ঢাকা, ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১২ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
২৮৪

করোনা থেকে রেহাই পাচ্ছে না সদ্যোজাত শিশুও

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২৩:১৩ ১৬ এপ্রিল ২০২১  

করোনা মিউটেন্ট হতে হতে এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে, যা ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। এই নতুন ভাইরাস এখন বৃদ্ধদের পাশাপাশি বাচ্চাদের কাবু করছে। সম্প্রতি দেখা গেছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত হচ্ছে একের পর এক শিশু। 


মূলত, এক থেকে পাঁচ বছরের বাচ্চাদের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। ভাইরোলজিস্ট থেকে শুরু করে ডাক্তার ও বিশেষজ্ঞরা এই দাপটকে 'খুব ভয়ঙ্কর' বলে আখ্যা দিচ্ছেন।


শিশু বিশেষজ্ঞ ধীরেন গুপ্তা জানাচ্ছেন, হাসপাতলে ভর্তি শিশুদের সংখ্যা পাঁচগুণ বেড়ে গেছে। যাদের শরীরে করোনা উপসর্গ প্রকট। এতদিন মূলত এ ভাইরাস শারীরিকভাবে দুর্বল বা অসুস্থ এবং বয়স্কদের ভয়ের কারণ ছিল। 


বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, করোনা বয়স্কদের শরীরে প্রবেশ করলে মারাত্মক আকার নিচ্ছে। তাই তড়িঘড়ি ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা মূলত বয়স্কদের জন্য প্রথম চালু করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ের তথ্য বলছে অন্য কথা।


রেহাই পাচ্ছে না ছোটরা। এমনকি আজকের দিনে ৮ মাসের শিশুও করোনায় কাবু, ভর্তি হাসপাতালে।


৭-৮ বছরের বাচ্চাদের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেশি। পাশাপাশি সদ্যোজাত শিশুদের শরীরে ঢুকেও তাণ্ডব চালাচ্ছে করোনা। প্রথম ঢেউয়ে বলা হয়েছিল, নতুন প্রজন্ম অর্থাৎ বয়সের হিসাবে যারা ১৫ থেকে ৩০ এর মধ্যে, তাদের শরীরে ভাইরাস তেমন প্রভাব ফেলতে পারছে না। 


কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, ১৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে যাদের বয়স, তাদেরও হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে। শারীরিক অবস্থা ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে। 


এখন প্রশ্ন কীভাবে রক্ষা পাওয়া যাবে এই ন্যানোমিটারের ভাইরাসের হাত থেকে? বিশেষজ্ঞদের মতে, যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিন নেওয়ার চেষ্টা করুন। এছাড়া সতর্কবিধি কড়াভাবে পালন করুন। বাচ্চাদের যতটা সম্ভব বাড়ির মধ্যে রাখার চেষ্টা করুন। 


তারা বলছেন, অযথা বাইরে বের হবেন না। যাদের বাড়িতে সদ্যোজাত শিশু রয়েছে, মা ছাড়া যতটা সম্ভব তাদের সংস্পর্শে যাতে কেউ না আসে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। শিশুকে কখনও মাস্ক পরিয়ে রাখা সম্ভব হয় না। তাই যতটা কঠিনভাবে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
 

করোনাভাইরাস বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর