ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪ || ১৫ চৈত্র ১৪৩০
good-food
১৯৯

ক্যান্সার প্রতিরোধ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে সূর্যমুখীর বীজ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০০:৫৭ ৮ জানুয়ারি ২০২২  

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন আদিবাসী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বিভিন্নভাবে সূর্যমুখীর বীজ খেয়ে থাকেন। এগুলো কাঁচা বা ভেজে নাস্তা হিসেবেও খান তারা। পাশাপাশি নানা ধরনের মিষ্টান্ন বা সিরিয়াল তৈরিতে এই বীজের ময়দা ব্যবহার করেন। এছাড়া পিনাট বাটারের বিকল্প হিসেবে মাখন তৈরিতে তা ব্যবহার করেন মার্কিন আদিবাসীরা।

 

মিষ্টি বাদাম জাতীয় সূর্যমুখী বীজে রয়েছে প্রচুর স্বাস্থ্য উপাদান। যেমন- খনিজ পদার্থ, ভিটামিন ও প্রয়োজনীয় ফ্যাটি এসিড। এসব শরীরের রোগ-প্রতিরোধে সহায়তা করে। নানা রোগশোকও সারিয়ে তোলে।

 

এ বীজে আছে ভিটামিন সি এবং ই। এছাড়া এতে বিদ্যমান ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, দস্তা ও আয়রনের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ। এসব পুষ্টিগুণ হাড়, টিস্যুসহ দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো সবল রাখে। 

 

গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে সূর্যমুখীর বীজ। পাশাপাশি ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণেও কাজ করে এটি। এবার চলুন দেখে নিই-এর অন্যান্য উপকারিতাসমূহ-

 

# হৃদরোগের জন্য খুবই কার্যকর এ বীজ। এতে ভালো কোলেস্টেরল থাকে। সূর্যমুখী বীজে লিনোলিক অ্যাসিড থাকে। যা মোট কোলেস্টেরলের পাশাপাশি এলডিএল স্তর হ্রাস করতে সহায়তা করে। এছাড়া এ বীজে থাকে ওলিক অ্যাসিড। এটি সাধারণত ট্রাইগ্লিসারাইড কমায়। মূলত, ট্রাইগ্লিসারাইড বেড়েই কার্ডিয়াক সমস্যা তৈরি হয়।

 

# ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে দারুণ কাজ করে সূর্যমুখীর বীজ। সাধারণত রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে রক্তনালীসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের ক্ষতি হয়। হার্ট, কিডনি, স্নায়ু ও দৃষ্টি প্রভাবিত হয়। এ বীজে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড থাকে। যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

 

# এ বীজে আছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। তীব্র আঘাত বা সংক্রমণের কারণে ব্যথা ও ফুলে যাওয়া রোধ করে এটি। দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহের কারণে গুরুত্বপূর্ণ কোষ ও টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সূর্যমুখী বীজে ফ্লাভোনয়েডের মতো ভিটামিন ই এবং ফেনোলিক যৌগ থাকে। এ দুই উপাদান অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন। যা প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে।

 

# সূর্যমুখীর বীজ বিভিন্ন ক্ষত সারায়। পুরুষ মেষশাবকের ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা যায়, এটি ক্ষত নিরাময়ে সহায়তা করে। এতে থাকে লিনোলিক অ্যাসিড। যা মূলত ক্ষত নিরাময়ে সহায়তা করে।

 

# হাড়ের সুস্থতায়ও বিশেষভাবে কাজ করে সূর্যমুখীর বীজ। এতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালশিয়াম হাড় শক্ত করে।

# এ বীজে আছে অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্যসমূহ। যা ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। এর ভিটামিন ই ও বিটা ক্যারোটিন ত্বককে উজ্জ্বল করে এবং বালিরেখা দূর করে।

 

# সূর্যমুখীর বীজে থাকে ভিটামিন বি-৬। যা মাথার ত্বকে অক্সিজেন সাপ্লাই করে চুলপড়া রোধ করে। এছাড়া স্বাস্থ্যোজ্জ্বল নতুন চুল জন্মাতে সাহায্য করে। এতে আরও রয়েছে কপার; যা চুলের স্বাভাবিক রঙ ধরে রাখে।