লকডাউন থেকে বের হতে বিশেষজ্ঞদের ১০ সুপারিশ
লাইফ টিভি 24
প্রকাশিত: ২৩:৫২ ২ মে ২০২১

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে এখন পর্যন্ত লকডাউন কিংবা কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করার পদ্ধতিকে সবচেয়ে কার্যকর মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে লকডাউনের মতো একটি বিষয় দীর্ঘদিন চালিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। কারণ এতে মানুষের জীবনজীবিকা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সম্প্রতি বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে সরকার ৫ এপ্রিল থেকে বিভিন্ন ধরনের বিধিনিষেধ জারি করেছে। আগামী ৫ মে পর্যন্ত চলবে এই বিধি-নিষেধ। কিন্তু তুলে নিলেও সংক্রমণ যাতে না বাড়ে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে 'লকডাউন' থেকে বেরিয়ে আসার একটি কৌশল ঠিক করেছে করোনা প্রতিরোধে জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি।
এ সংক্রান্ত সুপারিশগুলো ইতোমধ্যে সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদি কৌশল হিসেবে ১০টি সুপারিশ করেছেন তারা। এসব সুপারিশ হলো-
১. অবশ্যই মুখে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। ঘর থেকে বের হবার সাথে সাথে যেন মুখে মাস্ক থাকে। যেখানে ভাইরাসের ঘনত্ব বেশি যেমন, গণপরিবহন, সুপার মার্কেট, বাজার, ব্যাংক, হসপিটাল - এসব জায়গায় কেউ মাস্ক ছাড়া যেতে পারবে না। মাস্ক না পরলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা থাকতে হবে।
২. অফিসে উপস্থিতি অর্ধেক করার প্রস্তাব করেছে জাতীয় পরামর্শক কমিটি। তবে উপস্থিতি এক-তৃতীয়াংশ হলে ভালো হয়। অফিসগুলোতে ভার্চুয়াল মিটিংকে উৎসাহ দিতে হবে। অফিসগুলোতে যেন দলবেঁধে খাওয়া-দাওয়া না চলে। সবাই যেন আলাদাভাবে তাদের খাওয়া সেরে নেয়।
৩. গণপরিবহন যেন তাদের সক্ষমতার ৫০ ভাগ যাত্রী বহন করে। এই নিয়ম দীর্ঘদিনের জন্য চালু থাকতে হবে। এছাড়া প্রাইভেট এবং তিনচাকার ট্যাক্সি একজন করে যাত্রী বহন করবে। তবে পরিবারের সদস্য হলে দুইজন বহন করতে পারে। অবশ্য রিকশা, মোটরসাইকেল এবং বাই-সাইকেলে কোনও সমস্যা নেই।
৪. খাবারের দোকান, মুদি দোকান, মার্কেট এবং শপিং-মল দিনের লম্বা সময়ের জন্য খোলা রাখা। স্বল্প সময়ের জন্য খোলা রাখলে মানুষের চাপ বাড়ে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি হয়। বেশি সময় যাবত খোলা থাকলে মানুষের ভিড় কম হবে। কাঁচা বাজারগুলো উন্মুক্ত জায়গায় পরিচালনা করতে হবে। রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়া যাবে না। হোম ডেলিভারি সার্ভিসকে উৎসাহ দিতে হবে।
৫. জনসমাবেশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মসজিদ, মন্দির এবং চার্চে যাতে ভিড় না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রার্থনায় সীমিত সংখ্যক মানুষ যেতে পারবে। এছাড়া রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ বন্ধ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। যদিও করাও হয় তাতে ১০জনের বেশি মানুষ থাকতে পারবে না।
৬. যারা দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে জীবিকা নির্বাহ করে তাদের কাজ চালিয়ে নেয়া যাবে। নিয়োগকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের শারীরিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
৭. কলকারখানার প্রবেশ মুখে শ্রমিকদের জন্য স্যানিটাইজেশন ব্যবস্থা রাখতে রাখবে, যাতে করে তারা জীবাণুমুক্ত হয়ে কারখানায় প্রবেশ করতে পারে। কারখানার ভেতরে মাস্ক পরে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে হবে।
৮. যতদিন পর্যন্ত পরিস্থিতির উন্নতি না হয় ততদিন পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমকে উৎসাহ দিতে হবে।
৯. বিনোদন এবং পর্যটন কেন্দ্রগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হবে। পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত পর্যটন কেন্দ্র খোলা যাবে না।
১০. আইসোলেশন, কন্টাক্ট ট্রেসিং এবং কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলমান রাখতে হবে। সংক্রমণ রোধ করার জন্য এটা ভীষণ প্রয়োজন। বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের ক্ষেত্রে কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে যারা আসবেন, তাদের দ্রুত খুঁজে বের করে আইসোলেশন নিশ্চিত করতে হবে। টেস্ট করার সুবিধা বাড়াতে হবে। টেস্টিং সেন্টারগুলোতে যাতে ভিড় না হয় সেজন্য সেন্টারের সংখ্যা বাড়ানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
জাতীয় পরামর্শক কমিটি যেসব সুপারিশ করেছে সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য জনগণকে সম্পৃক্ত করা এবং মনিটরিং জোরদার করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। অধ্যাপক শহীদুল্লাহ বলেন, এসব পদক্ষেপ না নিয়ে একসাথে সবকিছু খুলে দিলে আবারো সংক্রমণ বাড়তে পারে। তিনি সতর্ক করে দেন, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা অব্যাহত না রাখলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ লাগামছাড়া হয়ে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
- কমেই চলেছে স্বর্ণের দর, কারণ কী কী
- বিয়ের পর একইসঙ্গে মা ও বউয়ের মন জয়ের কৌশল
- সাবিলা নূরকে নায়িকা মনে হয় না: মারিয়া মিম
- আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ: উদ্বিগ্ন ভারত চায় দ্রুত নির্বাচন
- বাংলাদেশ সিরিজ সামনে রেখে নতুন কোচ নিয়োগ দিলো পাকিস্তান
- বিলুপ্ত হলো এনবিআর, দুভাগ করে অধ্যাদেশ জারি
- হত্যা মামলায় রিমান্ডে মমতাজ
- হিটস্ট্রোকের লক্ষণ দেখলে দ্রুত যা করবেন
- বাণিজ্যযুদ্ধ বন্ধে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তি, চাঙা অর্থনীতি
- সোশ্যাল মিডিয়ায় আ.লীগ, এর অঙ্গ, সহযোগী সংগঠনের প্রচারণা নিষিদ্ধ
- আ. লীগের নিবন্ধনও স্থগিত, প্রথমবার ছিটকে পড়লো ভোট থেকে
- আ. লীগ ও এর অঙ্গ, সহযোগী সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন
- ভারত না পাকিস্তান, সংঘাতে জিতল কে
- শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এলতাস স্যার এখন কেবলই স্মৃতি
- যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ভারত-পাকিস্তান নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
- একমঞ্চে দুই বোনের সম্মাননা
- ‘আমরা ফ্লাই করার ২০ মিনিট পর এয়ারপোর্টে মিসাইল পড়ে’
- ৩০ দিনের ‘নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে’ যাচ্ছে ইউক্রেন
- যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ভারত-পাকিস্তান: ট্রাম্প
- আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ, ইতিহাস কী বলে
- কেন খাবেন কাঁচা কাঁঠাল
- আইপিএলের পর পিএসএলও স্থগিত
- বাড়তে পারে তাপপ্রবাহের তীব্রতা, সতর্ক বার্তা জারি
- ভারতীয় গণমাধ্যমকে ‘সার্কাস’ বললেন সোনাক্ষী সিনহা
- পাকিস্তানে হামলার পর ভারতের চোখ বাংলাদেশের দিকে কেন
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে যা জানালো অন্তর্বর্তী সরকার
- স্নায়বিক রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার জেনে নিন
- পিএসএলের মাঝপথে দেশে ফিরছেন রিশাদ-নাহিদ
- সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেপ্তার
- ৪৫ জেলায় বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ
- শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এলতাস স্যার এখন কেবলই স্মৃতি
- আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ, ইতিহাস কী বলে
- স্নায়বিক রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার জেনে নিন
- অবশেষে নতুন কোচ পাচ্ছে ব্রাজিল
- পুরুষরা যেসব রোগে সবচেয়ে বেশি ভুগছেন
- কাঁচা নাকি পাকা আম, স্বাস্থ্যের জন্য কোনটি ভালো?
- ‘মৃত্যু নিয়ে মজা নিয়েন না’, বর্ষাকে সাবধান করলেন পরীমণি
- কেন খাবেন কাঁচা কাঁঠাল
- পাকিস্তানে ভারতের অভিযানের নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’ কেন
- ‘শিরক’ আখ্যা দিয়ে কেটে ফেলা হলো শতবর্ষী বটগাছ
- যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ভারত-পাকিস্তান নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
- জাতির উদ্দেশে ভাষণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, ‘আমরা বদলা নেব’
- প্রথম মার্কিন পোপ রবার্ট প্রেভোস্ট
- সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেপ্তার
- হিটস্ট্রোকের লক্ষণ দেখলে দ্রুত যা করবেন
- হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর হামলা, গ্রেপ্তার আরও ১৭
- প্রেমিকা রুক্মিণীকে যে খবর ফাঁস করলেন দেব
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে যা জানালো অন্তর্বর্তী সরকার
- পাক-ভারত যুদ্ধের পূর্বাভাস ৬ বছর আগেই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণায়
- পাকিস্তানে হামলার পর ভারতের চোখ বাংলাদেশের দিকে কেন