ঢাকা, ১৯ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
১১৯৯

পাক-ভারতের দাপটে দেশীয় পোশাক কোণঠাসা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৭:০৩ ২৫ মে ২০১৯  

আর মাত্র কয়েকদিন পর মুসলমানদের বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। ঈদকে সামনে রেখে শপিংমলগুলো বেশ জমজমাট। সন্তান-সন্ততি নিয়ে কেনাকাটায় ব্যস্ত বাবা-মা। প্রিয়জনের পছন্দ অনুযায়ী চলছে ঈদের শপিং।

রাজধানীর অধিকাংশ বাজার এখন সয়লাব ভারতীয় ও পাকিস্তানি পোশাকে। বিশেষ করে নারীদের ফ্যাশনের ক্ষেত্রে বিদেশী সিরিয়াল নাটকের নায়ক-নায়িকাদের নামকরণে পোশাক বিক্রি হচ্ছে।

আনারকলি, মাসাককালি, কিরণমালা কাসুটি, লাসা, ঝিলমিল, আশিকি সারারা পোশাক বেশি চলছে। আর শাড়ির মধ্যে রয়েছে ভারতীয় ও পাকিস্তানি সিল্ক, কাঞ্জিভোরামসহ বিভিন্ন ধরনের শাড়ি। এসব চাকচিক্যের পোশাকের দামও অনেক। ৩ হাজার থেকে শুরু করে ৩০-৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত। 

নানা নামের বাহারি রঙের চাকচিক্যময় এসব বিদেশী পোশাকের প্রতি ঝুঁকেছেন অনেক ক্রেতারা। আর বিদেশী পোশাকের দাপটে মার খাচ্ছে দেশীয় ফ্যাশন হাউজের পোশাক।

দেশী উদ্যোক্তারা বলছেন, এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে ক্রেতাদের মনোভাব পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজন পোশাক পোশাকশিল্প খাতে সরকারের প্রণোদনা।

বিক্রেতারা বলছেন, মানুষের চাহিদার কারণেই তারা বিদেশী পোশাক বিক্রি করছেন। দেশীয় ব্যান্ডগুলোর দাম অনুযায়ী মানসম্মত পোশাক না পেয়ে এসব পোশাক কিনছেন বলে মনে করছেন বিক্রেতারা।

ছেলেদের পাঞ্জাবির ক্ষেত্রেও একই চিত্র। বাচ্চাদের পোশাকের বেলাতেও দেশীয় কাপড়ের চেয়ে চায়না থাইল্যান্ড ও ভারতীয় পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থায় বিদেশী পোশাকের আগ্রাসনে হুমকির মুখে পুড়েছে, দেশীয় পোশাকের বাজার।

বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদেশী পণ্যপ্রীতি কমিয়ে দেশীয় পণ্য কেনার জন্য মানুষের মানসিকতা পরিবর্তন করা প্রয়োজন। তবে, দেশীয় পণ্যের বাজার বাঁচাতে সরকারের কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানান দেশীয় উদ্যোক্তারা।

অর্থনীতি বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর