ঢাকা, ১৯ মার্চ মঙ্গলবার, ২০২৪ || ৫ চৈত্র ১৪৩০
good-food
২৫১

গরম আবহাওয়া করোনাভাইরাসকে থামাতে পারে না

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০৯:২৭ ৬ আগস্ট ২০২০  

শুরু থেকে কভিড-১৯ সম্পর্কে একটি ধারণা প্রচলিত ছিল যে এটা ‘অন্য’ মানুষের সমস্যা। মহামারীর প্রথম দিকে বিষয়টা এমন ছিল যে চীনের মানুষ আক্রান্ত হয়েছে তাদের বন্যপ্রাণী কেনাবেচার অভ্যাসের কারণে। ইতালি আক্রান্ত হয়েছে একে অন্যের গালে শুভেচ্ছামূলক চুমু খাওয়ার কারণে। ক্রুজ শিপে আক্রান্ত হয়েছে বুফের কারণে। নার্সিং হোম আক্রান্ত হয়েছে রোগীরা দুর্বল বলে। নিউইয়র্ক শহর আক্রান্ত হয়েছে কারণ সেখানে ভিড় বেশি। কিন্তু এখন আমরা জানি কভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাব শহর ও গ্রাম যেকোনো জায়গায় হতে পারে এবং যেকোনো সংস্কৃতির মানুষের মধ্যে এটি ছড়াতে পারে।

মহামারীর প্রথম শিকার ছিল বৃদ্ধ এবং যাদের অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা ছিল তারা। বয়স ও দুর্বলতা এখনো মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হওয়া ও মৃত্যুর কারণ কিন্তু এখন আমরা জানি যে রোগটি তরুণ ও স্বাস্থ্যবানদেরও মৃত্যুর কারণ হতে পারে। তরুণ, কিশোর এবং এমনকি শিশুদেরও এটি হত্যা করতে পারে।

কেবল সংক্রমিত পৃষ্ঠতলই বিপজ্জনক নয়: শুরুতে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন বারবার হাত ধোয়ার জন্য। পাশাপাশি স্থান ও বস্তুসমূহ জীবাণুমুক্ত করা ও হাত দিয়ে মুখ স্পর্শ না করার জন্যও বলেন তারা। এটা প্রস্তাব করা হয় মূলত কীভাবে অন্যান্য ভাইরাল রোগ ছড়ায় তার ওপর ভিত্তি করে, যেমন করোনাভাইরাস এবং সাধারণ সর্দিজ্বরের জন্য দায়ী ভাইরাস। এটা এখনো ভালো পরামর্শ যে নিয়মিত হাত ধোয়া এবং হাত মেলানো এড়িয়ে চলা। যদিও এখন আমরা জানি যে পৃষ্ঠতলই সার্স-কোভ-২-এর প্রধানতম ভেক্টর না।

শুরুতে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করেছিলেন এই ভাইরাস ছড়ায় হাঁচি-কাশিতে নির্গত ড্রপলেটের মাধ্যমে। তাদের ধারণা ছিল যে এই ড্রপলেট এতটাই ভারী যে তা বাতাসে ভেসে থাকতে পারে না। কিন্তু পরে একাধিক গবেষণায় দেখা গেল এটি বাতাসে ভেসে থাকতে এবং এ অবস্থায় যে কাউকে আক্রান্ত করতে সক্ষম।

 শ্বসনতন্ত্রের অন্যান্য রোগ মানুষের মাঝে হাঁচি-কাশির সৃষ্টি করে। প্রথম সার্স প্রাদুর্ভাব মানুষকে বাজেভাবে দ্রুত আক্রান্ত করে, যাদের অনেককেই আবার হাসপাতালে নিতে হয়। তাপমাত্রা পরিমাপ করে এবং সংক্রমণ শনাক্ত করে, মানুষকে ঘরে থাকতে বলে লক্ষণসমৃদ্ধ রোগের বিস্তৃতি রোধ করা যায়। কভিড-১৯-এর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে স্বাস্থ্যবান লোকজন এ রোগ ছড়ায় কোনো ধরনের উপসর্গ ছাড়াই কিংবা উপসর্গ দেখা দেয়ার আগেই অনেকে কথা বলা এবং নিঃশ্বাস নেয়ার মাধ্যমে অন্যদের মাঝে ভাইরাস স্থানান্তরিত করে থাকে।
শ্বাসতন্ত্রের মৌসুমি রোগ ইনফ্লুয়েঞ্জা যা কিনা শীতকালে চূড়ায় ওঠে এবং অনেক বিশেষজ্ঞ আশা করেছিলেন যে কভিড-১৯-এর বিস্তৃতিও একই প্যাটার্নে ঘটবে।যেকোনো মৌসুমে এ রোগ ছড়াতে পারে। মানুষের সচেতনতাই কেবল এর গতিকে শ্লথ রাখতে পারে।
মানুষের কথা বলার সময় নির্গত ভাইরাস কণার বড় অংশকে মাস্ক ব্যাপক হারে কমিয়ে দিতে পারে। পাশাপাশি যারা এটি পরে পুরোপুরিভাবে না হলেও, যথেষ্ট পরিমাণে রোগের বিস্তৃতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।

করোনাভাইরাস বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর