প্রিয় নুসরাত
মুহম্মদ জাফর ইকবাল
লাইফ টিভি 24
প্রকাশিত: ১৪:২৯ ১১ মে ২০১৯
১.
নুসরাত নামের একটি কিশোরী মেয়ের জন্য পুরো বাংলাদেশের মানুষ এক ধরনের বিষণ্ণতায় ডুবে আছেন। প্রথম যখন ঘটনাটি পত্রপত্রিকায় আসতে শুরু করেছে, আমি হেড লাইনগুলো পড়ে থেমে গিয়েছি, ভেতরে কী লেখা আছে পড়ার মতো সাহস সঞ্চয় করতে পারিনি। অগ্নিদগ্ধ মেয়েটিকে ঢাকা আনা হয়েছে, তাকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে জানার পর থেকে দেশের সব মানুষের সাথে আমিও তার জন্যে দোয়া করেছি। তার মৃত্যু সংবাদটি দেশের সব মানুষের সাথে সাথে আমারও বুক ভেঙে দিয়েছে। আমার শুধু মনে হয়েছিল এরকম দুঃসাহসী একটা মেয়ে দেশের সম্পদ। এই দেশের জন্যে তার বেঁচে থাকা প্রয়োজন। ছেলেমেয়েদের জন্য গল্প উপন্যাস লেখার সময় আমরা বানিয়ে বানিয়ে নুসরাতের মতো কাল্পনিক চরিত্র তৈরি করার চেষ্টা করি, কিন্তু সত্যিকার জীবনেও যে এরকম চরিত্র থাকতে পারে সেটা কে জানতো।
নুসরাতের ঘটনাটি শুরু হয়েছিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল এবং তার সরাসরি শিক্ষকের যৌন নিপীড়নের ঘটনা দিয়ে। আমি কতো সহজে ‘যৌন নিপীড়ন’ কথাটি লিখে ফেললাম কিন্তু সবাই কী জানেন, এই কথাটি কী ভয়ঙ্কর একটি কথা? আমি বাচ্চা ছেলেমেয়েদের জন্যে লেখালেখি করি বলে তাদের সাথে আমার এক ধরনের সম্পর্ক আছে। যে কথাটি তারা তাদের বাবা মা ভাই বোন এমনকি সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধুকেও বলতে পারে না, অনেক সময় তারা সেটি আমাকে লিখে জানায়। না, তারা আমার কাছ থেকে কোনও প্রতিকার চায় না, বেশিরভাগ সময়েই বুকের ভেতর ভার হয়ে চেপে থাকা একটা ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথাটুকু আমাকে বলে হালকা হতে চায়। চিঠি লেখার সময় চোখ থেকে টপ টপ করে পানি পড়ে চিঠির অনেক লেখা অস্পষ্ট হয়ে যায়। কিশোরী কিংবা বালিকা একটি মেয়ে পুরোপুরি হতবুদ্ধি হয়ে যায়, কী করবে বুঝতে পারে না। কারও কাছে যেতে পারে না, নিজের ভেতর চেপে রাখে কিন্তু তার জীবনটা ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। আমাদের দেশে এরকম কতো ঘটনা আছে তার কোনও হিসাব নেই। আমরা সেগুলোর কথা জানতে পারিনি। নুসরাতের ঘটনাটার কথা আমরা জানতে পেরেছি। কারণ, এই দুঃসাহসী একরোখা জেদি মেয়েটি তার যৌন নিপীড়নের একটা শাস্তি চেয়েছিল।
প্রত্যেকবার ‘যৌন নিপীড়ন’ কথাটি লেখার সময় আমার হাত কেঁপে ওঠে, কিন্তু পুরো কথাটি আরও অনেক ভয়ঙ্কর, সেটা হচ্ছে ‘শিক্ষকের যৌন নিপীড়ন’।
আমরা সবাই জানি পৃথিবীতে নানা ধরনের অন্যায় অবিচার হয়। পৃথিবীতে নানা ধরনের অপরাধী আছে, তারা এমন এমন অপরাধ করে যে আমরা সেগুলোর কথা শুনে শিউরে উঠি। তারপরও কিছু কিছু অপরাধ আমরা কোনোভাবে মেনে নিতে পারি না। যেমন নারায়ণগঞ্জে র্যাবের হাতে সাতটি হত্যাকাণ্ডের কথা। রাষ্ট্র যাদের শরীরে ইউনিফর্ম এবং হাতে অস্ত্র দিয়ে দেশের অন্যায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দিয়েছে, তারা যখন সেই ইউনিফর্ম এবং অস্ত্র হাতে নিরীহ নিরপরাধী মানুষকে টাকার জন্য হত্যা করে সেটা মেনে নেওয়া যায় না। ঠিক সেরকম আমরা যখন জানতে পারি একজন পুলিশ কর্মকর্তা ইয়াবা চালান করার সময় ধরা পড়েছে, আমরা সেটাও মানতে পারি না।
আমাদের দেশে মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য এই মাদক চোরাচালানিদের চোখ বন্ধ করে ক্রসফায়ারে মারা হচ্ছে, সবাই সেই হত্যাকাণ্ডে এমনই অভ্যস্ত হয়ে গেছে যে এই দেশের সবচেয়ে বড় মানবাধিকার সংগঠনগুলোও সেটা নিয়ে কোনও কথা বলে না। যে পুলিশ বাহিনী মাদক চোরাচালানের জন্য অন্যদের ক্রসফায়ারে মেরে ফেলছে তারা নিজেরা যদি মাদক চোরাচালান করে সেটা আমরা কীভাবে মেনে নেবো। এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা, র্যাব বাহিনী কিংবা পুলিশ বাহিনীর কোনও দায়-দায়িত্ব নেই, দায়-দায়িত্ব অপরাধী সদস্যদের বলা হলেও কেউ সেটা মেনে নেবে না, পুরো প্রতিষ্ঠানকে মাথা নিচু করে এই বিশাল অপরাধের দায়িত্ব নিতে হবে।
ঠিক সেরকম একটি ব্যাপার হচ্ছে শিক্ষকদের হাতে তাদের ছাত্রীদের যৌন নির্যাতনের ঘটনা। এর চেয়ে বড় অমানবিক ব্যাপার আর কী হতে পারে? পৃথিবীটা টিকেই আছে মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্কের কারণে। মায়ের সাথে সন্তানের যেরকম প্রায় অলৌকিক এক ধরনের সম্পর্ক থাকে, শিক্ষকের সাথে তার ছাত্রছাত্রীদের সম্পর্কটা প্রায় অনেকটা সেরকম। একজন শিক্ষক শুধু যে তার ছাত্রছাত্রীদের বীজ গণিতের কয়টা নিয়ম শিখিয়ে দেন কিংবা বিজ্ঞানের কয়েকটা সূত্র শিখিয়ে দেন তা তো নয়। শিক্ষক তার ছাত্রছাত্রীদের মানুষ হতে শেখান।
সেই শৈশবে আমার যে শিক্ষকটি আমাদের স্নেহ করে লেখাপড়া শিখিয়েছেন, আমার এখনও তার সব কথা মনে আছে। একজন শিক্ষক তার ছাত্র এবং ছাত্রীদের সাথে ক্লাসরুমে সময় কাটানোর সময় পান, সে কারণে তার সাথে ছাত্রছাত্রীদের এক ধরনের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ছাত্রছাত্রীদের দিক থেকে সেটি সম্মানের সম্পর্ক, সেই সম্মানের সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে শিক্ষক যখন একজন ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন করেন, তার চাইতে জঘন্য অপরাধ কী হতে পারে? এই দেশের কত অসংখ্য ছাত্রীকে না জানি এই ভয়ঙ্কর অবমাননার ভেতর দিয়ে যেতে হচ্ছে আমরা তার খোঁজ রাখি না। নুসরাত নামের একজন দুঃসাহসী কিশোরী অন্তত একটি ঘটনার কথা আমাদের জানিয়ে দিয়ে গেছে। সেই অপরাধে তাকে যদি পুড়িয়ে মারা না হতো আমরা কী এই ঘটনাটি নিয়ে এতো হইচই করতাম?
২.
নুসরাতের ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমে আসার পরপরই হঠাৎ করে শিক্ষকদের নিয়ে বেশ কয়েকটা সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।তার সাথে ধর্ষণের খবর আছে,মুক্তিপণের জন্য কিডন্যাপের খবর আছে, খুন করে মসজিদে মৃতদেহ লুকিয়ে রাখার খবর আছে। শিক্ষকদের নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের ওপর করা অপরাধের খবর পড়ে আমরা সবসময়েই অনেক বিচলিত হই কিন্তু যখন মাদ্রাসার শিক্ষকদের নিয়ে এই ভয়াবহ খবরগুলো দেখি তখন কোথায় যেন হিসাব মিলাতে পারি না। যারা ধর্মের বিধিনিষেধ শুধু যে জানেন তা নয়, ছাত্রছাত্রীদের সেগুলো শেখান, তারা কীভাবে সেই ধর্মের সবচেয়ে বড় অবমাননা করে ফেলেন? তাহলে কী আসলে তারা ধর্মকে বিশ্বাস করেন না,তার নিয়ম-নীতিকেও বিশ্বাস করেন না?
এ ব্যাপারে আমার একটি ব্যাখ্যা আছে,আমি সেটা বেশ কয়েক বছর আগে একবার একটি ঈদের জামাতে লক্ষ করেছি। নামাজ শেষে দোয়া করার সময় ইমাম সাহেব খোদার কাছে প্রার্থনা করলেন খোদা যেন উপস্থিত সবার সব গুনাহ মাফ করে দেন। একজন মানুষ অনেক বড় একটি অপরাধ করার পর তার যদি সব গুনাহ মাফ হয়ে যায় তার নিশ্চয়ই বিবেকের যন্ত্রণা থাকে না। শুধু তা-ই নয়, পরকালের নরক যন্ত্রণা নিয়েও তার কোনও ভয় থাকে না। তবে আমি শুধু গুনাহ মাফ করে দেয়ার প্রার্থনার কথা লিখতে বসিনি। এরপর তিনি খোদার কাছে যে প্রার্থনা করলেন সেই কথাটি শুনে আমি রীতিমতো চমকে উঠলাম। তিনি খোদার কাছে প্রার্থনা করলেন খোদা যেন সেখানে উপস্থিত সবার গুনাহকে সওয়াবে পরিবর্তন করে দেন। আমি নিশ্চিত সেখানে উপস্থিত যারা ছিল তাদের ভেতর যে যত বড় অপরাধী তার মুখে তত বড় আনন্দের হাসি ফুটে উঠেছিল! শুধু যে তাদের অপরাধের কোনও দায়দায়িত্ব নেই তা নয়,যে যত বড় অপরাধ করেছে সে পরকালে তত বড় সৌভাগ্যের অধিকারী হবে।কী আনন্দ!
আমি নিশ্চিত এগুলো ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যা না,যারা সত্যিকারের ধর্ম পালন করেন,ধর্মকে মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করেন, তারা এই বিষয়গুলো ঠিকভাবে ব্যাখ্যা করতে পারবেন।কিন্তু আমি নিশ্চিত কোনও একটি ধর্মীয় প্রক্রিয়ায় সমস্ত অপরাধ মুছে দেবে ঠিক করে রেখে অনেক বড় বড় অপরাধ করে ফেলেছে এরকম মানুষের সংখ্যা কম নয়।আমরা সবাই আমাদের চারপাশে সেই মানুষজনকে দেখেছি। সামনে রোজা আসছে। আমি নিজের চোখে দেখেছি রোজা শুরু হওয়ার আগের রাতে তাড়াহুড়ো করে অনেকে ঘুষের টাকা নিয়ে যাচ্ছেন। কারণ, রোজার সময় তারা ঘুষ খেতে চায় না। খবরের কাগজে দেখেছি ডাকাতি করে, ধর্ষণ করে সাহরি খেয়ে নিচ্ছে পরের দিন রোজা রাখার জন্য। অর্থাৎ প্রবলভাবে ধার্মিক এবং একই সাথে প্রবলভাবে অপরাধী এই দেশে খুব অস্বাভাবিক কিছু নয়।
তাই বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ দৌলা নামের ফেনীর একটি মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল অবলীলায় নুসরাতের ওপর যৌন নিপীড়ন করতে দ্বিধা করেনি এবং যখন কোনোভাবেই নুসরাত তার মামলা তুলে নিতে রাজি হয়নি তখন তাকে আগুনে পুড়িয়ে মারার নির্দেশ দিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেনি।এতবড় একটি ভয়ঙ্কর ঘটনা কেমন করে ঘটানো সম্ভব,সেটা নিয়ে আমরা সবাই হতবাক হয়েছিলাম।
পত্রপত্রিকায় দেখছি এখন পর্যন্ত প্রায় ১৮ জনকে এরেস্ট করা হয়েছে এবং তাদের মাঝে আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতারাও আছেন।পুলিশ অফিসার এবং দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের নানা ধরনের অবহেলা,ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা এবং পক্ষপাতিত্বের খবর আসছে।স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী একেবারে সরাসরি হস্তক্ষেপ না করলে এই হত্যাকাণ্ডটিও কী তনু হত্যাকাণ্ড বা সাগর রুনির হত্যাকাণ্ডের মতো হয়ে যেতো না?
৩.
পত্রপত্রিকায় দেখেছি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল তৈরি করা সংক্রান্ত আলাপ-আলোচনা চলছে। নিউইয়র্কের বেশিরভাগ স্কুলের গেটে মেটাল ডিটেক্টর বসানো থাকে যেন ছাত্রছাত্রীরা রিভলবার পিস্তল নিয়ে ঢুকতে না পারে। একটা স্কুলের জন্য এটি অনেক বড় একটা গ্লানি, অনেক বড় কালিমা।ঠিক সেরকম আমাদের স্কুল কলেজে যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল তৈরি করার বিষয়টিও আমাদের সবার জন্য এক ধরনের গ্লানির বিষয়। যার অর্থ আমরা স্বীকার করে নিচ্ছি আমাদের স্কুল কলেজের শিক্ষকেরা যৌন নিপীড়ন করেন! কিন্তু তারপরও আমাদের এই গ্লানি নিয়ে বেঁচে থাকতে আপত্তি নেই যদি আমরা এই আইনি সহায়তা দিয়ে স্কুল কলেজের হিংস্র লোলুপ মানুষগুলো থেকে আমাদের ছেলেমেয়েদের একটুখানি রক্ষা করতে পারি।
কিন্তু আমরা কী সত্যি রক্ষা করতে পারবো? আমি অন্তত একটি ঘটনার কথা জানি যেখানে যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল দিয়েও আমাদের ছেলেমেয়েদের রক্ষা করা যায়নি। এটি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা। ২০১৩ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা একজন শিক্ষকের যৌন নিপীড়ন সংক্রান্ত কাজকর্মের জন্য তার বিচার দাবি করে বিভাগে তালা মেরে দিয়েছিল। এরকম সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলররা যা করেন তা-ই করা হলো। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হলো। ছাত্রছাত্রীরা তদের আন্দোলন থামিয়ে ক্লাসরুমে ফিরে গেল।হাইকোর্টের নির্দেশে আমাদের সব বিশ্ববিদ্যালয়েই এই কেন্দ্র রয়েছে কিন্তু সব জায়গায় সেগুলো সমানভাবে কাজ করে তা নয়। তবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সেটি যথেষ্ট কার্যকর ছিল।যাই হোক, এই যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্র যথেষ্ট পরিশ্রম করে তাদের সকল সদস্য নিয়ে (তাদের কেউ কেউ ঢাকা থেকে আসতেন)দীর্ঘদিন তদন্ত করে শেষ পর্যন্ত একটি রিপোর্ট জমা দিলো। সেই রিপোর্ট সিন্ডিকেটে খোলার কথা এবং রিপোর্টের ভিত্তিতে অভিযুক্ত মানুষটির বিচার করে শাস্তি দেওয়ার কথা।সেই রিপোর্টটি কখনও খোলা হয়নি, কখনও সিন্ডিকেটে তোলা হয়নি। অভিযুক্ত শিক্ষক খুবই দ্রুত চেষ্টা চরিত্র করে উচ্চশিক্ষার্থে অস্ট্রেলিয়া চলে গেলেন। ভাইস চ্যান্সেলরকে অনেকবার এই তদন্ত এবং বিচার কাজটি শেষ করার কথা বলা হয়েছিল কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। সেই ভাইস চ্যান্সেলর তার সময় শেষ করে চলে গিয়েছেন এবং নতুন ভাইস চ্যান্সেলর আসার পর আরও দুই বছর কেটে গেছে। কিন্তু এখনও কেউ জানে না সেই রিপোর্টে কী আছে! আমাদের দেশে ভাইস চ্যান্সেলরদের অনেক ক্ষমতা, তার সাথে মধুর সম্পর্ক থাকলে যৌন হয়রানি কিংবা যৌন নির্যাতন করেও মাথা উঁচু করে থাকা যায়, উচ্চশিক্ষার জন্য দেশ বিদেশ যাওয়া যায়।
সে জন্যে আমি নিশ্চিত নই দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল থাকলেই অভিযুক্ত কিংবা অপরাধীর বিচার হবে। কিংবা হিংস্র লোলুপ মানুষগুলো সেই সেলের ভয়ে নিজেদের সংবরণ করে রাখবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে হস্তক্ষেপ না করা পর্যন্ত এই দেশে অপরাধীর বিচার হয় না। তিনি কত জায়গায় হস্তক্ষেপ করবেন?
৪.
নুসরাত নামের এই কম বয়সী মেয়েটি অনেক কষ্ট পেয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে। তার সাথে আর কোনও দিন দেখা হবে না। দেখা হলে নিশ্চয়ই তার মাথায় হাত বুলিয়ে বলতাম, “জানো নুসরাত! পৃথিবীতে ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর খারাপ মানুষ আছে। তাদের দেখে দেখে মাঝে মাঝে পৃথিবীর মানুষের মনুষত্বের ওপর থেকে বিশ্বাস উঠে যেতে চায়। কিন্তু যখন তোমার মতো একজন সাহসী একরোখা জেদি মেয়ে দেখি, তখন মনে হয়, না পৃথিবীর মানুষের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে।”
এই পৃথিবী নিশ্চয়ই আরও নতুন নুসরাতের জন্ম দেবে।
- জয়ের পক্ষ নিয়ে সাংবাদিকদের দোষারোপ করলেন অঞ্জনা
- শূন্য রানে ৭ উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড
- হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচবেন যেভাবে
- টাঙ্গাইল শাড়িসহ ১৪ পণ্য পেল জিআই সনদ
- বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশেও কমছে স্বর্ণের দাম
- ইন্টারনেট ছাড়াই হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো যাবে ছবি-ভিডিও-ডকুমেন্ট
- ২৮ এপ্রিল খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবারে ক্লাসের পরিকল্পনা
- এসি নেই? ঘর ঠান্ডা রাখতে যা করবেন
- হিট অ্যালার্ট নিয়ে দুঃসংবাদ
- তীব্র গরমে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে ফিলিপাইনে
- থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা
- আব্দুল মোনেম গ্রুপের আমদানি-রপ্তানি স্থগিত ও ব্যাংক হিসাব জব্দ
- এমপি-মন্ত্রীর স্বজনরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে ব্যবস্থা
- দুই দিনে সোনার দাম কমলো ৫ হাজার ২৭৭ টাকা
- হিটস্ট্রোকের লক্ষণ ও করণীয়
- আপিল বিভাগে তিন বিচারপতি নিয়োগ
- হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে যে নির্দেশনা দিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
- ইসরায়েলকে কড়া হুঁশিয়ারি ইরানের
- তীব্র গরমে এসি বিক্রির হিড়িক: কেনার আগে যেসব বিষয় মনে রাখবেন
- নির্দেশনা মানছেন না চালের মিল মালিকরা
- ভারতের রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পদ্মশ্রী পদক নিলেন বন্যা
- সব ধরনের ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে
- সাবেক আইজিপি বেনজীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক
- এই গরমে আইসক্রিম তৈরির সহজ রেসিপি
- তুলতুলে রসমালাই বানাবেন যেভাবে
- ইউটিউব দেখে পেঁয়াজ চাষে সফল শিক্ষার্থী মুনিরুল
- ছিনতাই থেকে মুক্তি: জাহাজে যা ঘটেছিল সাক্ষাৎকারে সব জানালেন নাবিক
- অসহ্য গরমে সুস্থ থাকার কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
- বিশ্বের যেসব অঞ্চলে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রির বেশি
- প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের সংশোধিত ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৪৬ হাজার
- ঢাকায় ঈদ পুনর্মিলনী
ক্রীড়া-শিল্প-সংস্কৃতির উৎকর্ষে মডার্ণ পাইথিয়ান গেমস - গরমে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যেসব পরামর্শ দিলেন চিফ হিট অফিসার
- লেবুপানি খাবেন যে কারণে
- এসি নেই? ঘর ঠান্ডা রাখতে যা করবেন
- ইউটিউব দেখে পেঁয়াজ চাষে সফল শিক্ষার্থী মুনিরুল
- গরিবদের জন্য চার চাকা আনলো পিয়াজ্জিয়ো
- তীব্র তাপপ্রবাহ: সারাদেশে স্কুল-কলেজ ৭ দিন বন্ধ
- প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকবেন যেভাবে
- সাবমেরিন ক্যাবল বিচ্ছিন্ন, ইন্টারনেটে ধীরগতি
- ইরানে হামলা: নাগরিকদের ইসরায়েল ছাড়তে বললো অস্ট্রেলিয়া
- সাবেক আইজিপি বেনজীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক
- ইসরায়েলে ফ্লাইট স্থগিত করছে আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনসগুলো
- হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে যে নির্দেশনা দিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
- ছিনতাই থেকে মুক্তি: জাহাজে যা ঘটেছিল সাক্ষাৎকারে সব জানালেন নাবিক
- ঢাকায় ভিসা কেন্দ্র খুললো চীন
- দেশে নিবন্ধিত নিউজ পোর্টালের সংখ্যা ২১৩: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
- হজযাত্রীদের লাগবে যে পরীক্ষার রিপোর্ট
- অসহ্য গরমে সুস্থ থাকার কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
- তীব্র গরমে এসি বিক্রির হিড়িক: কেনার আগে যেসব বিষয় মনে রাখবেন
- দেশব্যাপী ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি