ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪ || ১৫ চৈত্র ১৪৩০
good-food
৪৩১

বারবার তৃষ্ণা পাচ্ছে?

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:৩৪ ২৮ জানুয়ারি ২০২১  

শীতে পানি পানের পরিমাণ এমনিই কমে যায়। যেহেতু ঘাম হয়ে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া এসময় কিছুটা বন্ধ থাকে। তাই পানি পানের তাগিদও কমতে থাকে। তবে যতই পানি পান করুন না কেন, বারবার গলা শুকিয়ে কাঠ হচ্ছে। রোজই যদি এমন হতে থাকে, তাহলে শীঘ্রই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।


চিকিৎসকদের মতে, বারবার গলা শুকিয়ে যাওয়া বিভিন্ন বড় রোগের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। যেমন ডিহাইড্রেশন। শরীরে যখন পানির মাত্রা কমে যায়, তখনই গলা শুকোতে থাকে। শিশুদের ক্ষেত্রে ডিহাইড্রেশন মৃত্যুর কারণ পর্যন্ত হতে পারে। বেশি ঘাম হওয়া, পেট খারাপ ইত্যাদির জেরেও ডিহাইড্রেশন হতে পারে। মানবদেহের ৭৫ ভাগই পানি দিয়ে তৈরি। খাবার ছাড়া কয়েক দিন কাটাতে পারলেও পানি বিনা অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রভূত।

 

অতিরিক্ত তৃষ্ণার কারণ
চিকিত্সা শাস্ত্রে অতিরিক্ত তৃষ্ণার কারণকে বলা হয় 'পলডিপ্সিয়া'। এই অবস্থায় কোনও ব্যক্তি অতিরিক্ত পানি পান করেন। যার কারণে শরীরে সোডিয়ামের ঘাটতি হতে পারে। বমি বমি ভাব বা বমির মতো লক্ষণও দেখা দিতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত প্রসাবের সমস্যার মুখোমুখি হতেও পারেন। তবে কিছু রোগ রয়েছে, যার মধ্যে পলিডিপসিয়া অর্থাৎ অতিরিক্ত তৃষ্ণা হওয়াই প্রধান লক্ষণ। দেখে নিন সেগুলি কী কী-

 

ডায়াবেটিস
ডায়াবেটিসের অন্যতম উপসর্গ হলো গলা শুকিয়ে যাওয়া। অতিরিক্ত পরিমাণে মূত্রের জেরে শরীরে পানির সমতা থাকে না। ফলে গলা শুকোয়। সেপসিস-এর মতো ভয়ানক রোগেরও উপসর্গ এটি। বিভিন্ন ধরনের জীবাণু থেকে শরীরে ইনফেকশনের ফলে এমন প্রভাব পড়ে যে গলা প্রায় শুকিয়ে যায়। হার্ট, কিডনি অথবা লিভার কার্যক্ষমতা হারাতে শুরু করলেও এই সমস্যাগুলি হতে পারে। যারা অবসাদে ভোগেন, তাদের মধ্যে এই প্রবণতা দেখা যায়। উচ্চ রক্তচাপে ভুগলে তাদের অতিরিক্ত ঘাম হওয়ায় শরীরে পানির মাত্রা ঠিক থাকে না। ফলে গলা শুকিয়ে যায়।

 

ডিহাইড্রেশন বা বদহজম
ডিহাইড্রেশন বা বদহজম যেমন এর অন্যতম কারণ। শরীরে যখন পানির মাত্রা কমে যায়, তখনই গলা শুকোতে থাকে। শিশুদের ক্ষেত্রে ডিহাইড্রেশন মৃত্যুর কারণ পর্যন্ত হতে পারে। বেশি ঘাম হওয়া, পেট খারাপ ইত্যাদির জেরেও ডিহাইড্রেশন হতে পারে। তবে হজমের সমস্যা ছাড়াও বেশ কিছু অসুখের কারণেও ঘুমের মধ্যে গলা শুকোয়। এখনই সাবধান হোন সেসব সম্পর্কে।


নার্ভাসনেস হলে
সাধারণ অর্থে হার্টবিট বৃদ্ধি, অস্থিরতা এবং নার্ভাসনেস অনুভূতিকে চিকিত্সা শাস্ত্রে উদ্বেগ বলে। এমন পরিস্থিতিতে মুখটিও শুষ্ক হয়ে যায়। যার কারণে ব্যক্তি বেশি পরিমাণে পানি পান করেন। এ জাতীয় পরিস্থিতিতে কিছু এনজাইম মুখে লালা তৈরির পরিমাণও হ্রাস করে। ফলে আরও তেষ্টা বাড়তে পারে।

 

অতিরিক্ত তেল-মশলা যুক্ত খাবার খেলে
এই রোগগুলো ছাড়াও আরও কয়েকটি প্রাথমিক কারণে রাতে গলা শুকনোর প্রবণতা দেখা যায়। অতিরিক্ত তেল-মশলা যুক্ত খাবার খেলে বার বার গলা শুকোয়। সর্দি হলে বা নাক বন্ধ থাকলে মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। ফলে সহজেই মুখের ভেতর শুকিয়ে যায়। এছাড়া অতিরিক্ত মদ্যপান যারা করেন, তাদেরও বেশি মাত্রায় পানি তেষ্টা পায়। অ্যালকোহল শরীরকে শুষ্ক করে তোলে এবং পানির চাহিদা তৈরি করে।