ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৪৮৩

কদবেলের কত কাজ?

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:৪৬ ১ এপ্রিল ২০২১  

শক্ত খোলসে আবৃত টক মিষ্টি স্বাদের দেশীয় ফল কদবেল। আমের চেয়ে সাড়ে ৩ গুণ, কাঁঠালের দ্বিগুণ, আর আমলকি ও আনারসের চেয়ে প্রায় ৪ গুণ বেশি আমিষ রয়েছে ফলটিতে। 

 

প্রতি ১০০ গ্রাম কদবেলের পুষ্টিমান পানীয় অংশ ৮৫ দশমিক ৬ গ্রাম, খনিজ পদার্থ ২ দশমিক ২ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৪৯ কিলোক্যালরি, আমিষ ৩ দশমিক ৫ গ্রাম, চর্বি শূন্য দশমিক ১ গ্রাম, শর্করা ৮ দশমিক ৬ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৫ দশমিক ৯ মিলিগ্রাম, লৌহ শূন্য দশমিক ৬ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-বি শূন্য  দশমিক ৮০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ১৩ মিলিগ্রাম এবং  প্রতি ১০০ গ্রামের শক্তি উৎপাদন ক্ষমতা ৪৯ কিলোক্যালরি।

 

কদবেলের আরো উপকারিতা –
#এ ফলের খনিজ উপাদান ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। এ রোগের আয়ুর্বেদী চিকিৎসায় কদবেল ব্যবহার হয়।
# এটি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং স্নায়ুর শক্তি যোগায়।
# কদবেল উদ্দীপক ও মূত্রবর্ধক হিসেবে ব্যবহার হয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে। এ ফল নিয়মিত খেলে কিডনি সুরক্ষিত রাখে।

 

# কদবেল যকৃত ও হৃদপিণ্ডের বলবর্ধক হিসেবে কাজ করে।
# এর পাতার রস পানির সঙ্গে নিয়মিত পান করলে পেপটিক আলসার দ্রুত ভালো হয়।
# ব্রণ ও মেছতায় কাঁচা কদবেলের রস মুখে মাখলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।

 

# এ  ফলের পাতার নির্যাস শ্বাসযন্ত্রের চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।# কদবেল রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। গুড় বা মিছরির সঙ্গে তা মিশিয়ে খেলে শরীরের শক্তি বাড়ে এবং রক্তস্বল্পতা দূর হয়।
# ফলটি মহিলাদের হরমোনের অভাব সংক্রান্ত সমস্যা দূর করে। এমনকি স্তন ও জরায়ু ক্যান্সার নিরাময় করে।

 

# কদবেলের ট্যানিন নামক উপাদান দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া ও পেট ব্যথা ভালো করতে সাহায্য করে।
# এটি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
# ভিটামিন সি’র ভালো উৎস বিধায় স্কার্ভি প্রতিরোধে সহায়ক হিসেবে কাজ করে।