ঢাকা, ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১২ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৭৪৭

পাক-ভারত যুদ্ধে মরবে ১০ কোটি মানুষ!

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:১৪ ৩ অক্টোবর ২০১৯  

পাকিস্তান-ভারত পরমাণু যুদ্ধ হলে প্রাণ হারাতে পারে ১০ কোটিরও বেশি মানুষ। বুধবার আর্ন্তজাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘সায়েন্স অ্যাডভান্সেস’-এ প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০২৫ সাল নাগাদ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পরমাণু যুদ্ধ হলে ১০ কোটিরও বেশি মানুষ প্রাণ হারাতে পারে। পরমাণু বোমা বিস্ফোরণের ফলে যে ঘন মেঘ তৈরি হবে তা ভেদ করে সূর্যের আলো পৌঁছতে পারবে না। ফলে ফসল ফলবে না। এর ফলে অনাহারে মারা যাবে কোটি কোটি মানুষ।
প্রতিবেদনটি এমন এক সময়ে প্রকাশিত হলো যখন কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা নতুন করে তীব্রতর হয়েছে। ভূ-স্বর্গকে কেন্দ্র করে দুদেশই একাধিকবার যুদ্ধে জড়িয়েছে। উভয় দেশই তাদের পরমাণু অস্ত্র তৈরির গতি দ্রুত করেছে। দুই দেশের কাছে বর্তমানে ১৫০টি পরমাণু যুদ্ধ বোমা রয়েছে, যা ২০২৫ সাল নাগাদ ২শ’রও বেশিতে দাঁড়াতে পারে।
বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে গবেষকরা বলছেন, মূলত কাশ্মীরকে কেন্দ্র করেই দুদেশ পরমাণু যুদ্ধে জড়িয়ে যেতে পারে। প্রতিবেদনের অন্যতম লেখক অ্যালান রোবক বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পরমাণু যুদ্ধ হলে এর জেরে ক্ষয়ক্ষতিটা শুধু এ এলাকাতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না।  এর মূল্য দিতে হবে গোটা বিশ্বকে।
গবেষকরা আরো বলছেন, বোমা বিস্ফোরণের ফলে ১ কোটি ৬০ লাখ থেকে ৩ কোটি ৬০ লাখ টন ওজনের ঝুল, কালিতে ঢেকে যাবে আকাশ। তা বায়ুমন্ডলের উপরের স্তরে পৌঁছতে সময় নেবে কয়েক সপ্তাহ। এ কারণে গোটা বিশ্বের বিশাল একটি অংশে সূর্যের আলো পৌঁছবে না।
গবেষণায় বলা হয়েছে, এ যুদ্ধের ফলে সূর্যালোকের ২০ থেকে ৩৫ শতাংশ আলো কম পৌঁছবে পৃথিবীতে। এর ফলে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা কমে যাবে ২ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃষ্টিপাতের পরিমাণও কমে যাবে অন্তত ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ। এর প্রভাবে ফসল উৎপাদন কমে যাবে। প্রভাব পড়বে গাছপালার উপরেও। সেই যুদ্ধে পরমাণু বোমা বিস্ফোরণের ফলে বায়ুমন্ডলে যে ঝুল ও কালির মেঘ জমবে, তা কেটে যেতে সময় লাগবে কমপক্ষে ১০ বছর। সময়টা আরও বেশিও লাগতে পারে বলেও মনে করছেন গবেষকরা।
তবে তারা বলছেন, সবচেয়ে ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হবে যদি এ যুদ্ধে ১শ’ কিলোটন ওজনের বোমার ব্যবাহার করা হয়। যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত বোমার চেয়ে ছয়গুনেরও বেশি শক্তিশালী।
গবেষকরা আরো বলছেন, পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের ক্ষয়-ক্ষতি দুই থেকে তিনগুণ বেশি হবে। কারণ পাকিস্তান ভারতের চেয়ে বেশি বোমার ব্যবহার করবে। জনসংখ্যার ঘনত্বও ভারতের বেশি। অ্যালান রোবক বলেন, আমি আশা করছি, আমাদের এ কাজ পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার না করার বিষয়ে জনগণকে সচেতন করবে।