ঢাকা, ২৭ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪ || ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৩০৩

আত্মহত্যা রুখতে পরিবারের ভূমিকা কী?

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:৪১ ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০  

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, গোটা বিশ্বে প্রতিবছর অন্তত ৮ লাখ মানুষ আত্মহত্যা করেন। নানা কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে। যেমন-অবসাদ, গ্রহণ-প্রত্যাখ্যান, বিষণ্নতা, একাকিত্ব, ভয়-আতঙ্ক ব্যর্থতা ইত্যাদি। সম্প্রতি করোনাভাইরাসের কারণে অনেকে এ আত্মঘাতী পথ বেছে নিচ্ছেন। মূলত কিশোরদের মধ্যে আজকাল আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যায়। যদিও সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে এটি দেখা যায়।
এ ‘মানসিক’ রোগ থেকে রেহাই পাওয়ার উপায় কী? মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পারিবারিক সহযোগিতা এবং বন্ধুত্বের মধ্য দিয়ে এ ভয়ংকর রোগের প্রতিকার সম্ভব। প্রথমত, আত্মহত্যার উপসর্গ’ সম্পর্কে পরিবারকে সচেতন হতে হবে। পরে সেই অনুযায়ী রোগীর চিকিৎসা করতে হবে।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ:
১. আত্মহত্যা প্রবণ, বিষাদগ্রস্ত মানুষের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে হবে। আত্মাহুতি নিয়ে কথা না বলার ট্যাবু থেকে বেরিয়ে এসে আরও বেশি সতর্ক হতে হবে। সমস্যা জানার চেষ্টা করতে হবে।
২. রোগীকে বোঝাতে হব, তিনি যা ভাবছেন তা সঠিক নয়। বাবা-মা, ভাই-বোনকে সবসময় পাশে থাকতে হবে। চিকিৎসা চলাকালীন অল্প সময়ের জন্যও রোগীকে একা ছাড়া যাবে না।
৩. ‘সেল্ফ ডেসট্রাকটিভ বিহেভিয়ার’ লক্ষ্য করলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৪. ধারাল অস্ত্র, ছুরি, কাঁচি, দড়ি- এসব জিনিস রোগীর ধারেকাছে রাখা যাবে না।
৫. রোগীকে সবসময় আশার আলো দেখাতে। এক্ষেত্রে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের ভূমিকা রাখতে হবে।
৬. আত্মহত্যার প্রতিরোধক হিসেবে দারুণ কাজ করে শরীরচর্চা। ব্যায়াম করার ফলে শরীরে এক বিশেষ ধরনের হরমোন নির্গত হয়, যা ‘অ্যান্টি ডিপ্রেশন’-এর ওষুধ হিসেবে কাজ করে। স্বাভাবিকভাবেই অবসাদ দূর হয়। 

অপরাধ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর