ঢাকা, ১৬ মে শুক্রবার, ২০২৫ || ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
good-food
২১

আবদুল হামিদের দেশত্যাগ নিয়ে ‘বিকৃত’ উপস্থাপন হয়েছে: ছেলে তুষার

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১২:৫৫ ১৬ মে ২০২৫  

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগ নিয়ে শোরগোলের মধ্যে তাকে নিয়ে ফেসবুকে ‘আবেগঘন’ পোস্ট দিয়েছেন ছেলে রিয়াদ আহমেদ তুষার। রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব শেষে আবদুল হামিদ রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছেন দাবি করে তুষার বলছেন, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে তার বাবা বিদেশে গেছেন।

 

আর দশজনের মতো আবদুল হামিদ ‘সাধারণ নাগরিক’ হিসেবে চিকিৎসা নিতে থাইল্যান্ড যেতে পারেন বলেও তার কনিষ্ঠ পুত্রের ভাষ্য। সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগ নিয়ে আলোচনার মধ্যে কয়েকটি দলের দাবির মুখে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়। একইসঙ্গে স্থগিত করা হয় দলটির নিবন্ধন।

 

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) হামিদপুত্র তুষার লিখেছেন, ৮২-৮৩ বৎসরের একজন বয়স্ক লোক যিনি কিনা অসুস্থতার কারণে এখন ২ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে পারছেন না। ২ ঘণ্টা বসে থাকতে পারছেন না; বাধ্য হয়ে বিছানায় শুয়ে পড়েন। ওজন কমতে কমতে ৫৪ কেজিতে দাঁড়িয়েছে; যে কারণে নিজের কোনো প্যান্ট পরতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে লুঙ্গি পরে থাকতে হচ্ছে। যাকে বেটার চিকিৎসার জন্য ডাক্তারগণ বোর্ড করে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বিদেশে চিকিৎসা করানোর জন্য।

 

তুষার এও লিখেছেন, রাষ্ট্রপতি হিসেবে মেয়াদ শেষ হবার পর প্রকাশ্যে বলেছেন যে-উনি আর পলিটিক্সের সাথে জড়িত হবেন না এবং তারপর পলিটিক্সের সাথে কোনভাবে জড়িত হননি।

 

আবদুল হামিদের বিদেশ গমনকে ‘স্বাভাবিক’ হিসেবে বর্ণনা করে তার ছেলে বলেন, যেখানে শত শত লোক বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা করাতে নিয়মিত থাইল্যান্ড যাচ্ছে, সেখানে একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে থাইল্যান্ডে চিকিৎসার জন্য তিনি আসতেই পারেন।

 

সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশত্যাগের ঘটনাকে ‘বিকৃতভাবে’ উপস্থাপন করা হয়েছে মন্তব্য করে তুষার বলেন, বানিয়ে মিথ্যা বলতে পারাটাকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে কিছু লোক। সকলেই দোয়া করবেন যেন তিনি সুস্থ হয়ে তাড়াতাড়ি দেশে ফিরে আসতে পারেন ইনশাআল্লাহ।

 

গত ৭ মে গভীর রাতে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কিশোরগঞ্জের এক মামলার আসামি হয়েও তিনি কীভাবে দেশত্যাগ করলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকে।

 

এরপর দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপারসহ চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ওই কমিটি মঙ্গলবার বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন বিভাগ পরিদর্শন করেছেন।

রাজনীতি বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর