

প্রায় আধাঘণ্টা পর বিপরীত পাশের চরে গিয়ে ভোরে দাউ দাউ করে পুড়তে থাকা লঞ্চটি। এমনটাই অভিযোগ সেই রাতে প্রাণে বেঁচে আসা যাত্রীদের। আর পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

 

লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪টি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় জেলা প্রশাসন, বিআইব্লিউটিএ এবং ফায়ার সার্ভিস।

 

শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) ভোররাত ৩টার দিকে ঝালকাঠি সদর উপজেলার সুগন্ধা নদীর গাবখান চ্যানেলে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ যাত্রীবাহী লঞ্চে আগুন লাগে। ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।

 

এদিকে লঞ্চে আগুনের ঘটনায় এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক হাম জালাল শেখের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বরগুনার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাজমুল ইসলাম নাসির বাদি হয়ে রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল নয়টায় বরগুনা মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে মামলার আবেদন করেন।