ঢাকা, ০৮ অক্টোবর মঙ্গলবার, ২০২৪ || ২৩ আশ্বিন ১৪৩১
good-food
১২০৯

লকডাউন কোনো সমাধান নয়

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০১:৪৯ ৫ আগস্ট ২০২১  

লকডাউন কি কোনো সমাধান? নাকি অন্য উপায় ভাবা যেত? লকডাউন অর্থনীতিতে কী প্রভাব ফেলবে, এসব বিষয়ে কথা বলেছেন জাপান–বাংলাদেশ চেম্বারের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমানে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বারভিডার প্রেসিডেন্ট আবদুল হক।  


লকডাউন কীভাবে মোকাবিলা করছেন ব্যবসায়ীরা?
আবদুল হক:
একটা ভয়াবহ অবস্থা চলছে এখন। যদিও ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করে চেষ্টা করছে টিকে থাকার জন্য। প্রকৃত ব্যবসায়ী বিশেষ করে উৎপাদন, সেবা, এসএমই খাতের তারা একটা কঠিন সময় পার করছে। 


প্রায় এক বছর চার মাসের মধ্যে তারা সবাই রীতিমতো সংগ্রাম করছে। প্রতিকূল অবস্থার ভেতরও চট্টগ্রাম কাস্টমস প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে। প্রায় ১৭ শতাংশের মতো প্রবৃদ্ধি। এতে প্রমাণিত হয় যে ব্যবসায়ীরা সুযোগ পেলেই চেষ্টা করে ব্যবসাটাকে সচল রাখতে। 


লকডাউন না দিয়ে তো উপায় ছিল না সরকারের?
আবদুল হক:
সরকার হয়তো যথার্থ কারণেই কঠিন লকডাউন দিয়েছে। সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে, হয়তো এর বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। বৈজ্ঞানিক সমাধান ছিল বড় রকমের প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়া এবং টিকাদান কর্মসূচিকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক করা যেত। 


কিন্তু অর্থনীতি বসে যাচ্ছে। একটা বিশাল জনগোষ্ঠী কর্মহীন হয়ে পড়ছে। যারা স্বল্প আয়ের মানুষ, দিন আনে দিন খায় কিংবা কাজ করে খায়, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ব্যবসায়ী, সেবা খাত–তাদের তো এখন না খেয়ে মরার উপক্রম। আমি মনে করি, সীমিত আকারে সবকিছুই চালু রাখা যেত। এভাবে পুরো লকডাউন কোনো সমাধান নয়। এটা ভয়ংকর। 


সরকার মৃত্যুর হার যথাযথভাবে কমানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু এর বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি দরকার ছিল। কীভাবে ব্যাপকহারে টিকা দেওয়া যায়, স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারটা আরও কীভাবে নিশ্চিত করা যায়। এখন যেভাবে করা হয়েছে, তাতে অর্থনীতি অকার্যকর হয়ে যাবে।


লকডাউনে নীতিগত কোনো দুর্বলতা দেখছেন?
আবদুল হক:
ব্যক্তিগতভাবে আমি চরম এক হতাশার মধ্যে আছি। আমার ধারণা, গোটা জাতিই এ হতাশায় ভুগছে। পুরো বিষয়টাকে যদি বিবেচনায় নেন, তাহলে নীতির জায়গায় যে মারাত্মক দুর্বলতাগুলো আছে, সেটা ধরতে পারবেন। এটা শুধু এক জায়গায় নয়; নীতির জন্য যথাযথ ফোরামগুলো নেই। 


স্টেকহোল্ডাররা সচল নয়। সব মিলিয়ে নীতির জায়গায় দৈন্য ও ভঙ্গুরতা আছে। স্বাস্থ্য খাতের বিশেষজ্ঞরা হয়তো সরকারকে পরামর্শ দিচ্ছেন, কিন্তু অর্থনীতির জন্য আরও সচেতন হয়ে যে চিন্তা করা দরকার ছিল। 


সরকারি সেবা বা সহায়তা নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?
আবদুল হক:
সার্বিকভাবে জবাবদিহির ঘাটতি রয়েছে। অনেক কর্মকর্তা বেনামে ব্যবসা করছে। তারাই টেন্ডার করে, তারাই সাপ্লাই করে। ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। ভয়াবহ বিষয়। 

 

এক টাকার জিনিস এক শ টাকায় কিনছে। বড়রা সহায়তা পেয়েছে কিন্তু ছোটরা কীভাবে বাঁচবে? কৃষক বা শ্রমিক কি পাচ্ছে? পোশাক খাতে দিয়েছে, এটাকে স্বাগত জানাই। কিন্তু সার্বিকভাবে তো পৌঁছাচ্ছে না। 

সাক্ষাৎকার বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর