ঢাকা, ২৪ এপ্রিল বুধবার, ২০২৪ || ১১ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৩০৪

ক্যান্সার প্রতিরোধে কচুশাক

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৬:০৫ ১৩ মে ২০২১  

কচু দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সুপরিচিত একটি সবজি। এর কাণ্ড সবজি এবং পাতা শাক হিসেবে খাওয়া হয়। কচুর কাণ্ড ও পাতা-সবকিছুতেই প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে। কচু শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, ডিটারেরী ফাইবার, শর্করা, বিভিন্ন খনিজ ও ভিটামিন রয়েছে।


কচুশাকের উপকারিতা
১. কচুশাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত এ শাক খেলে কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়। আরেক গবেষণা বলছে, এটি স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে দারুণ কার্যকরী।


২. কচুশাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। এ কারণে এটি দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া চোখ সম্পর্কিত জটিলতা কমায়।
৩. এতে থাকা স্যাপোনিনস, টেনিনস, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্লাভোনয়েড উচ্চরক্তচাপ কমায়। নিয়মিত এ  শাক খেলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে।


৪. যেহেতু কচুশাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। এ কারণে এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৫. এ শাক রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে।


৬. কচুশাক হজমশক্তি বাড়াতেও ভূমিকা রাখে।
৭. অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরী ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান থাকায় এটি যেকোনও ধরনের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।


৮. যারা রক্তস্বল্পতায় ভূগছেন, তাঁরা নিয়মিত কচুশাক খেতে পারেন। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে, যা রক্তশূন্যতা দূর করতে ভূমিকা রাখে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ শাক খেলে কারও কারও অ্যালার্জির সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

গুড ফুড বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর