ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪ || ৭ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৩৩২

‘অবহেলাজনিত মৃত্যুর’ অভিযোগ

উত্তরায় গার্ডার পড়ে নিহত ৫: দায় কার?

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৩:০৩ ১৬ আগস্ট ২০২২  

রাজধানীর উত্তরায় বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের কংক্রিটের গার্ডার আছড়ে পড়ে হতাহতের ঘটনায় ‘অবহেলাজনিত মৃত্যুর’ অভিযোগে মামলা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে ঠিকাদার কোম্পানি, ক্রেইন চালক এবং প্রকল্পের নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্তদের।

 

মর্মান্তিক ওই ঘটনায় নিহত ফাহিমা আক্তার ও ঝরনা আক্তারের ভাই মো. আফরান মণ্ডল বাবু সোমবার রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় এ মামলা করেন।

 

উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি মোহাম্মদ মোহসীন বলেন, মামলায় অবহেলার কারণে প্রাণহানির অভিযোগ করা হয়েছে। ক্রেইন চালকের পাশাপাশি প্রকল্পের ঠিকাদার চায়না গ্যাঝুবা গ্রুপ করপোরেশনের (সিজিজিসি) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে দায়িত্বপ্রাপ্ত অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়েছে।

 

দুর্ঘটনার সময় যিনি ক্রেইন চালাচ্ছিলেন, তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে। জানান, ওসি। 


এদিকে ওই ঘটনার ব্যাপারে প্রাথমিক তদন্ত সম্পন্ন করেছে কমিটি। মঙ্গলবার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আক্তার সড়ক পরিবহন বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরীর কাছে নির্ধারিত সময় সকাল ৮টার মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবেদনটি তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে জমা দেয়া হবে।

 

এর আগে সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে দুর্ঘটনার পর রাতেই অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আক্তারকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। কমিটি গঠন হওয়ার পর রাতেই এলাকা পরিদর্শন করেন কমিটি প্রধান।

 

অন্যদিকে মঙ্গলবার ভোর থেকেই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গের সামনে স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে। 

 

সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে উত্তরা জসীম উদ্দীন মোড়ে আড়ংয়ের সামনে নির্মাণাধীন বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ফ্লাইওভারের গার্ডার পড়ে একটি প্রাইভেটকারের পাঁচ আরোহী নিহত হন। এছাড়া দুই যাত্রীকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়।

 

বৌভাত খেয়ে প্রাইভেটকারে নবদম্পতিকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন স্বজনরা। উত্তরার জসীম উদ্দীন মোড় সংলগ্ন সড়কে এলে বিআরটি প্রকল্পের গার্ডার পড়ে গাড়ির ওপর। নিহত হন ৫ জন। প্রাইভেটকারে ৭ আরোহীর মধ্যে শুধু বেঁচে যান বর হৃদয় (২৬) ও নববধূ রিয়া মনি (২১)। গেল শনিবরাই (১৩ আগস্ট) বিয়ে হয় তাদের।

 

প্রাইভেটকারে আরোহীদের মধ্যে ছিলেন হৃদয়ের বাবা রুবেল (৬০), হৃদয়ের শাশুড়ি ফাহিমা (৪০), রিয়া মনির খালা ঝরনা (২৮), ঝরনার দুই সন্তান জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।

 

ঘটনা জানার পর এ নিয়ে জনমনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠে। প্রশ্ন ওঠে পুরো কাজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। কার্যত উত্তরায় যেখানে বিআরটি প্রকল্পের গার্ডার স্থানান্তর হচ্ছিল ক্রেন দিয়ে, সেখানে নিরাপত্তামূলক কোনো ব্যবস্থাই নিতে দেখা যায়নি।

 

ঢাকা-ময়মনিসংহ মহাসড়কের ব্যস্ত ওই রাস্তার মাঝখানে ৫০ টনের বেশি ওজনের গার্ডারটি ক্রেনে করে নিচ থেকে ট্র্রেইলরে তোলার সময় যখন শূন্যে ঝুলছিল, তখনও সেটির ঠিক নিচ দিয়ে কয়েকটি গাড়িকে দ্রুত পার হতে দেখা যায়।

 

বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত উড়াল সড়ক নির্মাণে বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের উত্তরা অংশে ব্যস্ততম সড়কের মাঝে এ কাজের সময় ট্রেইলরের উল্টোপাশে কয়েকটি গাড়িও ছিল পার্ক করা। ট্রেইলর ও এসব গাড়ির মাঝখান দিয়েই চলছে যানবাহন।

 

সোমবার বিকেলে বিশাল ওজন ও আকারের বক্সগার্ডারটি তোলার এ সময়টাতেই হঠাৎ ভারসাম্য হারিয়ে ক্রেনটি কাত হয়ে যায়; গার্ডারটি ট্রেইলরে না বসে সেটি আছড়ে পড়ে একটি প্রাইভেট কারের ওপর।

 

পাশে ভবনের সিসিটিভি ফুটেজের দুর্ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায়, পড়ার সময় গার্ডারের একটা অংশের ধাক্কাও লাগে ট্রেইলরে। তবে ব্যস্ততম এ সড়কে দিনের বেলায় বিশালকায় গার্ডার স্থানান্তরের মত ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করার সময় আশপাশে ‘নিরাপত্তা বেষ্টনী’র দেখা মেলেনি।

 

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে ঘটনার পরপরই সেখানে উপস্থিত প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং আইন শৃংখলা বাহিনীর কর্মকর্তারাও যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা জানাতে পারেননি।

 

সবার অভিযোগ, এত ব্যাপক আকারের উন্নয়ন প্রকল্প চলছে, অথচ নিরাপত্তার কিছুই নাই। কোথায় সব বন্ধ করে দিয়ে এগুলো ওঠানামা হবে তা না নিচ দিয়ে গাড়ি যাচ্ছে দেদারসে।

 

জনমনে প্রশ্ন, এমন ভারি নির্মাণের জিনিস সরানোর সময় কেন গাড়ি চলাচল করতে দিল?

 

উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি মোহাম্মদ মোহসীন জানান, দুর্ঘটনার পরপরই তারা ঘটনাস্থলে এসে প্রকল্প বা ঠিকাদারদের কাউকে পাননি। চাপা পড়া ব্যক্তিদের গাড়ি থেকে বের করতে তাৎক্ষণিকভাবে গার্ডার সরাতে সহযোগিতার জন্য কাউকে খুঁজেও পাননি।

 

ঘটনার পরই ক্রেন চালক বা এ কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা সেখান থেকে সটকে পড়ে বলে জানান তিনি।

 

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিনুল্লাহ নূরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবদিকদের বলেন, গার্ডার উত্তোলন করার সময় নিরাপত্তা বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে কি না, ওই ক্রেনের সক্ষমতা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

 

ওই এলাকার একটি ভবনের সিসিটিভি ভিডিওতে দেখা যায় রাস্তার মাঝখানে সারি দিয়ে রাখা বিআরটি প্রকল্পের কংক্রিটের গার্ডার ক্রেন দিয়ে তোলা হচ্ছিল ট্রেইলারে। এর মধ্যে ভারসাম্য হারিয়ে ক্রেন একদিকে কাত হয়ে যায়।

 

তখন ক্রেনে থাকা গার্ডারটি ওই ট্রেইলারের পাশ দিয়ে টঙ্গীমুখী সড়কে চলমান প্রাইভেটকারটির ওপর পড়ে। ভারী ওই গার্ডারের চাপে মুহূর্তের মধ্যে চ্যাপ্টা হয়ে যায় গাড়িটি।

 

এসময় কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী ওই ভিডিওতে দেখা যায়নি। ঝুঁকিপূর্ণ কাজের মধ্যেই ক্রেনের পাশ দিয়ে নিয়মিত গাড়ি যাতায়াত করছিল।

 

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিআরটি প্রকল্পের পরিচালক (আরএইচডি) ইলিয়াস শাহ বলেন, এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। কী কারণে ঘটেছে এমন মর্মান্তিক ঘটনা - সেটা খুঁজে বের করতে একটু সময় লাগবে।

 

ঢাকা বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক ও সওজের প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম মনির হোসেন পাঠান জানান, ক্রেন দিয়ে গার্ডার ওঠানোর সময় সবগুলো লেইন বন্ধ করে একটি লেইনে গাড়ি চলাচলের জন্য রাখা হয়। কিন্তু সেখানে গাড়ির চাপ বেশি থাকলে যে লেইনে গাড়ি চলার কথা না সেখানেও গাড়ি চলে যায়।

 

এর আগেও ‘নিরাপত্তার অভাবের’ বিষয়টি তারা ঠিকাদারকে প্রায়ই বলেছেন বলে তিনি জানান।

 

তার ভাষ্য, তাদের যে সেইফটির অভাব আছে তা আমি সেদিনও মিটিংয়ে বলেছি। মন্ত্রণালয়ে আমাদের একটা রিভিউ মিটিং হয়েছে যেখানে এডিবির প্রতিনিধিও ছিলেন। সেখানে সেইফটি অডিট করার জন্য আমি মিটিংয়ে বলেছি। এটা নিয়ে গতকালও একটা মিটিং হয়েছে।

 

এ প্রকল্পের নির্মাণ সরঞ্জামের ইয়ার্ড টঙ্গীর গাজীপুরে। সেখানে ‘প্রিকাস্ট সেগমেন্ট’ বক্সগার্ডারগুলো বানানোর পর সেগুলো উত্তরার ওই এলাকায় নির্মাণ সাইটে এনে রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে ট্রেইলরে করে গার্ডার নিয়ে পিয়ারের ওপর তোলা হয়।

 

সোমবারও একটি পিয়ারের ওপর তোলার জন্য গার্ডারটি ট্রেইলরের ওপর তোলা হচ্ছিল।

 

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, যে ক্রেন দিয়ে গার্ডার তোলা হচ্ছিল সেটি কোবেলকো-৭০৮০ মডেলের। ক্রেনটি ৮০ টন পর্যন্ত ওজন বহন করতে পারে। আর একেকটি গার্ডারের ওজন প্রায় ৫০ টন।

 

তবে ওই ক্রেনের অপারেটরের ভারি যান চালানোর লাইসেন্স ছিল না বলে জানিয়েছেন বিআরটি প্রকল্পের আরেক কর্মকর্তা। হালকা মোটরযান চালনার লাইসেন্স দিয়েই ৮০ টন ওজন বহনকারী ক্রেন চালাচ্ছিল সে।

 

প্রকল্পের ওই অংশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সেতু বিভাগের একজন কর্মকর্তা এ কাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলার অভিযোগ করেন।

 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উদাসীন। এ প্রকল্পে এর আগেও কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটায় নিরাপত্তা জোরদার করতে ঠিকাদারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। আর যে চালক ক্রেনটি চালাচ্ছিল তার লাইসেন্সও ছিল না। হালকা যান চালানোর লাইসেন্স দিয়ে সে বিশালকায় ক্রেন চালাচ্ছিল।

 

জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতার অভাবই এমন দুর্ঘটনার প্রধান কারণ বলে মনে করেন বুয়েটের সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান।

 

তিনি বলেন, এই দুর্ঘটনা নতুন নয়। ২০১৯ থেকে বিভিন্ন সময়ে এখানে দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। তারপরও নিয়োগ দেওয়া আন্তর্জাতিক মানের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কোনো দায়ভার নিতে হয়নি। কোনো জবাবদিহিতার মধ্যেও তারা আসেননি। যে কোনো প্রকল্পে ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে ঝুঁকি এড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণে বিনিয়োগ থাকে, কিন্তু বিআরটির প্রকল্পে ন্যূনতম কোনো স্ট্যান্ডার্ড মানা হয় কি না সে ব্যাপারে সন্দেহ আছে।

 

ভারি নির্মাণ সামগ্রী স্থানান্তরের ক্ষেত্রে অবশ্যই নিরাপত্তা বেষ্টনীর ব্যবস্থা থাকতে হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্রেইন থেকে গার্ডার পড়ে যেতেই পারে, এটা একটা দুর্ঘটনা। কিন্তু এসব দুর্ঘটনায় প্রাণহানি যেন না ঘটে, সেই প্রস্তুতি গ্রহণের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এখানে নজরদারির যথেষ্ট অবহেলা ছিল বিধায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

 

বিআরটি প্রকল্পটিতে ‘শুরু থেকেই নানা অব্যবস্থাপনা ছিল’ মন্তব্য করে স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, এ কারণে প্রকল্পটি মানুষকে ভোগান্তি দিয়ে আসছে।

 

তিনি বলেন, প্রকল্পের শুরুতেই অর্থায়ন করতে অনেক সময় লেগেছে, প্রাক-সমীক্ষা দুর্বল ছিল। ঢাকা এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সঙ্গে প্রকল্পের বিষয়ে কোনো পরামর্শ না করায় তাদের কাছ থেকেও সহায়তা পায়নি।

 

তার ভাষ্য, প্রকল্পটি অনুমোদনের সময় পরিকল্পনা কমিশন জননিরাপত্তা এবং জনদুর্ভোগ মোকাবেলার জন্য আলাদা খরচ দেওয়ার পরও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নেওয়া হয়নি।

 

একটা গার্ডার পরিবহন করার সময় পাশের যানবাহন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি অভিযোগ করে তিনি বলেন, “এর মানে হল আগে একজন নিরাপত্তাকর্মী মারা গেছেন, একজন দোকানকর্মী আহত হয়েছেন।

 

দুর্ঘটনাগুলোর কোনো শাস্তি হয়নি। ফলে তারা এত নির্লিপ্ত হয়েছে, এতটা অবহেলা করার সাহস করেছে। এই মৃত্যুটাকে আমি অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড বলব।”

 

গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রকল্পের (বিআরটি, গাজীপুর-এয়ারপোর্ট) আওতায় এ উড়াল সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের দুটি অংশ।

 

মূল প্রকল্প গাজীপুর থেকে শাহজালাল বিমানবন্দর পর্যন্ত যেটি বাস্তবায়ন করছে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ। আর বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের অংশ উত্তরা হাউজ বিল্ডিং হতে টঙ্গী চেরাগ আলী মার্কেট পর্যন্ত।

 

গাজীপুর ও টঙ্গী থেকে ঢাকায় যাওয়া ও আসার পথে যানজট কমাতে হাতে নেওয়া আলোচিত এ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় ২০১২ সালে।

 

এতে সাড়ে কিলোমিটার এলিভেটেড ফ্লাইওভার ও সেতু থাকবে যার মধ্যে সাড়ে তিন কিলোমিটার হবে ৬ লেনের সড়ক এবং ১ কিলোমিটার হবে ২ লেনের।


এ সড়কে অবস্থিত টঙ্গী সেতু হবে ১০ লেনের এবং ওঠানামার জন্য ছয়টি এলিভেটেড স্টেশন থাকবে।