ঢাকা, ২৬ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪ || ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৪৮০

৫ জি’র জয়জয়কার

অ্যাম্বুলেন্সে বসেই রোগির ইসিজি-রক্ত পরীক্ষা!

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২৩:১২ ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

স্বাস্থ্যখাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনছে ৫-জি প্রযুক্তি। প্রজন্মের এই প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে মন্তব্য করছেন এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিশিষ্টজনেরা। একটি আধুনিক জরুরি চিকিৎসা সেবার ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে ৫-জি। আধুনিক এই চিকিৎসা সেবায় থাকবে কানেক্টেড অ্যাম্বুলেন্স এবং এআই সাপোর্টেড অ্যাপ্লিকেশন - যেমন এআর, ভিআর এবং ড্রোন।

চীনের চেংদুতে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো ৫ম হুয়াওয়ে এশিয়া-প্যাসিফিক ইনোভেশন ডে। এই বছরের ইনোভেশন ডে এর থিম ছিল - ‘উদ্ভাবনের ফলে সক্ষম হয়েছে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ডিজিটালাইজেশন’। ইনোভেশন ডে‘র ইভেন্টে প্রদর্শিত তথ্য থেকে স্বাস্থ্যখাতের এই নতুন সম্ভাবনার কথা উঠে এসেছে।

যখন কোন রোগী ৫-জি সংযুক্ত অ্যাম্বুলেন্সে উঠবেন, কর্তব্যরত চিকিৎসক অ্যাম্বুলেন্সে থাকা চিকিৎসা উপকরণ দিয়ে রক্ত পরীক্ষা, ইসিজি পরীক্ষা অথবা বি-মোড স্ক্যানের মতো পরীক্ষাগুলো  সম্পন্ন করতে পারবেন। এছাড়াও একই সময়ে, আহত ব্যক্তির প্রয়োজনীয় তথ্যাদি যেমন - স্ক্যানকৃত ছবি, মেডিকেল সাইন এবং মেডিকেল রিপোর্ট হাসপাতালে পাঠানো যাবে। ফলে চিকিৎসক সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করাসহ অপারেশনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবেন। এটি সময় বাঁচাবে যথেষ্ট, যা চিকিৎসার সাফল্যের হার বৃদ্ধি করবে। 

এবারের অনুষ্ঠানে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলো থেকে সরকার, ইন্ডাস্ট্রি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ২০০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। তারা ৫জি প্রযুক্তি এবং প্রণয়ন, সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট, প্রযুক্তি, মানবতা এবং পরিবেশ এই সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন।  

হুয়াওয়ের ডিরেক্টর অব বোর্ড এবং ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক রিসার্চ - এর সভাপতি উইলিয়াম ঝু বলেন, ৫-জি প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এখনকার সময়টি খুবই উপযুক্ত। আরো সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, প্রথাগত কানেকশনের তুলনায় ৫-জি আরো বেশি কাভারেজ, বেশি ব্যান্ডউইথ এবং কম ল্যাটেন্সিতে ইন্টারনেট দিতে সক্ষম। ৫-জি প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে আরো অনেক ৫জি সম্বলিত অ্যাপ্লিকেশন আসবে, যা বদলে দেবে আমাদের পৃথিবীকে। এছাড়াও, ৫জি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আইওটি এবং ক্লাউড মানুষ এবং সমাজের প্রাত্যহিক জীবনব্যবস্থাকে উন্নীতকরণের মাধ্যমে পৃথিবীকে একটি সুন্দর বাসযোগ্য স্থান হিসেবে গড়ে তুলবে। 

৫জি একটি বৈশ্বিক প্রযুক্তি এবং আধুনিক বিশ্বের মূল ভিত্তি, যার মাধ্যমে সবকিছুর মাঝে সংযোগ স্থাপিত হবে। শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে আরো নতুন কার্যক্রম শুরু হবে, যা ব্যাপকহারে কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি খরচ কমিয়ে আনবে।

তিনি বলেন, আমরা ৫জি যুগে প্রবেশ করার সাথে সাথে বিশ্বের ইন্ডাস্ট্রিগুলিকে ডিজিটাল করার ক্ষেত্রেও একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছি এবং শিল্প উন্নয়নের ধারা যান্ত্রিকীকরণ ও বিদ্যুতায়ন থেকে এখন অটোমেশন এবং ডিজিটাইজেশন এর দিকে ধাবিত হয়েছি।

ইভেন্টে প্রদর্শিত অ্যাপ্লিকেশনগুলির পাশাপাশি, দর্শকরা অনুষ্ঠানের স্থানের বাইরে ৫জি নেটওয়ার্ক দ্বারা চালিত অন্যান্য উদ্ভাবনী অ্যাপ্লিকেশনগুলি দেখার অভিজ্ঞতা লাভ করেন। ৫জি এখন বাস্তবতায় পরিণত হচ্ছে এবং বিশ্বব্যাপী ২০টি দেশের ৩৫টি ক্যারিয়ার ৫জি সেবা চালু করেছে এবং আরো ৩৩টি দেশ ৫জি স্পেকট্রাম ডিস্ট্রিবিউট করেছে।

২০১৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন শহরে হুয়াওয়ে ইনোভেশন ডে আয়োজিত হয়েছে। শরহগুলোর মধ্যে রয়েছে - লন্ডন, মিলান, প্যারিস, সিঙ্গাপুর, সিডনি, কুয়ালালামপুর, ব্যাংকক, দুবাই এবং সাও পাওলো। ওপেননেস, ইনোভেশন, কোলাবোরেশন এবং শেয়ার্ড সাকসেস এই চারটি ধারায় বিশ্বাসী হুয়াওয়ে সমস্ত মানুষ, বাড়ি এবং সংস্থার মাঝে ডিজিটাল ব্যবস্থার প্রণয়ন করতে চায়, যা একটি সম্পূর্ণ কানেক্টেড ইন্টিলিজেন্ট পৃথিবী গঠনে সহায়তা করবে।