ঢাকা, ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১২ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
১০৪৬

গ্রেনেড হামলায় আহত শান্তাকে এমপি হিসেবে চান ঢাকাবাসী

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৮:৫৩ ২৮ জানুয়ারি ২০১৯  

জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রার্থীদের মধ্যে ঢাকায় আলোচনার শীর্ষে ঢাকা মহানগর আদাবর থানা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন সুলতানা শান্তা। বিগত জোট সরকারের আমলে নির্যাতিত মাঠের এই নেত্রীকে নিয়ে আশান্বিত হয়ে উঠেছেন অসহায়-দরিদ্র নারী সমাজ এবং জেলার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।

তাদের দাবি, গণমানুষের এ নেত্রীকে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য হিসেবে নিয়ে যেন তার প্রতি সুবিচার করা হয়। এজন্য দলের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন তিনি। 

শাহীন সুলতানা শান্তা মনে করেন, রাজনীতি হচ্ছে এমন এক ‘নীতি’ যা কোন দেশের সার্বভৌমত্ব, সংবিধানকে অবিচল রেখে দেশের নাগরিকদের মৌলিক চাহিদা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। জাতীয় অর্থনীতিকে বেগবান করে আন্তর্জাতিক পরিসরে দেশের জাতীয়তাকে প্রতিষ্ঠিত করা। রাজনীতি হচ্ছে অত্যন্ত সচেতন, মার্জিত, শিক্ষিত এবং দ্বায়িত্বশীল মানুষের কাজ। আর এ কাজটিই দায়ীত্বশীলতার সঙ্গে করতে চান তিনি।
বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে পুলিশী নির্যাতনের শিকার হওয়া শান্তা ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় ডান কানের শ্রবণ শক্তি হারিয়ে ফেলেন। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক পরিবারে বেড়ে ওঠা শান্তা সাবেক বিচারপতি মুক্তিযোদ্ধা শামছুল হুদা মানিকের মেয়ে। বিচারপতি মানিক মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধকালীন সময় খুলনা শিল্পাঞ্চল এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর প্রধান হিসেবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ৭৫ এ বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকা-ের পর প্রতিবাদ করতে গিয়ে জীবনের নিরাপত্তায় ভারতে গিয়ে তৎকালীন এমপি বাবু চিত্ত সুতারের ভবানীপুরের বাসায় আশ্রয় নেন। এরপর দেশে ফিরে এসে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরবর্তীতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। 
ছোটবেলা থেকেই বাবার কাছ থেকে রাজনীতির দীক্ষা গ্রহণ করে ছাত্রবস্থায় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন শান্তা। পরবর্তীতে দেশের বড় বড় বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে সামনের সারি থেকে নেতৃত্ব দিয়ে বিভিন্ন হামলা, মামলা ও পুলিশী নির্যাতনের শিকার হন। 

আদাবর থানা আ্ওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফাহমিদা আহমেদ শিল্পী বলেন, জোট সরকারের আমলে অসহনীয় নির্যাতনের শিকার শান্তা দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির মাঠে আছেন।  সমাজের যে কোনো শ্রেণী-পেশার মানুষ সহজেই তার কাছে যেতে পারেন। ‘মুক্তির বন্ধন’ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের সেবা করে যাচ্ছেন।